ফয়েজা হাশেমি রাফসানজানি
ফয়েজা হাশেমি রাফসানজানি | |
---|---|
ইরানের পার্লামেন্ট | |
কাজের মেয়াদ ৮ মে ১৯৯৬ – ৩ মে ২০০০ | |
সংসদীয় এলাকা | তেহরান |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ৮৫২,৬০৯ (৩৪.৮%)[১] |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ফয়েজা হাশেমি বাহ্রামণি[১] ৭ জানুয়ারি ১৯৬৩ কোম, ইরানের ইম্পেরিয়াল স্টেট[১] |
রাজনৈতিক দল | কনস্ট্রাকশন পার্টির নির্বাহী |
দাম্পত্য সঙ্গী | হামিদ লাহৌতি[২] |
সন্তান | ২ |
পিতামাতা | আকবর হাশেমি রাফসানজানি ইফফাত মারাশি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইসলামী আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটি |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
জীবিকা | সাংবাদিক |
ফয়েজা হাশেমি রাফসানজানি, ( তিনি ব্রামানি নামেও পরিচিত, ফার্সি: فائزه هاشمی رفسنجانی ; জন্ম ৭ জানুয়ারি ১৯৬৩) একজন ইরানি নারী অধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন সাংবাদিক যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত ইরানের পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কনস্ট্রাকশন পার্টি মহিলা লীগের নির্বাহী সভাপতি এবং জান পত্রিকার প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক। তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আকবর হাশেমি রাফসানজানির মেয়ে এবং ফাতেমা রাফসানজানি এবং মেহেদি রাফসানজানির বোন।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]রাফসানজানি আলী আকবর হাশেমি রাফসানজানি ও এফফাত মারশীর মেয়ে । [৩] তিনি বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ে আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]রাফসানজানি ছিলেন মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কনস্ট্রাকশন পার্টির নির্বাহী সদস্য।[৪] ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে তিনি তেহরানের সংসদ প্রতিনিধি ছিলেন।[৩] তিনি ১৯৯৮ সালে মহিলা সংবাদপত্র জান প্রতিষ্ঠা করেন, যা ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে বন্ধ করা হয়।[৫][৬]
দর্শন এবং সক্রিয়তা
[সম্পাদনা]১৯৯৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, রাফসানজানি মোহাম্মদ খাতামিকে সমর্থন করেছিলেন।[৫] ২০০৯ সালের ইরানের নির্বাচনী বিক্ষোভের সময়, রয়টার্স জানিয়েছিল যে, রাফসানজানি ১৬ জুন তেহরানে একটি নিষিদ্ধ বিরোধী সমাবেশে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং পরবর্তীতে তাকে দেশ ছাড়তে নিষেধ করা হয়।[৭] ২০০৯ সালের ২০ জুন তেহরানে (চারজন আত্মীয়সহ),[৮] ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে "অস্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া এবং উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার পরে" কমপক্ষে দুবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সংক্ষিপ্তভাবে আটক করা হয়েছিল (ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম)। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়।[৯] ২০১১ সালের মার্চ মাসে তার ছেলে হাসানকেও গ্রেফতার করা হয়।[১০] ইন্টারনেটে কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয় সেখানে দেখা যায় তাকে কট্টরপন্থীদের দ্বারা হয়রানি করা হচ্ছে। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে এক ভিডিওতে দেখা যায় হাশেমিকে বেশ কয়েকজন "কট্টরপন্থী" ঘিরে রেখেছে, তাকে হিংসার হুমকি দিয়েচ্ছে, তাকে অপমান করেছে, তাকে "বেশ্যা" বলেছে এবং "রাফসানজানীর মৃত্যু" বলে স্লোগান দিচ্ছে।[১১] ফয়েজ নারীদের অধিকারের পক্ষে, এবং কঠোর পরিধান রীতি নীতি শিথিল করার কট্টর সমর্থক ছিলেন। তিনি চাদর পরা ও বাধ্যতামূলক হিজাব পরার বিরোধিতা প্রকাশ করেন।[১২] তিনি সংলাপ প্রচারের জন্য ইউরোপ, আফ্রিকা এবং ভারতে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করেন এবং সমস্ত অঞ্চলের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন। তিনি মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এবং নেলসন ম্যান্ডেলার কার্যকরী আন্দোলন সম্পর্কে ইতিবাচকভাবে প্রবন্ধ লিখেন।[১৩]
বিচার
[সম্পাদনা]১ ম বিচার
[সম্পাদনা]ফয়েজা হাশেমি রাফসানজানি | |
---|---|
অপরাধীর অবস্থা | দোষী সাব্যস্ত |
দণ্ডাদেশের কারণ | সিস্টেমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার |
অবস্থা | বাক্য সমাপ্ত এবং মুক্তি |
উদ্দিষ্ট তারিখ | ২০১২–২০১৩ |
কারারুদ্ধ | এভিন কারাগার |
