বিষয়বস্তুতে চলুন

কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়
জন্ম( ১৮৯১-১২-১২)১২ ডিসেম্বর ১৮৯১
মৃত্যু১৬ মে ১৯৬৫(1965-05-16) (বয়স ৭৩)
মাতৃশিক্ষায়তনকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসাংবাদিকতা, অধ্যাপনা
দাম্পত্য সঙ্গীঅরুন্ধতী সরকার
পিতা-মাতারামানন্দ চট্টোপাধ্যায় (পিতা)
মনোরমা দেবী (মাতা)

কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়(১২ ডিসেম্বর ১৮৯১ — ১৬ মে ১৯৬৫) ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক। []

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার পাঠকপাড়ায়। তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতকের প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং প্রবাসী ও মডার্ন রিভিউ পত্রিকার সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও মাতা মনোরমা দেবীর জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার পিতা ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষকতার জন্য এলাহাবাদে যান এবং সেকারণে কেদারনাথের শৈশব কাটে এলাহাবাদে। তার প্রাথমিক পড়াশোনা সেখানকার অ্যাংলো-বেঙ্গলি স্কুলে। এলাহাবাদে কেদারনাথ ভালো হকি ও ক্রিকেট খেলতেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ সিটি কলেজে পড়াশোনার পর চলে যান ইংল্যান্ডে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে ভূতত্ত্বে বি.এসসি ও এ.আর.সি.এস পাশ করেন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে কেন্ট'-এর অস্ত্রোৎপাদন কারখানায় কাজ নেন। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে কর্মরত অবস্থায় এক দুর্ঘটনায় আহত হন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের দেশে ফিরে আসেন এবং গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক কারখানায় চাকরি নেন।

সাংবাদিকতায় কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে পিতার মৃত্যু হলে কেদারনাথ প্রবাসীমডার্ন রিভিউ পত্রিকার পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপনা করেন। তিনি শিশু কিশোরদের মৌচাক পত্রিকায় "জগন্নাথ পণ্ডিত" ছদ্মনামে লিখতেন। উল্লেখযোগ্য রচনা হল জগন্নাথের খেয়াল খাতা। তিনি "নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর" নামে রাহুল সাংকৃত্যায়নের বই বাংলায় অনুবাদ করেন।

কেদারনাথ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহচর্য পেয়ে এসেছেন। তিনি ও অমিয় চক্রবর্তী ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মসহায়রূপে সঙ্গী হয়ে পারস্য ভ্রমণে যান। [] কবির সে ভ্রমণবৃত্তান্ত তিনি প্রবাসীতে প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও যুদ্ধ সম্বন্ধে বিষয়ে প্রবন্ধ ও রচনা পত্রিকায় প্রকাশ করেন।

জীবনাবসান

[সম্পাদনা]

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মে কেদারনাথ কলকাতায় পরলোক গমন করেন। কলকাতার স্বনামধন্য চিকিৎসক নীলরতন সরকারের কন্যা অরুন্ধতী সরকার ছিলেন তার স্ত্রী। তিনি বিশ ও ত্রিশের দশকে রবীন্দ্রনাথের গানে বিশেষ নাম করেছিলেন। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ১৫৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "পারস্যে"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৬