বাইতুর রহমান বড় মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৫°৩৩′১৩″ উত্তর ৯৫°১৯′১.৯″ পূর্ব / ৫.৫৫৩৬১° উত্তর ৯৫.৩১৭১৯৪° পূর্ব / 5.55361; 95.317194
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাইতুর রহমান গ্রান্ড মসজিদ
مسجد رايا بيتر الرحمن
Meuseujid Raya Baiturrahman
upright=১.২৫
বাইতুর রহমান গ্রান্ড মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
শাখা/ঐতিহ্যসুন্নি (শাফেয়ী)
অবস্থান
অবস্থানইন্দোনেশিয়া বান্দা আচেহ, ইন্দোনেশিয়া
বাইতুর রহমান বড় মসজিদ ইন্দোনেশিয়া-এ অবস্থিত
বাইতুর রহমান বড় মসজিদ
আচেহ প্রদেশে মসজিদটির অবস্থান, উত্তর সুমাত্রা, সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক৫°৩৩′১৩″ উত্তর ৯৫°১৯′১.৯″ পূর্ব / ৫.৫৫৩৬১° উত্তর ৯৫.৩১৭১৯৪° পূর্ব / 5.55361; 95.317194
স্থাপত্য
স্থপতিজি. ব্রন্স
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীমুঘল
ভূমি খনন১৮৭৯
সম্পূর্ণ হয়১৮৮১
বিনির্দেশ
ধারণক্ষমতা৩০,০০০
অভ্যন্তরীণ১,৫০০ মি (১৬,০০০ ফু)
গম্বুজসমূহ
মিনার

বায়তুর রহমান গ্র্যান্ড মসজিদ ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের বান্দা আচেহ শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি মসজিদ । বাইতুর রহমান গ্র্যান্ড মসজিদ ধর্ম, সংস্কৃতি, চেতনা, শক্তি, সংগ্রাম এবং আচেহবাসীদের জাতীয়তাবাদের প্রতীক। মসজিদটি বান্দা আচেহ এর একটি যুগান্তকারী স্থাপত্য যা ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের সুনামিতেও টিকে ছিল।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আচেহ সালতানাতের মূল বহুতল বিশিষ্ট মসজিদটি বান্দা আচেহের ১৮ শতকের এই দৃশ্যের মধ্যে সর্বাধিক বিশিষ্ট ভবন।

মূল মসজিদ রায়া ("গ্র্যান্ড মসজিদ") ১৬১২ সালে সুলতান ইস্কানদার মুদার আমলে নির্মিত হয়েছিল। কেউ কেউ বলছেন যে আসল মসজিদটি এর আগ ১২৯২ সালে সুলতান আলাউদ্দিন মাহমুদস্যাহ নির্মান করেছিলেন। আসল রাজকীয় মসজিদটিতে বহু-স্তরযুক্ত খড়ের ছাদ, আচেনিজ স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। [১]

১৮৭৩ সালের ১০ এপ্রিল ডাচ ইস্ট ইন্ডিজের ওপনিবেশিক প্রশাসন যখন ক্রাটনকে আক্রমণ করেছিল, তখন আচেনিজরা বাইতুর রহমান গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে কেএনআইএলকে আক্রমণ করেছিল। জলন্ত আগুন ছাদে এসে পরলে মসজিদটিতে আগুন লেগে গিয়েছিল । জেনারেল ভ্যান সুইটেন স্থানীয় শাসকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করবেন এবং ক্ষমাস্বরূপ একটি উষ্ণ জায়গা তৈরি করবেন। ১৮৭৯ সালে ডাচরা আচেনিজদের উপহার হিসাবে এবং রাগ কমাতে মসজিদ বায়তুর রহমানকে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৭৯ সালে প্রথম নির্মাণকাজ শুরু হয়, প্রথম পাথরটি স্থাপন করেছিলেন টেংকু কাজী মালিকুল আদিল, যিনি এই মসজিদের প্রথম ইমাম হয়েছিলেন। আচেহের শেষ সুলতান মুহাম্মদ দাউদ সিয়াহর রাজত্বকালে ১৮৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়। অনেক আচেনিজ প্রাথমিকভাবে বায়তুর রহমান মসজিদে প্রার্থনা করতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ এটি ডাচদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে তারা লড়াই করছিল। আজকাল এটি বান্দা আচেহের জন্য গর্বের কারণ। [২]

