শর্মিলা বিশ্বাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শর্মিলা বিশ্বাস
জন্ম
পেশাশাস্ত্রীয়ী নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিকল্পক
নৃত্যওড়িশি
ওয়েবসাইটsharmilabiswas.com/home.html

শর্মিলা বিশ্বাস একজন প্রখ্যাত ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য ওড়িশির নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিকল্পক। তিনি গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্য। ১৯৯৫ সালে তিনি কলকাতায় ওডিশি ভিশন অ্যান্ড মুভমেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানে তিনি একজন শৈল্পিক পরিচালক। কেন্দ্রটিতে ওভিএম (ওপেন ভেরিফিকেশন পদ্ধতি) তথ্য ভান্ডারও রয়েছে। ২০১২ সালে শর্মিলা বিশ্বাস সংগীত নাটক একাদেমি পুরস্কার লাভ করেন, সংগীত নাটক একাদেমি হচ্ছে ভারত সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় সংগীত, নাটক ও নৃত্যের উন্নয়ন ও প্রচারের উদ্দেশ্যে স্থাপন করা একটি সরকারী সংস্থা।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

শর্মিলা বিশ্বাস ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ও সেখানেই বেড়ে ওঠেন, সেখানে তিনি আট বছর বয়স থেকেই নাচ শিখতে শুরু করেন। তাঁর বয়স যখন ষোল বছর তিনি মুরলীধরন মাঝির নিকট ওড়িশি নৃত্যের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন এবং এরপর তিনি কেলুচরণ মহাপাত্রের কাছে প্রশিক্ষণ নেন।[১]

পরবর্তীতে তিনি কলানিধি নারায়ণনের কাছ থেকে অভিনয় শিখেন।[২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯৮৭ সালে, শর্মিলা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি কলকাতায় থাকেন এবং তাঁদের শৌমিক বিশ্বাস নামে একটি সন্তান রয়েছে।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

বছরের পর বছর ধরে শর্মিলা বিশ্বাস এলিফ্যান্টা, খাজুরাহো নৃত্য উৎসবকোনার্ক নৃত্য উৎসবে এবং যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, রাশিয়া, দুবাই এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিবেশন শিল্পকলা উৎসবে অংশ নিয়েছেন।[১] তিনি ধ্রুপদী ওডিশির পাশাপাশি তাঁর পরীক্ষামূলক নৃত্য পরিকল্পনার কাজগুলিও একই সাথে সম্পাদন করেন।[২][৩][৪]

ওড়িশার মন্দিরে, নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশন করা প্রাচীন মাহারী নৃত্য নিয়েও তিনি ব্যাপক গবেষণা করেছেন।[২] ১৯৯৫ সালে তিনি কলকাতায় ওডিশি ভিশন অ্যান্ড মুভমেন্ট সেন্টার (ওভিএম) প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানে শৈল্পিক পরিচালক, এবং তরুণ নৃত্যশিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, ইনস্টিটিউট ওভিএম তথ্য ভান্ডারও পরিচালনা করে।[২]

২০০৯ সালে তিনি পূর্বউত্তর পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের একটি বাৎসরিক উৎসব পূর্ব ধারা শুরু করেন।[৫]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি তাঁর পুরীর দেবদাসীদের উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণা নাচ প্রযোজনা করে ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক "সেরা নৃত্য পরিকল্পনা পুরস্কার" পেয়েছেন।[১] ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগ থেকে ১৯৯৮ সালের সেরা নৃত্য পরিকল্পনার জন্য উদয় শঙ্কর পুরস্কার লাভ করেন।[২] ২০১০ সালে শর্মিলা বিশ্বাসকে মাহারী পুরস্কার দেওয়া হয়।[৬] ২০১২ সালে তিনি সংগীত নাটক একাদেমি পুরস্কার লাভ করেন, পরিবেশন শিল্পীদের জন্য এটিই হলো সর্বোচ্চ পুরস্কার; সংগীত নাটক একাদেমি বা রাষ্ট্রীয় সংগীত, নৃত্য ও নাটক একাদেমি হল ভারত সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় সংগীত, নাটক ও নৃত্যের উন্নয়ন ও প্রচারের উদ্দেশ্যে স্থাপন করা একটি সরকারী সংস্থা।[৭][৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Rhythms of life"The Telegraph। ২৩ এপ্রিল ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৩ 
  2. "Katha Kavya Abhinaya"। Sangeet Natak Akademi। ২০১১। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৩ 
  3. Gowri Ramnarayan (২৮ জানুয়ারি ২০১০)। "Treat to the eye and ear"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৩ 
  4. "A blend of lasya and tandava: Innovative dance recital by Sharmila Biswas marked the Dhauli Mohotsav."The Hindu। ১৪ এপ্রিল ২০০৬। ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৩ 
  5. "East is most"The Hindu। ২৯ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৩ 
  6. "Sharmila Biswas conferred Mahari Award"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৩ 
  7. "Sangeet Natak Akademi Fellowships and Akademi Awards 2012" (পিডিএফ)। Press Information Bureau, Govt of India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১২ 
  8. "SNA: List of Akademi Awardees"Sangeet Natak Akademi Official website। ২০১৫-০৫-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]