বিষয়বস্তুতে চলুন

সঞ্জীব কাপুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সঞ্জীব কাপুর
২০১৬ সালে সঞ্জীব কাপুর
জন্ম (1964-04-10) ১০ এপ্রিল ১৯৬৪ (বয়স ৬০)
শিক্ষাইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট, নয়াদিল্লি
পেশাশেফ, টেলিভিশন হোস্ট এবং উদ্যোক্তা
শৈলীভারতীয় রন্ধনশৈলী
টেলিভিশনস্বাক্ষর, খাজানা, হলুদ মরিচ, পিন ইয়িন ক্যাফে, গোল্ড লিফ ভোজ, সুরা ভিয়ে
দাম্পত্য সঙ্গীঅ্যালিওনা কাপুর
পুরস্কারপদ্মশ্রী (২০১৭)
ওয়েবসাইটwww.sanjeevkapoor.com উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

সঞ্জীব কাপুর (জন্ম ১০ এপ্রিল ১৯৬৪) একজন ভারতীয় সেলিব্রিটি শেফ, উদ্যোক্তা এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারতীয় টেলিভিশনে খানা খাজানা নামে একটি একক ধারাবাহিক অনুষ্ঠান করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া ওই টেলিভিশন শো এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে এটি প্রায় ১৮ বছর ধরে চলেছিল। এই শো এর পরিচালক ছিলেন হনসল মেহেতা। সেইসময় এই অনুষ্ঠানটি সারা এশিয়ার মধ্যে দীর্ঘতম পর্বের টেলিভিশন ধারাবাহিক ছিল। এই ধারাবাহিক অনুষ্ঠানটি ১২০টি দেশে সম্প্রচারিত হয়েছিল। ২০১০ সালে এই অনুষ্ঠানটির দর্শক সংখ্যা ছিল ৫০ কোটিরও বেশি।[] টেলিভিশন শো ‘খানা খাজানা’র সঞ্চালক হিসাবে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তাকে অনেকেই ভারতীয় টেলিভিশনের মাস্টার শেফ বলেন। সঞ্জীব কাপুরের হাত ধরেই এক নতুন আঙ্গিক খুলে গিয়েছিল রন্ধনশৈলীর দুনিয়ায়।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

[সম্পাদনা]

১৯৬৪ সালের ১০ এপ্রিল সঞ্জীব কাপুর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের আম্বালায় জন্মগ্রহণ করেন। উত্তর ভারতের একাধিক শহরে তার শৈশব কেটেছে।[][] ১৯৮৪ সালে তিনি ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ক্যাটারিং অ্যান্ড নিউট্রিশন, পুসা, নিউ দিল্লি থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্টে ডিপ্লোমা শেষ করার পর আতিথেয়তা শিল্পের হাত ধরে নিজের কর্মজীবনের শুরু করেন।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

বারাণসী, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি বিভিন্ন জায়গায় অনেক হোটেলে কাজ করার পর ১৯৯২ সালে তিনি মুম্বাইয়ের সেন্টোর হোটেলের সর্বকনিষ্ঠ নির্বাহী শেফ হয়ে ওঠেন। তিনি বিশ্বের প্রথম শেফ যিনি খাদ্য এবং জীবনশৈলী বিষয়ের উপর একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক। টেলিভিশন চ্যানেলটির নাম ফুড ফুড। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে এই টেলিভিশন চ্যানেলটি চালু হয়।[][] তিনি এইচ অ্যান্ড এফএস দ্বারা ভারতের সেরা এক্সিকিউটিভ শেফ পুরস্কারের প্রাপক। ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অফ কুলিনারি অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত সভায় তিনি মার্কারি গোল্ড পুরস্কার পান। তিনি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক রন্ধনসম্পর্কীয় প্যানেলের অন্যতম প্রধান সদস্য হিসাবে বোর্ডে রয়েছেন।[] আন্তর্জাতিক মানের রন্ধনশিল্পী হিসাবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। দেশে এবং বিদেশে তার বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁ রয়েছে। রান্নার বইয়েরও তিনি একজন জনপ্রিয় লেখক। প্রায় ১৫০টিরও বেশি রান্নার বইয়ের তিনি একজন রচয়িতা।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯২ সালের অক্টোবরে তিনি অ্যালিওনা কাপুরকে বিয়ে করেন। সঞ্জীব কাপুরের টারমারিক ভিশন প্রাইভেট লিমিটেড (টিভিপিএল) নামে একটি ব্যবসায়িক সংস্থা রয়েছে। অ্যালিওনা ঐ সংস্থার একজন অংশীদার।[]

