আঙ্কারা ভিলায়েত
ولايت آنقره Vilâyet-i Ânḳara | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভিলায়েত | |||||||||
১৮৬৭–১৯২২ | |||||||||
১৮৯০-এ আঙ্কারা ভিলায়েত | |||||||||
রাজধানী | অ্যাঙ্গোরা (আঙ্কারা)[১] | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
১৮৬৭ | |||||||||
• বিলুপ্ত | ১৯২২ | ||||||||
| |||||||||
বর্তমানে যার অংশ | তুরস্ক |
অ্যাঙ্গোরার ভিলায়েত[৩] (উসমানীয় তুর্কি: ولايت آنقره) বা আঙ্কারা ছিলো উত্তর-মধ্য আনাতোলিয়ার অ্যাঙ্গোরা (আঙ্কারা) শহরকে কেন্দ্র করে গঠিত উসমানীয় সাম্রাজ্যের একটি উচ্চস্তরের প্রশাসনিক বিভাগ (ভিলায়েত), এর মধ্যে প্রাচীন গালাতিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০শ শতাব্দীর শুরুতে এর আয়তন ছিলো ৩২,৩৩৯ বর্গমাইল (৮৩,৭৬০ কিমি২), অন্যদিকে ১৮৮৫ সালের প্রথম উসমানীয় আদমশুমারির প্রাথমিক ফলাফল (১৯০৮ সালে প্রকাশিত) এর জনসংখ্যা দেখায় ৮৯২,৯০১ জন।[৪] জনসংখ্যার এই পরিসংখ্যানের যথার্থতা "আনুমানিক" থেকে "শুধু অনুমানমূলক" পর্যন্ত যে অঞ্চল থেকে তারা সংগ্রহ করা হয়েছিল তার উপর নির্ভর করে।[৪] ১৯২০ সালের হিসাবে এর জনসংখ্যাকে প্রধানত তুরস্কের মুসলিম ও আর্মেনীয় খ্রিষ্টান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিলো।[৫]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]এটি একটি কৃষিপ্রধান দেশ ছিলো, এর সমৃদ্ধির জন্য এটির শস্য, পশম এবং আঙ্কারা থেকে প্রাপ্ত অ্যাঙ্গোরা ছাগলের মোহাইরের উপর নির্ভর করে।[১] কুরশেহির ও কায়সেরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ছিলো গালিচা বুনন।[১] রৌপ্য, তামা, লিগনাইট এবং লবণের খনি ও অনেকগুলো উষ্ণ প্রস্রবণ ছিল, এর মধ্যে কিছু বিখ্যাত ওষুধও ছিলো।[১] এই এলাকা থেকে হ্যালাইট ও মুলতানি মাটিও খনন করা হতো।[৬]
এই ভিলায়েতে বয়ন একটি জনপ্রিয় শিল্প হলেও রেলপথ প্রবর্তনের পর তা হ্রাস পায়, এখানে স্থানীয়রা তাঁতের পরিবর্তে উল ও মোহাইর রপ্তানি করত। ২০শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এই অঞ্চলে একটি ছোট গালিচা শিল্পও পাওয়া যায়।[৭]
প্রশাসনিক বিভাগ
[সম্পাদনা]এই ভিলায়েতের সানজাকগুলো:[৮]
- আঙ্কারার সানজাক (আঙ্কারা, আয়াশ, বেপাজার, সিভ্রিহিসার, চুবুক, নালহান, হায়মানা, কুজুলজাহামাম, মিহাকিচ্চিক, বালা, কালেজিক)
- বোজোকের সানজাক (ইয়োজগাত, আকদামাদেনি, বোয়াজলেয়ান)
- কায়সেরির সানজাক (কায়সেরি, দেভেলি, ইনজেসু)
- কুরশেহিরের সানজাক (কুরশেহির, মুজুর, হাজিবেকতাশ, কেসকিন, চিকেকদায়ে, আভানোস)
- চোরুমের সানজাক (চোরুম, ওসমানজিক, কার্গি, সুঙ্গুরলু, ইসকিলিপ)
গ্রাম
[সম্পাদনা]আঙ্কারার কাছে স্টানোজ নামে একটি আর্মেনীয় গ্রাম ছিলো। আর্মেনীয় গণহত্যার পর আর্মেনীয় জনসংখ্যার বেশিরভাগই এখান থেকে হারিয়ে যায়। ২০২০ সাল অনুযায়ী একটি কবরস্থান গ্রামটিতে অবশিষ্ট ছিলো।[৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Angora"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।
- ↑ "1914 Census Statistics" (পিডিএফ)। Turkish General Staff। পৃষ্ঠা 605–606। ৭ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১১।
- ↑ গুগল বইয়ে Geographical Dictionary of the World
- ↑ ক খ Asia by A. H. Keane, page 459
- ↑ Prothero, G.W. (১৯২০)। Anatolia। H.M. Stationery Office।
- ↑ Prothero, G.W. (১৯২০)। Anatolia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 107।
- ↑ Prothero, G.W. (১৯২০)। Anatolia। H.M. Stationery Office। পৃষ্ঠা 112।
- ↑ Ankara Vilayeti | Tarih ve Medeniyet
- ↑ Sassounian, Harut (২০০২-০৩-০২)। "Remnants of an Old Armenian Village Near Ankara"। Armenian Weekly। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Angora"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।
- উইকিমিডিয়া কমন্সে আঙ্কারা ভিলায়েত সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।