অরুণোদই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অরুণোদই
ধরনমাসিক পত্রিকা
প্রতিষ্ঠাতাআমেরিকান ব্যাপ্টিষ্ট মিশনারীবৃন্দ
সম্পাদকডা° নাথান ব্রাউন (প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক)
প্রতিষ্ঠাকালজানুয়ারী, ১৮৪৬
ভাষাঅসমীয়া
সদর দপ্তরশিবসাগর

অরুনোদই (ইংরেজি: Orunodoi) অসমের প্রথম অসমীয়া ভাষার সংবাদ পত্র। এই সংবাদপত্রটি ১৮৪৬ সালের জানুয়ারি মাসে শিবসাগরের মিশন প্রেস থেকে প্ৰথম প্ৰকাশ পায়। এই সংবাদপত্রটিকে আধুনিক অসমীয়া ভাষার পথপ্রদর্শক বলা যায় কারণ এই পত্রিকা দ্বারা অসমীয়া সাহিত্যের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সৃষ্টি হয়েছিল। অরুণোদইয়ের পাতায় আনন্দরাম ঢেকিয়াল ফুকন, পণ্ডিত হেমচন্দ্র বরুয়া, গুণাভিরাম বরুয়া ইত্যাদি লোকেরা সাহিত্যিকরূপে পরিগণিত হয়েছিলেন। মূলতঃ খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য এই সংবাদপত্র প্ৰকাশ করা হত যদিও গদ্য-পদ্য-ভূগোল-ইতিহাস-নীতিকথা, দেশ-বিদেশের খবর, জীবনী, কাহিনী ইত্যাদি বিবিধ রচনা এতে প্রকাশিত হত। ১৮৮৩ সালে মিশন প্রেস বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে এই পত্রিকাটির প্রকাশও স্তব্ধ হয়ে যায়[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইং ১৮২৬ সালের ইয়াণ্ডাবু সন্ধি অনুসারে অসম ইংরেজের শাসনাধীন হওয়ার পর অসমের রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তনের সূচনা হল। সাহিত্যে এর স্পষ্ট প্ৰভাব পরিস্ফুট হয়।

১৮৩৬ সালে ইংরেজরা প্ৰশাসনিক সুবিধার দোহাই দিয়ে অসমের বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি সরকারি প্ৰতিষ্ঠানে অসমীয়া ভাষার পরিবর্তে বাংলা ভাষা প্ৰচলন করে। এর কারণ ছিল ইংরেজদের শাসনে সহায়তা করা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বাঙালী কার্যনির্বাহীদের যাতে সুবিধা হয়। বাঙালী কর্মচারীদেরও এর জন্য ইংরেজ সরকারকে অনুনয় করতে হয়েছিল। ইতিমধ্যে অসমের কমিশনার ক্যাপ্তেন ফ্ৰেন্সিস জনকিন্সের আমন্ত্রণে ক্রমে অসমের শদিয়াতে একটা খ্রিষ্টান মিশন তৈরির উদ্দেশ্যে আমেরিকান বেপ্টিষ্ট মিশনারীগণ অসমে আসেন। তাঁদের উদ্যোগে ‘অরুণোদই’ প্ৰকাশ করা হয়। ১৮৪৬ সালের জানুয়ারী মাসে শিবসাগরের মিশন প্রেস থেকে মাসিক ‘অরুণোদই সংবাদপত্র’ প্রথম প্রকাশ পায়। প্রথম সম্পাদক ছিলেন ডা° নাথান ব্রাউন। ‘অরুণোদই’তেই প্ৰথম ‘দেওধাই অসম বুরঞ্জী’, কামরূপ বুরঞ্জী, গুণাভিরাম বরুয়ার আধুনিক নাটক ‘রাম নবমী’ প্রকাশিত হয়েছিল।

এই মাসিক পত্রিকাটির সুদীর্ঘ ৩৭ বছরের সম্পাদক ছিলেন ড° ব্রাউন, এস এম হোয়াইটিং, ড° মাইলস ব্রন্সন, মিসেস বাৰ্ড, রেভারেণ্ড ক্লার্ক ও এ.কে. গার্নি। বার্ষিক অনুদান যথাক্রমে ১ টাকা ও পরে ২ টাকা ছিল। পত্রিকাটির সৰ্বোচ্চ গ্রাহকের সংখ্যা ৭০০ জন হয়েছিল।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Orunoidoi/Arunodoi"। Onlinesivasagar.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১০ 
  2. "Special Postage Stamp on 150 years of Newspapers in Assam"। PIB। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]