আমিনুল হক (লেখক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আমিনুল হক

জন্মজুলাই ১৯৭৭
সিলেট জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশ
পেশাপ্রভাষক, লেখক, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, সম্প্রচারক
ভাষাইংরেজি
জাতীয়তাব্রিটিশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়
ধরনঅ-কল্পকাহিনী
বিষয়তরুণরা, সাংস্কৃতিক পরিচয়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারফিলিপ লরেন্স অ্যাওয়ার্ড
সক্রিয় বছর২০০৪ – বর্তমান
সন্তান

আমিনুল হক, এমবিই, একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রভাষক ও লেখক।

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

আমিনুল হক বাংলাদেশের সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাগির ঘাট গ্রামে এক বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আমিনুল হকের বাবা ১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকে ব্রিটেনে কর্মরত ছিলেন, তাই তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা ১৯৮০ সালে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন।[১]

আমিনুল হক টাওয়ার হ্যামলেটসের বাংলাদেশী পাড়ায় বেড়ে ওঠেন। তার প্রাথমিক স্মৃতি ছিল চরম দারিদ্র্য, অত্যধিক ভিড় এবং বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা। আমিনুল হক ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[১] এবং পিএইচডি ও সম্পন্ন করেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

অক্টোবর ২০০৮ থেকে, আমিনুল হক গোল্ডস্মিথস, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক এবং লন্ডন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিজিটিং লেকচারার ছিলেন।[৩]

২০১৫ সালে তার বই ব্রিটিশ-ইসলামিক আইডেন্টিটি: থার্ড-জেনারেশন বাংলাদেশিস ফ্রম ইস্ট লন্ডন প্রকাশিত হয়।[৪] [৫] [৬]

হক একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এবং সম্প্রচারকও।[৬] তিনি ২০২০ থেকে ১৯৬০ এর দশক থেকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের অভিবাসনের উপর আলোকপাত করে আ ভেরি ব্রিটিশ হিস্টোরি একটি পর্বের আয়োজন করেছিলেন।[৭]

আমিনুল হক ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রয়্যাল মিউজিয়াম গ্রিনিচের বোর্ডে ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে আমিনুল হক পূর্ব লন্ডনে যুব বিচারে তার পরিষেবার জন্য ২০০৮ নিউ ইয়ার অনার্সে অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) সদস্য নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালে, তিনি ফিলিপ লরেন্স পুরস্কার পান। ২০০৪ সালে, তার রেডিও ডকুমেন্টারি ইসলামিক প্রাইড সনি অ্যাওয়ার্ডের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল।[৬]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

আমিনুল হক একজন মুসলিম [২] তার তিনটি সন্তান রয়েছে। [১] তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের ভক্ত। [২]

সৃষ্টিকর্ম[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Aminul Hoque (১৫ নভেম্বর ২০১৩)। "I'm a British Bangladeshi Muslim academic: it's about confidence"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  2. "Hotseat: Islam expert Aminul Hoque"Newsround। BBC News। ২৮ জানুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৫ 
  3. "British-Islamic identity of East End teens explored in new book"। Goldsmiths news। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  4. British-Islamic Identity: Third-generation Bangladeshis from East London Paperback। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। এএসআইএন 1858566037 
  5. Mohua, Mafruha (২৮ মে ২০১৫)। Times Higher Education https://www.timeshighereducation.co.uk/content/book-review-british-islamic-identity-third-generation-bangladeshis-east-london-aminul-hoque। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  6. Brooke, Mike (২৪ মার্চ ২০১৫)। "Lecturer delves into lives and identity of 'British Islamic' East End teenagers"। London: East London Advertiser। ২১ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  7. Kalia, Ammar (২৬ ফেব্রু ২০২০)। "TV tonight: an intimate look at life for Britain's Bengali families"The Guardian 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]