কে এম বীণামল
ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম | কল্যাতুমকুজি ম্যথিউস বীণামল |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
জন্ম | কম্বিদিনজাল, ইদ্দুকি জেলা, কেরালা | ১৫ আগস্ট ১৯৭৫
কার্যকাল | ১৯৯০-২০০৪ |
নিয়োগকর্তা | ভারতীয় রেল |
উচ্চতা | ১৬৩ সেমি (৫ ফু ৪ ইঞ্চি)[১] |
ওজন | ৫০ কিলোগ্রাম (১১০ পা)[১] |
ক্রীড়া | |
দেশ | ভারত |
ক্রীড়া | ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড |
বিভাগ | স্প্রিন্ট (৪০০মিটার) মধ্য দূরত্বের দৌড় (৮০০ মিটার) রিলে (৪ × ৪০০ মিটার) |
প্রশিক্ষক | রাজু পাল |
সাফল্য ও খেতাব | |
ব্যক্তিগত সেরা | ৪০০ মিটার: ৫১.২১ (কিয়েভ, ২০০০)[২] ৮০০ মিটার': ২:০২.০১ (নতুন দিল্লি, ২০০২)[২] ৪ × ৪০০ মিটার রিলে: ৩:২৬.৮৯ (আথেন্স, ২০০৪) জাতীয় রেকর্ড |
পদকের তথ্য |
কল্যাতুমকুজি ম্যাথিউজ বিনামল, যিনি কে. এম. বীণামল নামেও পরিচিত (জন্ম: ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫), একজন ভারতীয় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ক্রীড়াবিদ। বীণামল প্রধানত স্প্রিন্ট বা ৪০০ মিটার, মধ্য দূরত্বের দৌড় বা ৮০০ মিটার এবং ৪০০ মিটার রিলে দৌড়ে অংশ নিতেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০০০ সালে অর্জুন পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
বীণামলের জন্ম ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কেরালার কেরাল ইদুকি জেলার কোম্বিডিনজল গ্রামে। তাঁর বাবা ছিলেন কোল্লামের অধিবাসী এবং তাঁর মা ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা। বাবা-মা খুব ছোট থেকেই বীণামল এবং তাঁর ভাই বিনুকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছিলেন। উভয় ভাইবোন নিজ গ্রামে কোনও সুবিধা না থাকায় পাশের গ্রামে প্রশিক্ষণ নিতে যেতেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়াতে, প্রায়শই তাঁদের প্রশিক্ষন নিতে যেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হত। তাঁরা অবশ্য এই পরিশ্রমের ফল পেয়েছিলেন। কে এম বীণামল এবং তাঁর ভাই, কে এম বিনু প্রথম কোন ভারতীয় ভাইবোন জুটি হিসেবে একই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জেতার গৌরব অর্জন করেছেন। ২০০২ সালের বুসান এশিয়ান গেমসে তাঁরা এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। মহিলাদের ৮০০ মিটার ইভেন্টে বীণামল স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং তাঁর ভাই বিনু পুরুষদের ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। কে এম বীণামল স্কুলে পড়ার সময় বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন। ১৯৯১ সালে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় এবং ১৯৯২ সালে জুনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও তিনি ভালো ফল করেছিলেন। কে এম বীণামল ২০০৫ সালে ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বিবেক জর্জের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং এই দম্পতির দুটি সন্তান অশ্বিন এবং হাইল (ইথিওপিয়ার কিংবদন্তি হাইল গ্যাবস্ল্যাসির নাম অনুসারে) বর্তমান।
পেশাদার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড কর্মজীবন[সম্পাদনা]
বিনামল তাঁর ভাই কে এম এম বিনুর সাথে একটি ইতিহাস রচনা করেছিলেন, যখন তাঁরা প্রথম ভারতীয় ভাইবোন হিসেবে উভয়েই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জিতেছিলেন।
অলিম্পিক[সম্পাদনা]
২০০০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সময় বীণামল, পিটি উষা এবং শাইনি উইলসনের পরে তৃতীয় ভারতীয় মহিলা রূপে অলিম্পিকের ট্র্যাক আন্ড ফিল্ড বিভাগে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন। ২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও তিনি ভালো ফল করেন। ৪০০ মিটার রিলেতে ভারতীয় দলের সদস্য হিসেবে জাতীয় রেকর্ড করে, তাঁরা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছন এবং সপ্তম স্থান লাভ করেন।
এশিয়ান গেমস[সম্পাদনা]
তিনি ২০০২ সালের বুসানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ৮০০ মিটার এবং ৪ × ৪০০ মিটার মহিলা রিলেতে স্বর্ণপদক জয়ী দলে ছিলেন।[৩][৪][৫]
সাফল্য[সম্পাদনা]
বছর | প্রতিযোগিতা | ঘটনাস্থল | স্থান | ঘটনা | নোট |
