আবদুল আলীম আল-রাজী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আলীম আল রাজী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ

আলীম আল রাজী (১৯২৫ - ১৯৮৫) হলেন একজন রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক। পাকিস্তান গণপরিষদে তিনি সব জোরালো বক্তব্য রাখতেন এবং তিনি একজন দক্ষ পাল্যামেন্টারিয়ান ছিলেন। সর্বজনীন ভোটাধিকার, পাল্যামেন্টারি গণতন্ত্র, পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধানতার দাবিতে জাতীয় পরিষদে সোচ্চার ও আপোসহীন ভূমিকা পালন করেন তিনি।[১]

জন্ম[সম্পাদনা]

তিনি দেলদুয়ার থানার বরটিয়া গ্রামে ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং বিএল পাস করেন, এছাড়া লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও আইনে দু’বার পিএইচডি এবং বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ‘মোমতাজুল মোহাদ্দেসীন’ (রিসার্চ স্কলার, ডবল গোল্ড মেডালিস্ট) খেতাব লাভ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি লন্ডনের মুসলিম ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন (১৯৪৯-১৯৫৫), এবং তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন (১৯৬৫-১৯৬৯)। তিনি স্বল্পকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ভাসানী ন্যাপের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন (১৯৭৪-১৯৭৫)। টাঙ্গাইল জেলা সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৯৬২-১৯৭৪)।

উল্লেখযোগ্য বই[সম্পাদনা]

তার উল্লেখযোগ্য বইঃ

  • বিশ্বনবী ও হযরত আয়েশা
  • আরাকানের পথে
  • মোসলমানদের জেনে রাখা ভালো

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

তিনি ঢাকা সিটি কলেজ (১৯৫৭), নাগরপুর ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৬) এবং লাউহাটী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।

সাংবাদিকতায় অবদান[সম্পাদনা]

একজন সুলেখক হিসেবে তার খ্যাতি ছিল। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো সাপ্তাহিক ‘দূরবীন’ (টাঙ্গাইল) ও ‘দি ওরিয়েন্টাল টাইমস’ (লন্ডন)।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আল-রাজী, আবদুল আলীম - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৩