আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস
জাতিসংঘ-এর পতাকা
পালনকারীরাষ্ট্রসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র
ধরনআন্তর্জাতিক দিবস
উদযাপনগোটা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কার্যসূচী পালন
তারিখ১১ অক্টোবর
সংঘটনবাৎসরিক

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস গোটা বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘ রাষ্ট্রসমূহ প্রতিবছর ১১ অক্টোবর তারিখে পালন করে। এই দিবসকে মেয়েদের দিনও বলা হয়। ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম এই দিবস পালন করা হয়েছিল। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা এই দিবসের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র সমূহ হল শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা, ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক তথা বাল্যবিবাহ।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নামের বেসরকারী অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠ-পোষকতাতে একটি প্রকল্প রূপে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের জন্ম হয়েছিল। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল "কারণ আমি একজন মেয়ে"(Because I Am a Girl) নামক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এই দিবসর ধারণা জাগ্রত হয়েছিল। এই আন্দোলনের মূল কার্যসূচী হল গোটা বিশ্বজুড়ে কন্যার পরিপুষ্টি সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই সংস্থার কানাডার কর্মচারীরা সকলে এই আন্দোলনকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে কানাডা সরকারের সহায়তা নেয়।

পরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার মধ্যে কানাডায় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উদযাপনের প্রস্তাব শুরু হয়। ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে এই প্রস্তাব রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয় ও ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়।[১] প্রতি বছর এর একটা থিম বা প্রতিপাদ্য থাকে। প্রথম কন্যাশিশু দিবসর থিম ছিল "বাল্য বিবাহ বন্ধ করা"।[২] দ্বিতীয় বার, ২০১৩ সালে থিম ছিল "মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্র অভিনব করে তোলা"।[৩] তৃতীয় ও চতুর্থ বারের থিম ছিল, "কৈশোরকে ক্ষমতা সম্পন্ন করা ও হিংসা চক্র বন্ধ করা"[৪] ও "কৈশোর কন্যার ক্ষমতা: ২০৩০ র পথ-প্রদর্শক"।

২০১৬ সালের এই দিবসের থিম হল "মেয়েদের উন্নতি=লক্ষ্যর উন্নতি"। ২০১৭ সালের কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘মেয়েদের ক্ষমতায়নে জরুরী সহায়তা ও প্রতিরোধ পরিকল্পনা’। [৫]

কার্যসূচী[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে গুলপীয়া আলোকে উদ্ভাসিত কিছু সরকারি অট্টালিকা
গুলপীয়া ফিনলেণ্ডিয়া হল, ২০১২

কন্যাশিশু দিবসর প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কার্যসূচী পালন করা হয়। তার কিছু রাষ্ট্রসংঘ প্রযোজনা করে। যেমন, ভারতএর মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত সাংগীতিক অনুষ্ঠান।[৬] কিছু বেসরকারী সংস্থা যেমন অষ্ট্রেলিয়ার গার্ল গাইড অস্ট্রেলিয়ায় উন্নত মানের কার্যসূচী পালন করে।[৭] স্থানীয় সংঘ নিজ নিজ অঞ্চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে টি-শার্ট মেয়েদের মাঝে বিতরণ করা হয়।[৮][৯]

গ্রন্থরাজি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ambrose, Rona and Rosemary McCarney (ডিসেম্বর ২৯, ২০১১)। "International Day of the Girl Child: girls' rights are human rights"Edmonton Journal। ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২ 
  2. "WHO | Ending child marriage"। Who.int। ২০১২-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২১ 
  3. International Day of the Girl Child, WHO
  4. "Day of the Girl Child - Gender equality - UNICEF"UNICEF। ১৭ অক্টোবর ২০১৪। ১৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  5. "আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস আজ"প্রিয়.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১২ 
  6. Bhandary, Shreya (সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১২)। "'Because I am a Girl Rock Concert' to celebrate first ever 'International Day of the Girl Child'"Times of India। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২ 
  7. "International Day of the Girl Child"। Girl Guides Australia। জুন ১১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২ 
  8. "South Africa: Women, Football and Song"। All Africa (orig. in Daily Maverick)। সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২ 
  9. Martinson, Jane (১১ অক্টোবর ২০১৩)। "Body Gossip puts spotlight on models and body image"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]