আইসহেঞ্জ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আইসহেঞ্জ
এইস বুকস প্রকাশিত প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখককিম স্ট্যানলি রবিনসন
প্রচ্ছদ শিল্পীমার্ক ওয়েবার
দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
ধরনকল্পবিজ্ঞান
প্রকাশকএইস বুকস
প্রকাশনার তারিখ
১৯৮৪
মিডিয়া ধরনমুদ্রণ (পেপারব্যাক)
পৃষ্ঠাসংখ্যা২৬২
আইএসবিএন০-৪৪১-৩৫৮৫৪-৩
ওসিএলসি১১১৯১৩৪৫

আইসহেঞ্জ (ইংরেজি: Icehenge) হল মার্কিন লেখক কিম স্ট্যানলি রবিনসনের লেখা একটি কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস। বইটি ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়।

রবিনসনের মার্স ত্রয়ীর প্রায় দশ বছর আগে প্রকাশিত এবং ভবিষ্যতের ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উপস্থাপিত হলেও আইসহেঞ্জ উপন্যাসের কিছু কিছু উপাদান মার্স ধারাবাহিকেও পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে মানুষের সুদীর্ঘ জীবনকাল, মঙ্গল গ্রহের রাজনৈতিক বিপ্লব, ঐতিহাসিক সংশোধনবাদ ও প্রধান চরিত্রগুলির পরিবর্তন।

কাহিনি-সারাংশ[সম্পাদনা]

আইসহেঞ্জ উপন্যাসটি তিনটি স্বতন্ত্র সময়কালের প্রেক্ষাপটে লেখা এবং তিন পৃথক চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে কথিত।

প্রথম কাহিনিটি হল ২২৪৮ সালে মঙ্গল গ্রহের একটি রাজনৈতিক বিপ্লবের মধ্যে আটকে পড়া এক মহিলা ইঞ্জিনিয়ারের ডায়রি। সেই গ্রহের বিদ্রোহীদের একটি মহাকাশযানে কার্যকরীভাবে অপহৃত হওয়ার পর তিনি সেই বিদ্রোহীদের আন্তঃনক্ষত্র ভ্রমণের ব্যাপারে সহায়তা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে না গিয়ে মঙ্গলের ভাগ্যনির্দিষ্ট বিপ্লবের মধ্যেই ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

দ্বিতীয় কাহিনি তিন শতাব্দী পরের এক প্রত্নতত্ত্ববিদের দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা। তিনি ব্যর্থ বিপ্লবটির উপর একটি তদন্ত প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। সেই সময় একটি শহরের ধ্বংসাবশেষের কাছে মাটির তলা থেকে ইঞ্জিনিয়ারের ডায়রিটি পান। একই সময়ে প্লুটোর উত্তর মেরুতে একটি রহস্যময় স্মারক আবিষ্কৃত হয়। যে স্মারকটি একটি সংক্ষিপ্ত উল্লেখ সেই ইঞ্জিনিয়ারের ডায়রিতে পাওয়া যায়।

শেষ কাহিনিতে দেখা যায়, সেই প্রত্নতত্ত্ববিদের প্রপৌত্র প্লুটোর সেই স্মারকটি দেখতে গিয়েছেন। এই স্মারকটি হল স্টোনহেঞ্জের নির্দিষ্ট অনুপাতে বরফে খোদাই করা একটি প্রতিরূপ। তিনি তদন্ত করে দেখেন, সেই ডায়রি ও স্মারকটি শনি গ্রহের কক্ষপথে একাকী বাস করা এক ধনী ব্যবসায়ী নারীর দ্বারা স্থাপিত কিনা।

ক্রমবিকাশের ইতিহাস[সম্পাদনা]

এই উপন্যাসের প্রথম অংশটি আগে দ্য ম্যাগাজিন অফ ফ্যান্টাসি অ্যান্ড সায়েন্স ফিকশন পত্রিকার নভেম্বর ১৯৮২ সংখ্যায় টু লিভ আ মার্ক নামে একটি স্বতন্ত্র উপন্যাসিকার আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।[১] তৃতীয় অংশটি তারও আগে ১৯৮০ সালে ড্যামন নাইট সম্পাদিত অরবিট ১৮ সংকলনে অন দ্য নর্থ পোল অফ প্লুটো নামে একটি উপন্যাসিকার আকারে প্রকাশিত হয়।[২] রবিনসন উপন্যাসিকাটির খসড়া আরসালা কে. লি গাইনকে পড়তে দেন এবং ১৯৭৭ সালের বসন্তে সানডিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাইন পরিচালিত লেখালিখির একটি কর্মশালায় ভর্তি হয়ে সেটি সম্পাদনা করেন।[৩] উপন্যাসের তৃতীয় অংশে কথক স্পেস স্টেশন থেকে শনি গ্রহের যে দৃশ্য বর্ণনা করেছেন, সেটি ১৯৮০-৮১ সালে ভয়েজার মহাকাশযানগুলি থেকে গৃহীত চিত্রগুলি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখিত হয়।[৪]

প্রকাশনার ইতিহাস[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Robinson, Kim Stanley (নভেম্বর ১৯৮২)। "To Leave a Mark"। The Magazine of Fantasy and Science Fiction63 (5): 5–54। 
  2. Robinson, Kim Stanley (১৯৮০)। "On the North Pole of Pluto"। Damon Knight। Orbit 21। New York: Harper & Rowআইএসবিএন 0-06-012426-1 
  3. Robinson, Kim Stanley (২০১০)। "Untitled"। Karen Joy Fowler। 80! Memories & Reflections on Ursula K. Le। Seattle: Aqueduct Press। পৃষ্ঠা 18আইএসবিএন 978-1-933500-43-0 
  4. Robinson, Kim Stanley (২০০৬)। "Saturn Sublime"। Saturn: A New View। New York: Abrams। পৃষ্ঠা 16আইএসবিএন 978-0-8109-3090-2 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]