ফ্লামেঙ্গো রেগাতাস ক্লাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্লামেঙ্গো রেগাতাস ক্লাব
পূর্ণ নামক্লুবে দে রেগাতাস দো ফ্লামেঙ্গো
ডাকনামরুব্রো-নেগ্রো (রাঙা-কালো)
মেঙ্গাও (বড় মেঙ্গো)
মালভাদাও (মন্দ)
উরুবু (শকুন)[১]
প্রতিষ্ঠিত১৭ নভেম্বর ১৮৯৫; ১২৮ বছর আগে (1895-11-17)
(রোয়িং ক্লাব)
২৪ ডিসেম্বর ১৯১১; ১১২ বছর আগে (1911-12-24)
(ফুটবল ক্লাব)
মাঠমারাকানা স্টেডিয়াম
ধারণক্ষমতা৭৮,৮৩৮[২]
সভাপতিব্রাজিল রোদোলফো লান্দিম
ম্যানেজারপর্তুগাল ভিতোর মানুয়েল পেরেইরা
লিগকাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আ
কাম্পেওনাতো কারিওকা
২০২২
২০২২
সেরিয়ে আ: ৫ম
কারিওকা: ২য়
ওয়েবসাইটক্লাব ওয়েবসাইট
বর্তমান মৌসুম

ক্লুবে দে রেগাতাস দো ফ্লামেঙ্গো (পর্তুগিজ: Clube de Regatas do Flamengo, পর্তুগিজ উচ্চারণ: [ˈklubi dʒi ʁeˈɡataʒ du flaˈmẽɡu]; সাধারণত ফ্লামেঙ্গো রেগাতাস ক্লাব, সিআর ফ্লামেঙ্গো এবং সংক্ষেপে ফ্লামেঙ্গো নামে পরিচিত) হচ্ছে রিউ দি জানেইরু ভিত্তিক একটি ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ব্রাজিলের শীর্ষ স্তরের স্তরের ফুটবল লিগ কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আতে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৮৯৫ সালের ১৭ই নভেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৭৮,৮৩৮ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট মারাকানা স্টেডিয়ামে রুব্রো-নেগ্রো নামে পরিচিত ক্লাবটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে।[৩] বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন পর্তুগিজ সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ভিতোর মানুয়েল পেরেইরা এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন রোদোলফো লান্দিম। বর্তমানে ব্রাজিলীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এভের্তোন রিবেইরো এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।[৪][৫]

ফ্লামেঙ্গো ব্রাজিলের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব, ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী ক্লাবটির ৪০.২ মিলিয়নেরও বেশি সমর্থক রয়েছে।[৬] এটি ব্রাজিলের সবচেয়ে ধনী এবং সবচেয়ে মূল্যবান ফুটবল ক্লাব, যার বার্ষিক আয় ৯৫০.০ মিলিয়ন ব্রাজিলীয় রিয়াল[৭] এবং ক্লাবটির মোট সম্পদ ২.৯ বিলিয়ন ব্রাজিলীয় রিয়াল।[৮]

ঘরোয়া ফুটবলে, ফ্লামেঙ্গো এপর্যন্ত ১৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছে;[৯] যার মধ্যে সাতটি কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আ, চারটি কোপা দো ব্রাজিল এবং দুইটি সুপারকোপা দো ব্রাজিল শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে একটি আন্তঃমহাদেশীয় কাপ, তিনটি কোপা লিবের্তাদোরেস এবং একটি কোপা দে ওরো শিরোপা রয়েছে। লিও মোরা, উইলিয়ান আরাও, গাব্রিয়েল বারবোসা, ব্রুনো এনরিকে পিন্তো এবং রেনাতো আব্রেউয়ের মতো খেলোয়াড়গণ ফ্লামেঙ্গোর জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রায় ৯৪ বছর পর, ১৯৮৯–৯০ মৌসুমে ফ্লামেঙ্গো প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের পেশাদার ফুটবলের শীর্ষ স্তর কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আতে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৮৯ সালের সালের ৭ই সেপ্টেম্বর তারিখে, কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আতে ক্লাব ইতিহাসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফ্লামেঙ্গো আতলেতিকো মিনেইরোর সাথে ০–০ গোলে ড্র করেছিল। ১৯৮৯–৯০ কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আতে ফ্লামেঙ্গো ৬টি জয় এবং ৭টি ড্রয়ে সর্বমোট ১৯ পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকায় ৯ম স্থান অর্জন করেছিল।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Curiosidade: A história do Urubu, símbolo do Flamengo"torcidaflamengo.com.br। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৯ 
  2. http://secure.rio2016.com/maracana/o-novo-estadio-do-maracana-tera-capacidade-para-78639-espectadores[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. https://www.transfermarkt.com/flamengo-rio-de-janeiro/stadion/verein/614
  4. https://www.transfermarkt.com/flamengo-rio-de-janeiro/startseite/verein/614
  5. https://www.worldfootball.net/teams/flamengo-rj/2023/2/
  6. "FIFA highlights Flamengo in the semifinals: "Only team in the world with 40 million fans"" (পর্তুগিজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 
  7. Cerioni, Clara। "Flamengo é o time que mais fatura no Brasil"। ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৮ 
  8. "Estudo coloca o Flamengo como a marca mais valiosa do futebol brasileiro em 201"। Globoesporte। ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৮ 
  9. "Flamengo perde em última instância e Sport é o campeão brasileiro de 1987"Gazeta Espórtiva। ২০১৮-০৩-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৫ 
  10. https://www.rsssf.org/tablesb/braz89.html

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]