পশ্চিম সুমাত্রার গ্র্যান্ড মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ০°৫৫′২৭″ দক্ষিণ ১০০°২১′৪৫″ পূর্ব / ০.৯২৪২৩৪° দক্ষিণ ১০০.৩৬২৪৯২° পূর্ব / -0.924234; 100.362492
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পশ্চিম সুমাত্রার গ্র্যান্ড মসজিদ
মসজিদ রায়া সুমাতেরা বেরাত
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
প্রদেশপশ্চিম সূমাত্রা
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানপাদাং, ইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক০°৫৫′২৭″ দক্ষিণ ১০০°২১′৪৫″ পূর্ব / ০.৯২৪২৩৪° দক্ষিণ ১০০.৩৬২৪৯২° পূর্ব / -0.924234; 100.362492
স্থাপত্য
স্থপতিরিজাল মুসলিমীন
ধরনমসজিদ
ধারণক্ষমতা২০,০০০[১]

পশ্চিম সুমাত্রার গ্র্যান্ড মসজিদ (ইন্দোনেশিয়ান: মসজিদ রায়া সুমাতেরা বরাত) ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার পদাংয়ের একটি মসজিদ। এটি পশ্চিম সুমাত্রার বৃহত্তম মসজিদ এবং সুমাত্রার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটি পশ্চিম সুমাত্রার পদাং উতারা উপজেলা, পাদাং জেলায় অবস্থিত। পশ্চিম সুমাত্রার গ্র্যান্ড মসজিদটি খতিব সুলাইমান রোড এবং আহমদ দাহলান রোডের মোড়ে ৪০,৪৩৩ বর্গ মিটার একটি কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত।

নির্মাণ[সম্পাদনা]

২০০০ সালের ২১ শে ডিসেম্বর নির্মাণের প্রথম পাথরটি স্থাপন করা হয়। পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের গভর্নর গামওয়ান ফৌজি উদ্বোধন করেন।

বাজেটের সমস্যার কারণে নির্মাণে দীর্ঘ সময় লেগেছে। পশ্চিম সুমাত্রার আঞ্চলিক সরকারের বাজেটের উপর নির্ভর করা ছাড়াও অন্যান্য খাত থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হয়ে ছিল। যেমন: জনগণের কাছ থেকে, বেসরকারী খাত থেকে এবং বিদেশী সরকারদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করা হয়ে ছিল। ২০০৯ সালে সৌদি সরকার মসজিদটি নির্মাণের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল সরবরাহ করেছিল। তবে এটি ২০০৯ সালের পশ্চিম সুমাত্রার ভূমিকম্পের একই সময়ে হওয়াই এই তহবিল মসজিদ নির্মানের পরিবর্তে ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবহার করা হয়। ২০১৪ সালে তুর্কি সরকার মসজিদের জন্য কার্পেট দান করেছে। [২]

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মসজিদে প্রথমবারের মতো নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

মসজিদটির ডিজাইন করেছিলেন স্থানীয় স্থপতি রিজাল মুসলিমিন, যিনি পশ্চিম সুমাত্রার একটি নতুন মসজিদের জন্য ২০০৭ সালের এক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসাবে নির্বাচিত হোন। যে প্রতিযোগিতায় বিশ্বজুড়ে ৩২৩ জন স্থপতি অংশগ্রহণ করেছিলেন। [১]

মসজিদের সর্বাধিক স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য হলো, এর ছাদের গঠন। স্থানীয় ভাষায় যাকে মিনাঙ্গকাবাউ বলা হয়। ছাদটির আকৃতি মক্কার কা’বা শরীফে হাজরে আসওয়াদ তুলে দেওয়ার জন্য কুরাইশ গোষ্ঠীর চারজন বংশের নেতাদের দ্বারা কাপড়ের যে কোণ ধরে ছিল তার প্রতীক হিসাবে বোঝানো হয়েছে। মসজিদের ছাদের ফ্রেম স্টিল পাইপ দ্বারা নির্মিত। চারটি কার্ভিং কংক্রিট কলাম দ্বারা সমর্থিত। [১]

মূল ভবনটি তিন তলা বিশিষ্ট। প্রধান প্রার্থনা হল দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত। মসজিদটিতে ২০,০০০ লোক নামাজ পড়তে সক্ষম।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

  • রুমাহ গাডাং
  • ইন্দোনেশিয়ান মসজিদসমূহ
  • ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলির তালিকা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]