আজারবাইজান–সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক
আজারবাইজান |
সুইজারল্যান্ড |
---|
আজারবাইজান–সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক আজারবাইজান এবং সুইজারল্যান্ড এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু তে সুইজারল্যান্ডের এবং সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বের্ন-এ আজারবাইজানের দূতাবাস রয়েছে। উভয় দেশই কাউন্সিল অব ইউরোপ এবং অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই) এর পূর্ণ সদস্য।
অর্থনৈতিক সমন্বয়
[সম্পাদনা]১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে, দুই দেশের প্রতিনিধিগণ আলোচনায় বসেন এবং দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এর সিদ্ধান্ত নেয়। এর সাথে সুইস সরকার আজারবাইজানকে ৫০ মিলিয়ন (৫ কোটি) মার্কিন ডলার এর ঋণ দিতেও রাজি হয়।[১]
সুইজারল্যান্ড এর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সচিবালয়ের মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমন্বয়ের জন্য আজারবাইজানকে সুইজারল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে মনে করে। [২] ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে, বাকুতে, দুই দেশের সরকারের মাঝে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সমন্বয়ের বিষয়ে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। [৩][৪]
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, তার আজারবাইজান সফরের সময়, আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে, তারা দুজন, সুইজারল্যান্ড ও আজারবাইজানের মধ্যকার সম্পর্ক এবং এর উন্নয়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।[৫] ঐ একই সফরের সময়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজারবাইজানের সাথে আর্মেনিয়া এর দ্বন্দ্বের বিষয়টি তুলে ধরেন, যদিও তার সেই সফরের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল অর্থনৈতিক সমন্বয়।[৬] এর ১ বছর পর, ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে, সুইজারল্যান্ডের শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী আজারবাইজান সফরে যান এবং তার সেই সফরে দুই দেশের মাঝে শক্তি বিষয়ক একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়।[৭]
২০০৯ সালের মে মাসে, সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার বাকু সফরে যান। সেই সফরে নিজেদের সম্পর্ক এবং এর আরও উন্নয়নের বিষয়ে জোর দেয়া হয়।[৮] সেই সময় আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন তার দেশ সুইজারল্যান্ডের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে, সমন্বয় বৃদ্ধির ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখে। এর পাশাপাশি তিনি, দেশ দুটির সম্পর্কের আরও উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।[৯]
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
[সম্পাদনা]ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আজারবাইজান এর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সুইজারল্যান্ড এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই ক্ষেত্রে, সুইস প্রতিনিধিরা, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তারা, ইউরোপে শক্তি নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আজারবাইজানের মধ্যে সম্পর্ক থাকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়াও, বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের সংগঠন, এবং প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের জন্য আজারবাইজান, সুইজারল্যান্ডকে নিরপেক্ষ স্থান হিসেবে ব্যবহার করে।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ < "Swiss envoy, Azeri officials agree to expand economic relations"। শার্গ। ১৯৯৮-১১-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৯।
- ↑ State Secretariat for Economic Affairs SECO, Economic Cooperation and Development. Azerbaijan ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ জুলাই ২০০৭ তারিখে
- ↑ http://www.today.az/print/news/politics/23615.html
- ↑ "Azerbaijan, Switzerland sign economic cooperation agreement"। ২০০০-১০-৩০। ২০১২-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৭-০৩।
- ↑ "Azeri president, Swiss foreign minister discuss ties"। আজার্টাক। ২০০৬-০২-২৩। ২০১২-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৯।
- ↑ http://www.swissinfo.ch/eng/index.html?siteSect=106&sid=6495342&cKey=1140685418000
- ↑ http://www.rferl.org/content/Article/1093316.html
- ↑ "Archived copy"। ২০০৯-০৫-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-১৯।
- ↑ http://www.today.az/news/politics/52390.html
- ↑ http://www.today.az/print/news/business/42644.html