সম্মাননা এবং পুরস্কার

[সম্পাদনা]
  • রন্ধনশিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ ভারতীয় অসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী (২০১৭)[]
  • ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া ২০১৭, নিউ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত[] অনুষ্ঠানে ৯১৮ কেজি খিচুড়ি রান্না করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জন করেন।
  • হার্ভার্ড অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা প্রকাশিত সঞ্জীব কাপুরের উপর কেস স্টাডি[]
  • ভারতীয় টেলিভিশন একাডেমি (আইটিএ) পুরস্কার (২০১৫) - জনপ্রিয় শেফ এবং উদ্যোক্তার জন্য (জাইকা-ই-হিন্দ)
  • ভারতীয় টেলিভিশন একাডেমি (আইটিএ) পুরস্কার (২০১০, ২০০৪, ২০০২) - সেরা রান্নার অনুষ্ঠানের জন্য (খানা খাজানা)
  • ভারতীয় খাবারে তার জনপ্রিয়তা এবং অবদানের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক ‘ভারতের সেরা শেফ’ জাতীয় পুরস্কার[১০]
  • ‘ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের ১০০’-এর রিডার্স ডাইজেস্টের তালিকায় ৩১তম এবং ফোর্বসের ‘শীর্ষ ১০০ ভারতীয় সেলিব্রিটি’-এর তালিকায় ৩৪তম স্থান।[১১]
  • স্টার প্লাস টেলিভিশনে আয়োজিত ভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক রান্নার রিয়েলিটি টেলিভিশন সিরিজ মাস্টার শেফ ইন্ডিয়ার সিজন ৩ এবং ৪ এর বিচারকদের প্যানেলে ছিলেন।[১২][১৩] ২০১০ সালের ১৬ অক্টোবর স্টার প্লাস-এ রান্নার এই রিয়েলিটি টেলিভিশন সিরিজটির প্রিমিয়ার হয়েছিল।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Monica Bhide (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "India's chef to millions"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১১ 
  2. Khan, Imran H. (১২ মার্চ ২০০৪)। "A Recipe for Success"The Daily Star। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২০ 
  3. Sen, Paromita (৩১ মার্চ ২০১০)। "My Fundays"The Telegraph (Kolkata)]]। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২০ 
  4. "Sanjeev Kapoor's Food Channel in HD"The Times of India। ২০ ডিসেম্বর ২০১০। ১৪ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. "Mushrooms are healthy for you; chef Sanjeev Kapoor shares why"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০১ 
  6. "Inside Story Chef Sanjeev Kapoor"sanjeevkapoor.com। ২০১৩-০৬-২৬। ২০১৭-১২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৩ 
  7. "Sanjeev Kapoor to be awarded a Padma Shri for his culinary contributions"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। জানুয়ারি ২৫, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৭ 
  8. "918 Kgs Of Khichdi, It's A Guinness World Record!"। ২০১৭-১১-০৪। 
  9. "Sanjeev Kapoor: The Recipe for Success"। ২০১৯-০৪-২৫। 
  10. "Top 10 Chefs in India – Most Famous and Successful" 
  11. "Sanjeev Kapoor, the only chef in Forbes 100, ranks higher than ever before"। ২০১৭-১২-২২। 
  12. "Master Chef Season 4 Cast" 
  13. "MasterChef India finale week starts! Vikas, Ranveer, Garima to task home cooks with intense challenges"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০১