---|---|---|---|---|---|
২০০০ | এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ | জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া | স্বর্ণ | ৪ × ৪০০ মিটার রিলে | ৩:৩১.৫৪ |
রৌপ্য | ৪০০ মিটার | ৫১.৪১ | |||
২০০২ | এশিয়ান গেমস | বুসান,দক্ষিণ কোরিয়া | স্বর্ণ | ৮০০ মিটার | ২:০৪.১৭ |
স্বর্ণ | ৪ × ৪০০ মিটার রিলে | ৩:৩০.৮৪ | |||
২০০৪ | গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক | এথেন্স,গ্রীস | ষষ্ঠ | ৪ × ৪০০ মিটার রিলে | ৩:২৬.৮৯ জাতীয় রেকর্ড |
পুরস্কার[সম্পাদনা]
অ্যাথলেটিক জীবনে অনুকরণীয় কৃতিত্বের জন্য বীণামলকে ২০০০ সালে অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল[৬][৭]। তিনি অঞ্জলি ভাগবতের সাথে ২০০২-২০০৩ সালে ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান, রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারেরও যৌথ বিজয়ী[৮][৯]। ২০০৪ সালে, তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন[১০]।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- কেরলের অলিম্পিয়ানদের তালিকা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "K. M. Beenamol"। sports-reference.com। ১৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "K. Mathews Beenamol IAAF Profile"। IAAF। ২০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Kombodinjal basks in Beenamol, Binu's glory"। Rediff। ১৬ অক্টোবর ২০০২। ২৪ নভেম্বর ২০০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Sen Gupta, Abhijit (১৬ মে ২০০২)। "She's been at it"। The Hindu। ৪ এপ্রিল ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৮।
- ↑ "`Star of the Year' award for Beenamol"। The Hindu। ১৯ নভেম্বর ২০০৪। ২৩ নভেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৮।
- ↑ "Arjun Award - Sports"। Indian Olympic Association। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "List of Arjuna Award Winners"। Ministry of Youth Affairs and Sports। Government of India। ২৫ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Arjuna Awards, Rajiv Gandhi Khel Ratna, Dhyan Chand and Dronacharya awards given away"। Press Information Bureau। Ministry of Youth Affairs and Sports। ২৯ আগস্ট ২০০৩। ২৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Rajiv Gandhi Khel Ratna Award"। Indian Olympic Association। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Padma Awards directory (1954-2014)" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs। Government of India। পৃষ্ঠা 136। ১৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৬।
- ক্রীড়ায় পদ্মশ্রী প্রাপক
- ২০০৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মল্লক্রীড়াবিদ (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)
- ২০০০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মল্লক্রীড়াবিদ (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)
- ১৯৯৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মল্লক্রীড়াবিদ (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)
- ভারতের অলিম্পিক মল্লক্রীড়াবিদ
- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৭৫-এ জন্ম
- ২১শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী
- এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী ভারতীয়
- ভারতীয় মহিলা মাঝারিপাল্লার দৌড়বিদ
- কেরলের মহিলা ক্রীড়াবিদ
- ২০০২ এশিয়ান গেমসের পদক বিজয়ী
- মালয়ালী ব্যক্তি
- ২১শ শতাব্দীর ভারতীয় ব্যক্তি
- এশিয়ান গেমসে রৌপ্যপদক বিজয়ী ভারতীয়
- এশিয়ান গেমসে পদক বিজয়ী মল্লক্রীড়াবিদ (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)
- ১৯৯৮ এশিয়ান গেমসের মল্লক্রীড়াবিদ (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)
- ২০০২ এশিয়ান গেমসের মল্লক্রীড়াবিদ (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)
- অর্জুন পুরস্কার প্রাপক
- রাজীব গান্ধী খেলরত্ন প্রাপক
- ১৯৯৮ এশিয়ান গেমসের পদক বিজয়ী
- কেরলের মল্লক্রীড়াবিদ