ভারতী দয়াল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভারতী দয়াল
জন্মডিসেম্বর ১৯৬১ (বয়স ৬২)
সমস্তিপুর, বিহার, ভারত[১]
পেশাচিত্রশিল্পী
কর্মজীবন১৯৮৪–বর্তমান
পরিচিতির কারণমধুবনী (মিথিলা) চিত্রকলা

ভারতী দয়াল (জন্ম ১৯৬১ সালের ডিসেম্বর) হলেন একজন ভারতীয় মধুবনী চিত্রকলাশিল্পী। তাঁর জন্ম উত্তর বিহারের দারভাঙ্গা জেলার সমস্তিপুরে[২] তিনি মধুবনী চিত্রকলায় বিশেষরূপে দক্ষ।

জীবনী[সম্পাদনা]

দয়াল উত্তর বিহারের দরভাঙ্গা জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই মিথিলা অঞ্চলটি মধুবনী চিত্রকলার জন্য বিখ্যাত। তিনি বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন (এমএসসি)।[২]

কাজ[সম্পাদনা]

কীভাবে মধুবনী চিত্রকলা তৈরি করা হয়, ভারতী দয়াল তা দেখাচ্ছেন।

অল্প বয়স থেকেই তিনি মা ও ঠাকুরমার কাছ থেকে মধুবনী চিত্রকর্ম শিখেছিলেন।[২][৩] বিজ্ঞান বিষয়ে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পরে, তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে এই কলাকে তাঁর পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি মিথিলাতে প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছেন এবং নতুনদিল্লিতে তাঁর চিত্রকলা স্টুডিওটিতে কাজ করছেন। মিথিলার ঐতিহ্যের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি থেকে বিচ্যুত না হয়েই ভারতী দয়াল, তাঁর কাজে, মূলত প্রাচীন মধুবনী শিল্প রূপ এবং আধুনিক সময়ের শিল্পের একত্রীকরণ করছেন।[৪] তিনি নিজে থেকেই তাঁর অঞ্চলের অন্যান্য মহিলা শিল্পীদের সহায়তা করার জন্য নিয়ে এসেছেন এবং তাদের কাজটি পরিমার্জন করতে তাদের দিকনির্দেশ করেছেন।[১][২]

দয়াল অ্যাক্রিলিক এবং ক্যানভাসের মতো আধুনিক মাধ্যম ব্যবহার করে ঐতিহ্যবাহী মধুবনী শিল্পকে সমসাময়িক ছাঁচে ঢেলেছেন। তিনি প্রাকৃতিক, উদ্ভিজ্জ-ভিত্তিক রঙ ব্যবহার করেন। তাঁর চিত্রগুলিতে, কৃষ্ণ এবং রাধার উপস্থাপনায় "ভালবাসা, আকাঙ্ক্ষা এবং শান্তি"র অবতারণা রয়েছে।[২]

প্রদর্শনী[সম্পাদনা]

দয়াল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর কাজের অসংখ্য প্রদর্শনী করেছেন। ১৯৯৫ সালে ফরাসি টেলিভিশনে প্রদর্শিত একটি তথচিত্রের বিষয় ছিল তাঁর মধুবনী শিল্প।[১][২] ২০১৫ সালের জুন এবং ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে ক্যানভাসের ওপর অ্যাক্রিলিকে আঁকা তাঁর কাজের একটি প্রদর্শনী হয়েছিল স্যাক্রেড আর্টের সংগ্রহশালায় (মোসা)।[৫]

দ্য নিউ বিহার বইটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দয়ালের সাতটি মধুবনী চিত্রকলা, যেগুলি সমসাময়িক আধুনিক বিষয়ের সাথে ঐতিহ্যবাহী শিল্পের সংমিশ্রণ। বইটির প্রচ্ছদে তাঁর আঁকা চিত্রের বিষয় হল একটি মেয়ে সাইকেল চালাচ্ছে। ছবিটি "মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং শিক্ষার সন্ধান" এর প্রতীক। এর সাথে আছে একটি মাছ, যেটি "রামধনু কৃষি"র বিষয় বা গ্রামীণ আয় বাড়ানোর জন্য কৃষিকাজের মিশ্রণকে অনুসরণ করা বোঝায়। বইয়ের লেখক এন.কে. সিং ও নিকোলাস স্টার্ন পর্যবেক্ষণ করেছেন: "সমসাময়িক বিষয়বস্তুতে ভারতীর ঐতিহ্যবাহী শৈলীর ব্যবহার মধুবনী শিল্পের পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাখতে পারে"।[৬]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • এআইএফএসিএস
  • সহস্র বৎসরের পুরস্কার
  • জাতীয় মেধা পুরস্কার
  • ২০০৬: হস্তশিল্পে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ভারতের জাতীয় পুরস্কার[২]

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

Cover art

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bharti Dayal"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২১ 
  2. "Artists: Bharti Dayal (b. 1961)"। Museum of Sacred Art। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৬ 
  3. "Bharti Dayal"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২১ 
  4. "Bharti Dayal"। ১৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২১ 
  5. Gurvich, Martin। "Exhibitions:Madhubani Art (Indian Art Series) – Bharti Dayal [June 2015 – June 2016]"। Museum of Sacred Art। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৬ 
  6. Singh ও Stern 2013, পৃ. 6।

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]