২১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে, বন্ধ ঘরে শুনানির পর, তার আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি শাসনবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। আদালত তাকে শাসনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগের কথা জানানোয় তিনি এবং তার আইনজীবী আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। হাশেমিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর সংঘটিত বেশ কয়েকটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর মুক্তি দেওয়া হয়। যেখানে বিরোধী দল ভোটের কারচুপির দাবী সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাসনবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার বাবা, আকবর হাশেমি রাফসানজানি রক্ষণশীলদের কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন, যারা দাবি করেছিলেন যে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা মীর -হোসেন মুসাভি এবং মেহেদি কররুবিকে প্রকাশ্যে নিন্দা জানান - ফলে তিনি বিশেষজ্ঞদের শক্তিশালী সমাবেশে তার আসন হারান। রাফসানজানি পরে বিরোধী নেতাদের থেকে কিছুটা দূরে সরে যান এবং তাদের সমর্থকদের দ্বারা শেষ সরকারবিরোধী বিক্ষোভের নিন্দা জানান। কিন্তু তার অবস্থান রক্ষণশীলদের সন্তুষ্ট করেনি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সাজা
[সম্পাদনা]২০১২ সালের ৩ জানুয়ারি তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের জন্য ২০ দিন সময় ছিল।[১৪] ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২, হাশেমিকে তার সাজা ভোগ করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।[১৫] তাকে এভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।[১৬] সাজা শেষ হওয়ার পর ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তিনি মুক্তি পান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২ য় বিচার এবং সাজা
[সম্পাদনা]ইরানের সংবাদমাধ্যম জানায়, ১৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে তাকে আবারও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারণ হিসাবে বলা হয় তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়েছেন।[১৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "সংসদ সদস্যরা" (Persian ভাষায়)। Iranian Majlis। ১৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "روایت مرگ مشکوک آیتالله لاهوتی در اوین"। Radio Farda (Persian ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ "Profile - Hoj. Ali Akbar Rafsanjani"। APS Review Gas Market Trends। ১৯ এপ্রিল ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩।
- ↑ Gasiorowski, Mark J. (১ অক্টোবর ২০০০)। "The power struggle in Iran"। Middle East Policy। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩।
- ↑ ক খ "Profile - Sayyed Mohammad Khatami"। ১৯ এপ্রিল ১৯৯৯।
- ↑ Arash Karami (১৯ আগস্ট ২০১৩)। "Faezeh Rafsanjani: Prison Was the Best Time of My Life"। Al Monitor। ২৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Rafsanjani children barred from leaving Iran- report"। Reuters। ১৮ জুন ২০০৯।
- ↑ Fathi, Nazila; Slackman, Michael (২১ জুন ২০০৯)। "Relatives of Ex-President of Iran are Briefly Detained"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১০।
- ↑ "Daughter of former Iranian leader held"। ITN। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩।
- ↑ "Iran arrests ex-president Rafsanjani's grandson: reports"। AFP Global Edition। ২২ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Hard-Liners Attack Rafsanjani's Daughter, As He Faces Pressure, RFERL, 27 February 2011, Retrieved 11 March 2011
- ↑ "Iranian press review: Late president's daughter rejects compulsory hijab"। Middle East Eye। ২ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ Faeze Hashemi Author
- ↑ "Iran jails former President Rafsanjani's daughter"। BBC News। ৩ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Iran arrests daughter of ex-president Rafsanjani: reports"। AFP। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "Iran ex-president's daughter freed from jail"। Arab News। Tehran। ১৯ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩।
- ↑ "Former Iranian Leader's Daughter Jailed For 'Spreading Propaganda'"। Radio Free Europe/Radio Liberty। ১৮ মার্চ ২০১৭।