বিষয়বস্তুতে চলুন

পবিত্রকুমার সেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পবিত্রকুমার সেন
জন্ম(১৯০৬-০৫-১৫)১৫ মে ১৯০৬
কসবা ত্রিপুরা বর্তমানে কুমিল্লা বাংলাদেশ
মৃত্যু১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭(1997-09-15) (বয়স ৯১)
পেশাঅধ্যাপনা এবং শিক্ষাবিদ
পিতা-মাতানীলকমল সেন (পিতা)
কাশীবাসী দেবী (মাতা)
পুরস্কাররথীন্দ্র পুরস্কার

পবিত্রকুমার সেন (১৫ মে ১৯০৬ - ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ - ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ ) [] ছিলেন বিশিষ্ট উদ্ভিদ-কৃষিবিজ্ঞানী। ১৯৫০ এর দশকে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের খয়রা অধ্যাপক হন এবং "কৃষি কলেজ" স্থাপন করেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

পবিত্রকুমার সেনের জন্ম বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ত্রিপুরার অধুনা বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার কসবায়। পিতা বিশিষ্ট আইনজীবী নীলকমল সেন এবং মাতা কাশীবাসী দেবী। তিনি ত্রিপুরা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিদ্যায় প্রথম শ্রেণীতে অনার্স ও জুবিলি পুরস্কারসহ বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশের পর লন্ডনে যান। তিনি ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

দেশে ফিরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দু-বছর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে গবেষণা ও অধ্যাপনা করেন। পরে দিল্লির ইম্পিরিয়াল কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এ ফিজিয়োলজিক্যাল বোটানিস্ট হিসাবে যোগ দেন। সেখান থেকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য (ফল সংক্রান্ত গবেষণা) তাঁকে ইংল্যান্ডের ইস্ট মলিং সংস্থায় পাঠানো হয়। দেশে ফিরে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ভারতে বৃটিশ সরকারের অধীনে বিহারের ভাগলপুর নিকটস্থ সবুরে হর্টিকালচারিস্ট হিসাবে কাজ করতেন। তিনি কলকাতায় কৃষি কলেজ স্থাপনার জন্য  শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক আমন্ত্রিত হন। চল্লিশের দশকে  তিনি  মহাত্মা গান্ধী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুপ্রেরণায় শান্তিনিকেতনে গ্রামোন্নয়নে ব্রতী হন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের খয়রা প্রফেসর অফ এগ্রিকালচারে অধ্যাপনা করেন এবং সেই সাথে তিনি পশ্চিমবঙ্গের  তৎকালীন মেদিনীপুর জেলার অনগ্রসর দুর্গম এক গ্রাম কাপগাড়িতে সেবাভারতী নামে এক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেন। তিনি ভারতের এই দরিদ্র গ্রাম কাপগাড়িতে নার্সারিস্তর থেকে শিক্ষা প্রদানের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করেন [] ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ডিন অফ দি ফ্যাকাল্টি অফ এগ্রিকালচার ছিলেন আর এই সময়েই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে কৃষি নিয়ে পড়াশোনা তিনিই চালু করেন। অধ্যাপক ড. সেন বহুচর্চিত উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য  গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ রচনা করেছেন। যেমন -  "দ্য ভিলেজ সিচুয়েশন ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড রি-অর্গানাইজেশন অব ইটস্ এগ্রিকালচারাল রিসোর্সেস: এ কেস স্টাডি":এবং এটি এগ্রিকালচারাল অ্যাডমিনিস্টেশন, এলশেভিয়ার কর্তৃক প্রকাশিত  হয় । []

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

ড.পবিত্রকুমার সেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর হন। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি ডি.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষা বিস্তার ও গ্রামোন্নয়নের কাজে বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের "রথীন্দ্র পুরস্কার"-এ ভূষিত হন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Anjali Bose (২০১৯)। Sansad Bengali Charitabhidhan Vol.II। Sahitya Sansad,Kolkata। পৃষ্ঠা 211। আইএসবিএন 978-81-7955-292-6 
  2. "www.kapgari.org"। ২৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২২ 
  3. Sen, P.K.; Ghoshal, S.N. (১৯৭৬)। "The village situation in India and reorganisation of its agricultural resources: A case study": 53–77। ডিওআই:10.1016/0309-586X(76)90032-7