শামলীর যুদ্ধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শামলীর যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭
তারিখ১০ মে – সেপ্টেম্বর ১৮৫৭
অবস্থান
ফলাফল কোম্পানি পরাজিত[১]
বিবাদমান পক্ষ
ওলামা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি
রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি
মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি
মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতুবি
জামেন শহীদ 
মুহাম্মদ মুনির নানুতুবি
নজিব আলী চৌধুরী
অজানা
শক্তি
অজানা অজানা
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
অজানা অজানা

শামলীর যুদ্ধ বা থানা ভবনের যুদ্ধ ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের ধারাবাহিকতায় ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে ১৮৫৭ সালের ১০ মে সংঘটিত হয়েছিল।[২]

১৮৫৭ সালের ১০ মে ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নেতৃত্বে কোম্পানি শাসনের বিরুদ্ধে একটি সহিংস প্রতিবাদ করতে স্থানীয় মুসলমানরা দিল্লি থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে বর্তমান উত্তরপ্রদেশের শামলী জেলার একটি ছোট শহর থানা ভবনে জড়ো হয়েছিল। আলেমরা সেদিন বিজয়ী হয় এবং একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করে, যা পরবর্তীতে শামলীর যুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি পায়।[৩][৪] উক্ত যুদ্ধে ওলামাদের পক্ষে মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি সেনাপতি ছিলেন এবং রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি রাজ্যের কাজী ছিলেন তবে মুহাম্মদ জামিনের হত্যা এবং সিপাহী বিদ্রোহের অন্যতম প্রধান নেতা বাহাদুর শাহ জাফরের গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি কোম্পানিদের পক্ষে ও শামলী ব্রিটিশদের হাতে চলে যায় এবং থানা ভবনটি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনী দ্বারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wali Rahmani (সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "کیا ۱۸۵۷/ کی جدوجہد "پہلی "جنگ آزادی تھی ؟" [Was the 1857 first war of Independence?]। Darul Uloom। Darul Uloom Deoband। 1 (9)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২১ 
  2. "স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রথম যুদ্ধ কী ছিল?"দারুল উলুম দেওবন্দ.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭ 
  3. "কে ১৮৫৭–এর শামলীর যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল?"দ্য মিল্লি গ্যাজেট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭ 
  4. তায়াগি, অনিল। "শামলীর যুদ্ধ" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭ 
  5. "স্বাধীনতা যুদ্ধে মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির ভূমিকা"জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া (উর্দু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭ 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • নাজমুল হাসান থানভী। ময়দানে শামলী ওয়া থানা ভবন অর সারফারোশনে ইসলাম (উর্দু ভাষায়)। থানা ভবন: ইদারা তালিফাতে আশরাফিয়া।