১৯৩৫ এর আগে, নতুন বায়তুর রহমান গ্র্যান্ড মসজিদে একটি গম্বুজ এবং একটি মিনার ছিল।

প্রথমে মসজিদটিতে কেবল একটি গম্বুজ এবং একটি মিনার ছিল। অন্যান্য গম্বুজ এবং মিনারগুলি ১৯৩৫, ১৯৫৮ এবং ১৯৮২ সালে যুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে মসজিদে সাতটি গম্বুজ এবং বান্দা আচেহের সবচেয়ে বড় মিনারসহ সর্বোমোট আটটি মিনার রয়েছে। [৩]

মসজিদটি ২০০৪ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে দেয়ালের ফাটলগুলির মতো ছোট ছোট ক্ষয়ক্ষতির ছাড়া মসজিদের বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ভূমিকম্প ৩৫ মিটার মিনারকে মূল ফটক থেকে সামান্য কাত করে দিয়ে ছিল। দুর্যোগের সময়, মসজিদটি বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়স্থল হিসাবে কাজ করেছিল এবং মাত্র দু'সপ্তাহ পরে নামাজের জন্য পুনরায় খোলা হয়েছিল। [৩]

স্থাপত্য ও নকশা[সম্পাদনা]

বাইতুর রহমান গ্র্যান্ড মসজিদের সম্মুখভাগ।

মসজিদটি মূলত ডাচ আর্কিটেক্ট জেরিট ব্রুইন্স ডিজাইন করেছিলেন। [৪] [৫] পরবর্তীতে এই নকশাটি এলপি লুইজকস রূপান্তর করেছিলেন, যিনি ঠিকাদার লী এ সির নির্মাণকাজও তদারকি করেছিলেন। মোগল পুনর্জীবন শৈলী দ্বারা গ্র্যান্ড গম্বুজ এবং মিনারগুলি নকশা করা হয়েছে। অন্যান্য কালো গম্বুজগুলি টাইলস হিসাবে শক্ত কাঠের দাদ দিয়ে নির্মিত।

অভ্যন্তরটি সজ্জিত দেয়াল এবং স্তম্ভগুলো, মার্বেল সিঁড়ি এবং চীন থেকে মেঝে, বেলজিয়াম থেকে স্টেইনড কাচের জানালা, সুসজ্জিত কাঠের দরজা এবং অলঙ্কৃত ব্রোঞ্জের ঝুল দিয়ে সজ্জিত। বিল্ডিং পাথর নেদারল্যান্ডস থেকে আনা হয়ে ছিল। সমাপ্তির সময়, এই নতুন নকশায় মূল মসজিদের তুলনায় একেবারে বিপরীতে উপস্থাপন করা হয়েছিল। অনেক আচেনিজ মসজিদে নামাজ পড়তে অস্বীকার করেছিল, কারণ এটি ডাচ "কাফের" দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। আজ অবশ্য মসজিদটি বান্দা আচেহের গর্বে পরিণত হয়েছে। [৬]


==গম্বুজ ও মিনার==

আজ, মসজিদটিতে ৭টি গম্বুজ, ৮টি মিনার এবং ৩২ টি স্তম্ভ রয়েছে।

অবিকল প্রতিরুপ[সম্পাদনা]

অস্ট্রিয়ার মিনিমুন্ডাস মিনিয়েটার পার্কে বায়তুররহমান গ্র্যান্ড মসজিদের একটি ক্ষুদ্রাকৃতি প্রদর্শিত হয়েছে।

ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

রমজান শেষে বায়তুর রহমান মসজিদে মহিষের আশীর্বাদ

রমজান মাসের রোজা শেষে মহিষের আশীর্বাদের একটি দৃশ্য ডাচ ফটোগ্রাফার ক্রিস্টিয়ান বেনজামিন নিউভেনহুইস ধারণ করেছিলেন।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

  • ইন্দোনেশীয় স্থাপত্য
  • ইসলামী স্থাপত্য
  • ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম
  • ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলির তালিকা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Gunawan Tjahjono (১৯৯৮)। Indonesian Heritage-Architecture (ইংরেজি ভাষায়)। আর্চিপেলিগো প্রেস। পৃষ্ঠা ৮১-৮২আইএসবিএন 981-3018-30-5 
  2. "বান্দা আচেহ- সুমাত্রা"। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২০ 
  3. http://lestariheritage.net/aceh/webpages/sites01.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ মার্চ ২০১২ তারিখে Aceh Heritage
  4. http://atjehpost.co/articles/read/4881/Amazing-Baiturrahman-Kisah-Awal-Mula-Masjid-Raya-Banda-Aceh ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে Amazing Baiturrahman; Kisah Awal Mula Masjid Raya Banda Aceh
  5. Geslachtslijst Bruins। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৪০। পৃষ্ঠা 6। 
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২০