অ্যাডেলা মোহসেনি
অ্যাডেলা মোহসেনি | |
---|---|
জন্ম | ১৯৭২ ময়দান ওয়ারদাক প্রদেশ, আফগানিস্তান |
জাতীয়তা | আফগান |
অন্যান্য নাম | অ্যাডেলা |
শিক্ষা | বিএ, বিচারিক আইন, তাবরিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | মানবাধিকার |
কর্মজীবন | ২০০৭-২০১২ |
পরিচিতির কারণ | নারী ও শিশু বিষয়ক মানবাধিকার কর্মী |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | আফগানিস্তানে মানবাধিকার রক্ষা |
অ্যাডেলা মোহসেনি একজন আফগান নারী অধিকার কর্মী।[১]
পটভূমি
[সম্পাদনা]তিনি আফগানিস্তানের ওয়ারদাক প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে মাত্র ছয় বছর বয়সে ইরানে চলে যান। মোহসেনি তাবরিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং সেখান থেকে জুডিশিয়াল আইনে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের পর মোহসেনি আফগানিস্তানে ফিরে আসেন এবং ২০০৫ সালে হেনরিচ বুল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন। ২০০৭ সালে মোহসেনি কানাডার একটি বেসরকারি সংস্থা রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসির কাবুল অফিসে প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। কাবুল অফিসের দায়িত্বে থাকা পরিচালক হামিদ সাবুরি মোহসেনিকে "আফগান নাগরিক সমাজের একজন সক্রিয় সদস্য হিসাবে আফগান মহিলাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে সাহায্য করে" বলে বর্ণনা করেছেন।[১][২][৩]
শরণার্থী
[সম্পাদনা]২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তালেবান মোহসেনিকে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছিল। ফলে তার পরিবারসহ ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এ আশায় যে, যাতে রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি সংস্থার নিয়োগকর্তা সহায়তায় তারা কানাডায় চলে যেতে পারে। ভারতে থাকাকালীন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা মোহসেনিকে শরণার্থীর মর্যাদা দেয় কিন্তু পুনর্বাসনের জন্য কোন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেনি। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে কানাডিয়ান সরকার রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি সংস্থাটির সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই মোহসেনি ও তার পরিবার ভারতে আটকা পড়েছিল। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কাবুলে ফিরে না আসা পর্যন্ত সেখানেই ছিল। এক বছর পরে, মোহসেনী আফগানিস্তান সম্পর্কে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাজ্যে যান এবং সেখানে শরণার্থী হিসাবে অবস্থান করা এবং বসবাসের অনুমতি পান।[১][২][৩] তিনি তালেবানের হুমটি বিষয়ে বলেন, “আফগানিস্তানে নারী হিসেবে বসবাস করে মানবাধিকারকে সম্মান করা সম্ভব নয়। পুরুষরা মনে করে নারীর অধিকার লঙ্ঘন করা তাদের অধিকার। যেমন আমার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল। তালেবানদের মারাত্মক হুমকির কারণে আফগানিস্তানে থাকা আমার পক্ষে নিরাপদ ছিল না। কিন্তু কেউ আমাকে সমর্থন করেনি বরং আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। আর এটার কারণ হলো আমি কানাডিয়ান সংস্থায় কাজ করি। আমাকে সংস্থা ও কোন আইনজীবি রক্ষা করতে পারেনি।”
কর্ম
[সম্পাদনা]তিনি আফগান নারীর মাঝে রাজনৈতিক কমিটিতে অংশগ্রহণ এবং মহিলাদের ৫০% প্রচারাভিযান নিশ্চিত করেন। তিনি ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আরমানশহর/ওপেন এশিয়া এবং এফআইডিএইচ এ নারীদের অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষাকারী সমাজ গঠনের বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে "উন্মোচন আফগানিস্তান, দ্য আনহিয়ার্ড ভয়েস অফ প্রগ্রেস" ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেন।[৪]
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]পরিবারে তার স্বামী ও দু’মেয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "Adela Mohseni: 'Any people who are not aware of their rights will not live in peace'"। FIDH। ১৬ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ Hamilton, Graeme (৭ জুন ২০১৩)। "How Ottawa abandoned an Afghan activist who received death threats for working with Canadian 'infidels'"। National Post। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৪।
- ↑ ক খ Hamilton, Graeme (৩০ জুলাই ২০১৫)। "Abandoned by Canada, Afghan women's rights activist wins refugee status in Great Britain"। National Post। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৪।
- ↑ "Adela Mohseni: "Any people who are not aware of their rights will not live in peace""। International Federation for Human Rights (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৯।