আন্তর্জাতিক ইংরেজি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিশ্বজুড়ে ইংরেজি ভাষার বিস্তার।
  যেসব দেশ বা প্রদেশে ইংরেজি ভাষা এক সরকারি ভাষা বা বেশিরভাগ জনসংখ্যার মাতৃভাষা।
  যেসব দেশ বা প্রদেশে ইংরেজি ভাষা এক সরকারি ভাষা, কিন্তু বেশিরভাগ জনসংখ্যার মাতৃভাষা নয়।

আন্তর্জাতিক ইংরেজি (ইংরেজি: International English) বলতে যোগাযোগের বৈশ্বিক মাধ্যম হিসাবে ইংরেজি ভাষার ব্যবহারকে বোঝায়, এবং এটি অনেকসময় ইংরেজি ভাষার এক আন্তর্জাতিক প্রমিত রূপ নির্ধারণ করার অভিযানকে বোঝায়।[১]

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

বিশ্বজুড়ে ইংরেজি ভাষার বহুল ব্যবহারের জন্য একে অনেকসময় "বিশ্ব ভাষা" কিংবা বৈশ্বিক লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা বলা হয়,[২] এবং বেশিরভাগ দেশে এটি সরকারি ভাষা না হলেও বিদেশি ভাষা হিসাবে ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষণ সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়।[৩][৪] আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ইংরেজি ভাষা বৈমানিক[৫] ও সামুদ্রিক[৬] যোগাযোগের ভাষা।

বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশে ইংরেজি ভাষায় বই, সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন পাওয়া যায়, এবং ইংরেজি বিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষা।[২]

ব্যবহারকারী অনুযায়ী ইংরেজির শ্রেণিবিভাগ[সম্পাদনা]

বিশ্বজুড়ে ইংরেজি ভাষার বিস্তার নিয়ে আলোচনা করা সময় ব্যবহারকারী অনুযায়ী ইংরেজি ভাষাকে তিনভাগে ভাগ করা হয়:[৭]

  1. মাতৃভাষা বা প্রথম ভাষা হিসাবে ইংরেজি (ENL): যুক্তরাজ্যমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে বেশিরভাগ জনসংখ্যার প্রধান ভাষা ইংরেজি।
  2. দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি (ESL): ভারত, নাইজেরিয়াসিঙ্গাপুরের মতো দেশে অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। মূলত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রসারণের দরুন এইসব দেশে ইংরেজি ভাষা প্রচলিত হয়েছে।
  3. বিদেশি ভাষা হিসাবে ইংরেজি (EFL): বাংলাদেশজাপানের মতো দেশে সাধারণত আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

২০০৩ সালে ডেভিড ক্রিস্টাল পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে মাতৃভাষী বক্তা নয় এমন ইংরেজিভাষী বক্তার সংখ্যা ৩:১ অনুপাতে ইংরেজি মাতৃভাষী বক্তার সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Modiano, Marko (এপ্রিল ১৯৯৯)। "International English in the global village"English Today15 (2): 22–28। আইএসএসএন 1474-0567এসটুসিআইডি 143859179ডিওআই:10.1017/s026607840001083x 
  2. David Graddol (১৯৯৭)। "The Future of English?" (পিডিএফ)। The British Council। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০০৭ 
  3. ক্রিস্টাল, ডেভিড (২০০৩)। English as a Global Language (2nd সংস্করণ)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 69। আইএসবিএন 978-0-521-53032-3। ২০২৩-০৪-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৯ 
  4. Northrup 2013
  5. "ICAO Promotes Aviation Safety by Endorsing English Language Testing"। International Civil Aviation Organization। ১৩ অক্টোবর ২০১১। ২৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪ 
  6. "IMO Standard Marine Communication Phrases"। International Maritime Organization। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. Jenkins, Jennifer (২০০৬)। World englishes : a resource book for students (1. edition, 3. reprint সংস্করণ)। London: Routledge। পৃষ্ঠা 14–15। আইএসবিএন 978-0-415-25806-7