বিষয়বস্তুতে চলুন

মাদ্রাসা আস-সাওলাতিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মাদ্রাসা আস-সাওলাতিয়া (আরবি: مدرسة الصولتية, মাদ্রাসাহ আস-সাওলাতিয়াহ) সৌদি আরবের মক্কার একটি ইসলামী বিদ্যালয়।[] এটি ১৮৭৩ সালে রহমতুল্লাহ কিরানবী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

মক্কায় অবস্থানকালে, কিরনবী সেখানে উক্ত ধর্মীয় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। রহমতুল্লাহ কিরানবী মসজিদুল-হারামে শাইখ-উল-উলামা (শীর্ষস্থানীয় পণ্ডিত) শেখ আহমদ দাহলান আস-শাফি কর্তৃক প্রভাষক হিসাবে নিযুক্ত হন। কিরানবী শিক্ষকতা শুরু করেন এবং বুঝতে পারেন যে সেখানের পাঠগুলো পরিকল্পিত একাডেমিক বক্তৃতার বদলে খুতবা হিসাবে দেওয়া হয়েছিল, যা ছাত্রদের জন্য যথেষ্ট ফলপ্রসূ নয়। তিনি কিছু ভারতীয় মুসলিম অভিবাসী ও শুভাকাঙ্ক্ষী ধনী লোককে একত্রিত করেন যাতে একটি উপযুক্ত পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে ইসলামী বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য একটি খাঁটি ইসলামিক আইন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যায়। তিনি ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে (১২৯০ হিজরি) মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন, যার প্রধান অবদানকারী ছিলেন সওলাত-উন-নিসা নামে কলকাতার এক মহিলা,[] যার নামে মাদ্রাসা নামকরণ করা হয়েছে। মাদ্রাসাটি এখনও বিদ্যমান ও এটি দেওবন্দী আইনশাস্ত্রের সাথে জড়িত এবং বিশ্বজুড়ে এর বহু প্রখ্যাত প্রাক্তন ছাত্র রয়েছে। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা রামাতুল্লাহ কৈরানভীর লেখা ইজহার-উল-হক নামক বইটি খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে বিতর্কের প্রতি আহমেদ দিদাতের সক্রিয়রুপে আগ্রহী হওয়ার মূল কারণ ছিল।

সুপরিচিত তথ্যসূত্র অনুসারে,মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশিষ্ট শেখ হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী এবং এর জন্য অনুদান দিয়েছিলেন সওলাত-উন-নিসা, যিনি শেখের ছাত্রী ছিলেন। বং অঞ্চলের মুহাম্মদ ইসহাক এই বিদ্যালয়ের একটি প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Exploring the Dutch Empire: Agents, Networks and Institutions, 1600-2000। Bloomsbury। পৃষ্ঠা 119। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২০ 
  2. Bernard G. Weiss। Studies in Islamic Legal Theory। পৃষ্ঠা 381। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২০ 
  3. এম.এ কাসেম (২০১২)। "ইসহাক, মওলানা মুহাম্মদ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743