নাসিকের আঙুর
নাসিকের আঙুর হল আঙুরের একটি প্রজাতি, যেটি নাসিক জেলায় উৎপাদিত হয়। এই জেলা "ভারতের "আঙুর রাজধানী" হিসাবে পরিচিত। দেশ থেকে মোট আঙুর রফতানির অর্ধেকেরও বেশি অবদান নাসিকের।
উৎপাদন[সম্পাদনা]
"ভারতের আঙুর রাজধানী" নামে পরিচিত নাসিক, দেশের শীর্ষস্থানীয় আঙুর উৎপাদক।[১][২] ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী এখানে আঙুর চাষের আওতায় প্রায় ১.৭৫ লক্ষ হেক্টর জমি রয়েছে।[৩] এখানে প্রতি হেক্টরে প্রায় ২০ মেট্রিক টন হিসেবে মোট ১০ লাখ মেট্রিক টন আঙুর উৎপাদিত হয়।[২] প্রায় ৮,০০০ একর জমি দ্রাক্ষাসুরা প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় আঙুরের চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়।[৪] নাসিক জেলার আঙুর উৎপাদনের ক্ষেত্রগুলি হল কালওয়ান, পিন্ট ইগতপুরী, সিন্নার, নিফাদ, ইয়েলা, নন্দগাঁও, সাতানা, ফুরগানা, দিনদোরি, মেলগাঁও।[৫]
রফতানি[সম্পাদনা]
ভারত থেকে আঙুর রফতানির ৫৫ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের ৭৫% নাসিকে উৎপাদিত হয়।[১] নাসিকের আঙুর রফতানি ২০০৩ সালে প্রায় ৪,০০০ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২০১৩ সালে ৪৮,০০০ মেট্রিক টনেরও বেশি হয়েছিল। ২০১৪ সালে রফতানি আরও বেড়ে ৬৫,০০০ মেট্রিক টনেরও বেশি হয়েছে।[৩] রফতানির প্রায় অর্ধেক অংশ নেদারল্যান্ডসে যায়; পরবর্তী প্রধান গন্তব্যস্থলগুলি হল জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং বেলজিয়াম।[৬] ২০১৩-১৪ সালে, রাশিয়া এবং চীন নাসিক আঙুরের প্রধান বাজার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।[২]
ভৌগোলিক নির্দেশক[সম্পাদনা]
ভৌগোলিক নির্দেশকের সামগ্রী (নিবন্ধকরণ এবং সুরক্ষা) আইন, ১৯৯৯ অনুযায়ী, ২০১০-১১ সালে নাসিক আঙুর ভৌগোলিক নির্দেশকের মর্যাদা লাভ করেছিল।[৭]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Pawar, Tushar (২১ এপ্রিল ২০১১)। "Nashik grape exports dip 58%"। Business Standard। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ Kasabe, Nanda (২৩ জানুয়ারি ২০১৪)। "Nashik grape exports set to increase as farmers go after juicier returns"। The Financial Express। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ Kasabe, Nanda (১১ ডিসেম্বর ২০১৫)। "India's grape growers expect record exports this season"। The Financial Express। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Pawar, Tushar (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Grape-growers' body imports five varieties of table grapes in Nashik"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Chitnis, Paresh। "Catchment areas of market: Showing the details of catchment areas of market of grapes in leading states"। Apeda.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসে ২০১৭।
- ↑ Pawar, Tushar (২৮ মার্চ ২০১৪)। "Grape exports rise in district"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "State Wise Registration Details of G.I Applications" (পিডিএফ)। Geographical Indication Registry। পৃষ্ঠা 5। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬।