পাতি আবাবিল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পাতি আবাবিল
ইউরোপে পাতি আবাবিল
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Passeriformes
পরিবার: Hirundinidae
গণ: Hirundo
প্রজাতি: H. rustica
দ্বিপদী নাম
Hirundo rustica
লিনিয়াস, ১৭৫৮
পাতি আবাবিলের বিচরণ
  প্রজনন পরিসীমা
  সারা-বছর বাস করে
  অ-প্রজনন পরিসর
প্রতিশব্দ
  • Hirundo erythrogaster

পাতি আবাবিল (বৈজ্ঞানিক নাম: Hirundo rustica), পৃথিবীতে সব থেকে বেশি বিস্তৃত সোয়ালো প্রজাতি।[২] এটা প্যাসারিন জাতের পাখি, উর্ধাংশ নীল, লম্বা চেরা লেজ। এদেরকে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং আমেরিকায় পাওয়া যায়।[২] ইউরোপে এদেরকে সোয়ালো নামে ডাকা হয়।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

লেজের বাইরের পালক ২–৭ সেমিসহ পূৰ্ণবয়স্ক একটি পাতি আবাবিলের দেহের দৈৰ্ঘ্য প্ৰায় ১৭-১৯ সেমি। এর ডানার বিস্তৃতি ৩২–৩৫.৫ সেমি এবং ওজন প্ৰায় ১৬-২২ গ্ৰাম হয়৷

শ্রেণিবিন্যাস[সম্পাদনা]

পাতি আবাবিলের বিষয়ে সর্ব প্রথম কার্ল লিনিয়াস ১৭৫৮ সালে তার 'সিস্টেমা ন্যাচারাই' নামের গ্রন্থে 'Hirundo rustica' নামে উল্লেখ করেছিলেন৷[৩][৪]

আবাস্থল[সম্পাদনা]

সোয়ালো পাখি বসবাসের জন্য পছন্দ করে কাছাকাছি পানির উৎস আছে এরূপ ফসলের জমি। এরা ঘন জংগলাকীর্ণ এলাকা অপছন্দ করে। অল্প গাছপালা, উন্মুক্ত এলাকা এদের পছন্দ। গোলাঘর, আস্তাবল, কালভার্টের ফোকরে, গাছের ডালে এরা বাসা বাঁধে। এরা ককেশাস, উত্তর আমেরিকাতে বাস করে। এরা মরুভুমি এবং উত্তরাংশের ঠান্ডা অঞ্চল পরিহার করে। এরা শহরাঞ্চল পছন্দ করে না, ইউরোপ, জাপানে এরা গ্রামীণ এলাকাতেই বাস করে।

স্বভাব[সম্পাদনা]

পাখির বাসায় বাচ্চারা খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে

পাতি আবাবিলের স্বভাব অন্যান্য পতংগভুক পাখিদের মতই। এরা খুবই আকর্ষনীয় পাখি, উড়ন্ত পোকা ধরে খেতে এরা পছন্দ করে। এরা খুব দ্রুত উড়তে পারে না, এদের ওড়ার গতি ১১-২০ মিটার/সেকেন্ড এবং সেকেন্ডে ডানা ঝাপটানোর হার ৭-৯ বার।[৫][৬] এদেরকে প্রায়শই উন্মুক্ত, অর্ধ উন্মুক্ত স্থানে অল্প উঁচু দিয়ে উড়তে দেখা যায়। সোয়ালো পাখি নদী, লেক থেকে উড়তে উড়তে পানি খায়। এরা গোছলও এভাবে করে। উড়তে উড়তে টুপ করে ডুব দিয়ে ওঠে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল (২০১২)। "Hirundo rustica"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২ 
  2. Turner, Angela K; Rose, Chris (১৯৮৯)। Swallows & martins: an identification guide and handbook। বস্টন: হিউটন মিফলিন। আইএসবিএন 0-395-51174-7  p164–169
  3. (লাতিন) Linnaeus, Carolus (১৭৫৮)। Systema naturae per regna tria naturae, secundum classes, ordines, genera, species, cum characteribus, differentiis, synonymis, locis. Tomus I. Editio decima, reformata.। Holmiae. (Laurentii Salvii).। পৃষ্ঠা 191। 
  4. Lewis, Charlton T (১৮৮৮)। A Latin dictionary for schools। Harper & Brothers। আইএসবিএন 0-19-910204-X 
  5. Liechti, Felix; Bruderer, Lukas (১৫ আগস্ট ২০০২)। "Wingbeat frequency of barn swallows and house martins: a comparison between free flight and wind tunnel experiments"The Journal of Experimental Biology। The Company of Biologists। 205 (16): 2461–2467। পিএমআইডি 12124369 
  6. Park, Kirsty; Rosén, Mikael; Hedenström, Anders (২০০১)। "Kinematics of the barn swallow (Hirundo rustica) over a wide range of speeds in a wind tunnel"The Journal of Experimental Biology204 (15): 2741–2750। আইএসএসএন 0022-0949পিএমআইডি 11533124। ৯ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০০৭ 
  7. Burton, Robert (১৯৮৫)। Bird behaviour। London: Granada। আইএসবিএন 0-246-12440-7 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]