আবুলকাসিম মাদ্রাসা
আবুল কাশেম মাদ্রাসা | |
---|---|
Abulqosim madrasasi | |
![]() 2007 Uzbek stamp showcasing the Abulkasym Madrassah | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
পৌরসভা | তাশখেন্ত |
দেশ | উজবেকিস্তান |
স্থানাঙ্ক | ৪১°১৮′২৪″ উত্তর ৬৯°১৪′২৪″ পূর্ব / ৪১.৩০৬৭° উত্তর ৬৯.২৩৯৯° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | রেনেসা |
সৃষ্টিকারী | আবুল কাশিম |
আবুল কাসিম মাদ্রাসা তাশখন্দ, উজবেকিস্তানের তাশখন্দ প্রদেশে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন। এটি মূলত একটি মাদ্রাসা, একটি মসজিদ এবং খানকাহ নিয়ে গঠিত। রাশিয়ার তাশখন্দ দখলের পর, ১৮৬৫ সালে এখানে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
[সম্পাদনা]১৯২০ সালে এই ভবনের বিভিন্ন অংশ নির্মাণ শুরু হয়, এবং এটি রেনেসাঁ আর্কিটেকচারের স্টাইলে গড়ে ওঠে। তৎকালীন রীতি অনুযায়ী, যিনি এই ভবন নির্মাণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তার নামেই মাদ্রাসাটির নামকরণ করা হয়। ইতিহাসে পাওয়া যায় যে তাশখন্দের বিশিষ্ট ব্যক্তি আবুল কাসিম এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[২]
আবুল কাসিম মাদ্রাসাটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতার একটি কেন্দ্র ছিল। ভবনটিতে অনুষ্ঠিত একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনাটি এটির গুরুত্ব বৃদ্ধি করে। রুশ জেনারেল চেরনিয়ায়েভ তাশখন্দকে দখল করার কিছুদিন পরেই এখানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।[২]
১৯১৯ সালের অক্টোবর বিপ্লবের পরে ভবনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে এটি তাশখন্দের একটি খেলনা কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে ভবনটি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে এর পুনর্নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৯৮৭ সালে এটি পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। পুনর্নির্মাণের পর, ভবনটির কক্ষগুলো ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিচিহ্ন প্রস্তুতকারী কর্মশালার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল, যা পর্যটকদের জন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন সরবরাহ করে।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Abulkasym Madrassah"। Visit Uzbekistan Travel। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৩।