আরমিন মুসা
আরমিন মুসা | |
---|---|
জন্ম | ঢাকা, বাংলাদেশ |
পেশা | সঙ্গীতশিল্পী |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠশিল্পী |
কার্যকাল | ২০০৮–বর্তমান |
ওয়েবসাইট | armeenmusa |
আরমিন মুসা একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার এবং গীতিকার। তিনি এবং তার মা বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী নাশিদ কামাল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্মানজনক সংগীত পুরস্কার গ্র্যামি পুরস্কারের ৬৫তম আসরে সংগীত অ্যালবাম বিভাগে মনোনীত হয়েছিলেন।[১][২] উক্ত অ্যালবামে আরমিন মুসার সুর করা এবং তার মা নাশিদ কামালের লেখা "জাগো পিয়া" নামে একটি গান ছিল। বর্তমানে তিনি কোক স্টুডিও বাংলায় কাজ করে যাচ্ছেন।[৩]
সঙ্গীতশিক্ষা
[সম্পাদনা]আরমিন মুসা পারিবারিকভাবেই সঙ্গীত শিক্ষায় দীক্ষিত। তার মা ডক্টর নাশিদ কামাল বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী এবং নানা ছিলেন বিচারপতি মোস্তফা কামাল আব্বাসি। মোস্তফা কামালের বাবা কিংবদন্তীতুল্য আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ছিলেন লোক সঙ্গীত ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক এবং সুরকার।[৩] আরমিন মুসা তার গুরু সুজিত মুস্তাফার কাছ থেকে সঙ্গীত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে বার্কলি কলেজ অফ মিউজিক থেকে সঙ্গীত বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বার্কলি কলেজ অফ মিউজিকে থাকার সময় আরমিন মুসা ভারতের বরেণ্য সংগীত শিল্পী এ.আর. রহমানের সামনে পারফর্ম করার সুযোগ পান।[৩]
ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা]আরমিন মুসা খুব অল্প বয়সেই শায়ান চৌধুরী অর্ণব, সাহানা বাজপেয়ী এবং আনুশেহ আনাদিলের মতো সঙ্গীতশিল্পীদের দ্বারা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।[৪]
২০০৮ সালে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে “আয় ঘুম ভাঙ্গাই” অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে আরমিন তার গানেরদলের যাত্রা শুরু করেন। এছাড়াও ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের এ্যালবাম রি-ইভোলুশ্যানে রাধারমণ দত্তের “ভ্রমর কইও গিয়া” গানের মাধ্যমে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন[৫]।
বিশ্ব সঙ্গীত এবং ওয়েস্টার্ন ফিউশনের প্রতি তার ব্যাপক অনুরাগ তাকে তার নিজস্ব কোরাস গানের দল তৈরি করতে সাহায্য করেছে। বর্তমানে আরমিন মুসার এই দল কোক স্টুডিও বাংলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।[৩]
অ্যালবাম
[সম্পাদনা]- আয় ঘুম ভাঙ্গাই
- ফাইন্ডিং ফল
- সিমুলটেনিয়াসলি
- লাইভ ফ্রম স্পেস
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ প্রতিবেদক, গ্লিটজ। "প্রথমবার বাংলাদেশকে গ্র্যামিতে নিলেন মা নাশিদ কামাল ও মেয়ে আরমিন মুসা"। bdnews24। ২০২৩-০৬-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।
- ↑ "আরমিন মুসা-নাশিদ কামাল ২০২৩ গ্র্যামির মনোনয়ন পেলেন"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।
- ↑ ক খ গ ঘ "The flame of grit and passion burns bright"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৩-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।
- ↑ "Armeen Musa: There was a lot of pressure from my family to not be a musician"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।
- ↑ "The flame of grit and passion burns bright"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৩-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।