ব্যবহারকারী:এই হলো অভীক/বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র
বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র একটি অরাজনৈতিক ও বেসরকারি অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা বৃহৎ বঙ্গের প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক উপকরণ এবং স্থাপত্য নিদর্শন সামগ্রী সংগ্রহ ও গবেষণা করে থাকে। ইউরোপ ও আমেরিকায় রক্ষিত উৎস উপকরণ দেশীয় গবেষকদের কাছে সহজগম্য নয় বিধায় এই প্রতিষ্ঠানের সূত্রপাত।[১]
প্রতিষ্ঠা ও গঠন[সম্পাদনা]
বঙ্গীয় শিল্পকলা বিষয়ে গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. এনামুল হক এবং ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা জুলেখা হক তাঁদের গোটা গ্রন্থাগার দান করে এর গোড়াপত্তন করেন। সেই গ্রন্থাগার ছিল দৃক-মহাফেজখানায় (ভিজ়ুয়াল আর্কাইভে) সমৃদ্ধ।[১] বর্তমানে এই কেন্দ্র একটি নিবন্ধিত বেসরকারি অছি-পর্ষদ বা ন্যাসরক্ষক-পর্ষদ (বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ়) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ভারত, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্ডিতদের দ্বারা গঠিত একটি আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা সমিতি এ কেন্দ্রের বিদ্যায়তনিক কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।[১]
সংগ্রহশালা[সম্পাদনা]
গবেষণা কেন্দ্রটিতে বর্তমানে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই ও জর্নাল এবং ৫০ হাজার আলোকচিত্র, নেগেটিভ, স্লাইড ইত্যাদি।[১]
প্রকাশনা[সম্পাদনা]
এনামুল হকের সম্পাদনায় জর্নাল অফ বেঙ্গল আর্ট নামে বার্ষিক গবেষণা জর্নাল প্রকাশিত হয়, যা ২০২০-এ রজতজয়ন্তী পালন করে। এছাড়া বঙ্গের শিল্পকলা নিয়ে বেশ কিছু বইও প্রকাশ করেছে তারা। যেমন:
- স্কাল্পচারস ইন বাংলাদেশ (বাংলাদেশের ভাস্কর্য) এনামুল হক ও অ্যাডালবার্ট জে গেইল সম্পাদিত
- দ্য আর্ট হেরিটেজ অফ বাংলাদেশ (বাংলাদেশের শিল্প-পরম্পরা) এনামুল হক সম্পাদিত
- টেরাকোটাস অফ বেঙ্গল: অ্যান অ্যানালাইটিকাল স্টাডি (বঙ্গের পোড়ামাটি-কলা: একটি বিশ্লেষণী চিত্র) জুলেখা হক
- এসেস অন বুদ্ধিস্ট হিন্দু জৈন আইকনোগ্রাফি অ্যান্ড এপিগ্রাফি (বৌদ্ধ, হিন্দু ও জৈন মূর্তিবিদ্যা ও লিপি-উৎকিরণবিদ্যা নিয়ে প্রবন্ধসংগ্রহ) গৌরীশ্বর ভট্টাচার্য
- অ্যারাবিক অ্যান্ড পারশিয়ান ইনস্ক্রিপশন অফ বেঙ্গল (বঙ্গের আরবি-ফারসি শিলালিপি) মোহাম্মদ ইউসুফ সিদ্দিক[২]
- রিহ়লাতুন মা-আ নুকূশিল কিতাবিয়াতিল ইসলামিয়াতি ফী বিলা-দিল বাংগালি (মুসলিম বাংলার শিলালিপির জগতে ভ্রমণ) মোহাম্মদ ইউসুফ সিদ্দিক[৩][৪]
অন্যান্য কর্মসূচি[সম্পাদনা]
প্রতি দুই বছর অন্তর বঙ্গীয় শিল্পকলার ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে এ কেন্দ্র। এ পর্যন্ত এমন আটটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।[১]
সরকারি উদ্যোগ[সম্পাদনা]
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এক অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন:
...প্রতিষ্ঠানটিকে স্থায়ীরূপ দেয়ার অংশ হিসাবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান। এটি সম্ভব না হলে কেন্দ্রটিকে জাতীয় জাদুঘর এর অধীন প্রতিষ্ঠান হিসাবে অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টিও মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন রয়েছে।[৫]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট http://bengalart.org/
- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় https://moca.gov.bd/
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "The International Center for Study of Bengal Art"।
- ↑ https://www.rokomari.com/book/194028/arabic-and-persian-inscriptions-of-bengal
- ↑ https://www.rokomari.com/book/194029/rihlatu-maan-nukushil-kitabiyal-islamiya-fi-biladil-bangal
- ↑ https://www.abebooks.com/servlet/BookDetailsPL?bi=30130507719&cm_sp=snippet-_-srp1-_-tile2&searchurl=an%3DMOHAMMAD%2BYUSUF%2BSIDDIQ%26sortby%3D17
- ↑ "বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র'কে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী"। বাংলাদেশ গ্লোবাল।