আবদুল বারী চৌধুরী
আবদুল বারী চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৭০ |
মৃত্যু | ২৩ এপ্রিল, ১৯৪৪ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা |
আবদুল বারি চৌধুরী (জন্ম:১৮৭০ - মৃত্যু:২৩ এপ্রিল, ১৯৪৪) ছিলেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
আবদুল বারী চৌধুরী ১৮৭০ সালে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম নুর আলী চৌধুরী আর মাতার নাম সকিনা বিবি।[১] রেঙ্গুনের এক মিশনারী স্কুলে আবদুল বারী চৌধুরীর লেখাপড়ায় হাতেখড়ি। সেখান থেকেই তিনি এন্ট্রাস পাস করেন।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
আবদুল বারী চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের প্রথম কাতারের শিল্পোদ্যোগী। তিনি দৌলতপুর এবিসি (আবদুল বারী চৌধুরী) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা। তিনি রাউজান আর.আর.এ.সি. মডেল সরকারি হাই স্কুল অন্যতম প্রতিষ্টাতা ও ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর দাতা প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এ ছাড়াও ফটিকছড়ি মাদ্রাসা নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার ও তিনি অন্যতম দাতা প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[২] ঔপনিবেশিক আমলের এই দু’টি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্টানের সাথে তাঁর নামের স্মৃতি বিজড়িত। আবদুল বারী চৌধুরীর তিন পুত্র দুই কন্যা সন্তান ছিল যথাক্রমে জহুরুল হক চৌধুরী রেজওয়ান নুর চৌধুরী ও মোজাহেরুল কুদ্দুস চৌধুরী। প্রথমা কন্যা শামসুন নাহার চৌধুরানীর সাথে ১৯৩৫ সালে কলিকাতা হাইকোর্টের এডভোকেট থাকাকালীন বিখ্যাত বাংলাদেশী শিল্প উদ্যেক্তা একে খান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয় ও সর্বকনিষ্টা কন্যা ছর্ফুনেছা চৌধুরানীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধহন ডঃ নজরুল ইসলাম।[৩][৪]
ব্রিটিশ বিরোধী মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে এবং স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি চট্টগ্রামে প্রথম বেঙ্গল বার্মা স্টিম নেভিগেশন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময়ে চৌধুরী সাহেবের জাহাজে চায়ের নিমন্ত্রণে এসেছিলেন ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পুরোধা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। জেটিতে এসে জাহাজে ব্রিটিশ পতাকা দেখে তিনি থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন। আব্দুল বারী চৌধুরী নিজে গিয়ে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে দেন। পতাকা নামানোর পর মহাত্মা গান্ধী সিঁড়ি বেয়ে জাহাজের উপরে উঠেন এবং চৌধুরী সাহেবের সাথে আলাপরত অবস্থায় গান্দীজি সেই বিখ্যাত উক্তিটি করেন "চট্টগ্রাম সবার আগে"। আব্দুল বারী চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত দু’টো লঞ্চের নাম ছিলো তাঁর মেয়ের নামে ‘নুর নাহার এবং সামশুন নাহার’।[১]
মৃত্যু[সম্পাদনা]
আবদুল বারী চৌধুরী ২৩ এপ্রিল ১৯৪৪ সালে ৭১ বছর বয়সে চট্টগ্রাম শহরস্থ বাস ভবনে মৃত্যুবরণ করেন।[১] ফটিকছড়ির দৌলতপুরের গ্রামের বাড়ি চৌধুরী মহল এবিসি কবরস্হানে তাঁকে দাফন সমাধিস্থ করা হয়।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ দৈনিক আজাদী[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বাংলাপেডিয়া"। ১৮ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "সোনার বাংলাদেশ ম্যাগাজিন"। ১৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "বাংলাপেডিয়া"। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ১৮৭০-এ জন্ম
- জন্ম পূর্ববঙ্গে
- ১৯৪৪-এ মৃত্যু
- চট্টগ্রাম জেলার ব্যবসায়ী
- চট্টগ্রাম জেলার বিপ্লবী
- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
- বাংলাদেশী বিপ্লবী
- ভারতীয় বিপ্লবী
- বাঙালি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী
- পূর্ব বাংলা থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- পূর্ববঙ্গের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী বিপ্লবী
- বাঙালি বিপ্লবী
- ২০শ শতাব্দীর রাজনীতিবিদ
- ১৯শ শতাব্দীর রাজনীতিবিদ