ইরাবতী কার্বে
ইরাবতী কার্বে | |
---|---|
জন্ম | ১৫ ডিসেম্বর ১৯০৫ |
মৃত্যু | ১১ ই আগস্ট ১৯৭০ |
পেশা | নৃবিজ্ঞানী |
দাম্পত্য সঙ্গী | দিনকার ধোন্দ কার্বে |
ইরাবতী কার্বে (১৫ ডিসেম্বর ১৯০৫[১] - ১১ ই আগস্ট ১৯৭০) হলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের একজন নৃবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং লেখক।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]কার্বে ১৯০৫ সালের ১৫ই ডিসেম্বর এক সমৃদ্ধশালী চিতপাবন ব্রাহ্মণ[২] পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল গণেশ হরি কর্মরকার। ইরাবতীর জন্ম হলে তিনি মেয়ের নাম রাখেন বর্মার ইরাবতী নদীর নামে। তিনি তখন বর্মার বার্মা কটন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ইরাবতী সাত বছর বয়সে পুনের হুজুরপাগায় একট আবাসিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপরে তিনি ফার্গুসন কলেজে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন, এখান থেকেই তিনি ১৯২৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে জি. এস. ঘুরিয়ের অধীনে সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়নের জন্য দক্ষিণা ফেলোশিপ অর্জন করেন। ১৯২৮ সালে তাঁর নিজ জাতি (সামাজিক শ্রেণী) বিষয়ে দ্য চিতপাবন ব্রাহ্মণস - অ্যান এথনিক স্টাডি শীর্ষক গবেষণা নথি নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]
ঘুরিয়ের সাথে পড়ার সময়, ইরাবতী একটি বিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক দিনকর ধন্দু কার্বেকে বিবাহ করেন। [ক]যদিও তাঁর স্বামী সামাজিকভাবে বিশিষ্ট ব্রাহ্মণ পরিবারের ছিলেন, কিন্তু এই বিবাহ তাঁর পিতার মনমতো হয়নি, তিনি আশা করেছিলেন যে ইরাবতী শাসক রাজপরিবারে বিবাহ করবে। দিনকর ছিলেন মহিলা শিক্ষার পথিকৃৎ ধন্দু কেশব কার্বের পুত্র। মহিলা শিক্ষার পথিকৃৎ হয়েও, ধন্দু কার্বে তাঁকে আরও পড়াশোনার জন্য জার্মানি পাঠানোর দিনকরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন।[৫][৬]
তাঁর ১৯২৮ সালের নভেম্বরে থেকে জার্মানিতে থাকা, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য জীবরাজ মেহতার কাছে ঋণ করা অর্থ দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। সেদেশে দিনকর নিজে জৈব রসায়নে পিএইচডি অর্জন করেছিলেন এক দশক বা তারও আগে, এবং সে দেশে তাঁর নিজস্ব শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা তাঁকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত নিতে। ইরাবতী কাইজার উইলহেলম ইনস্টিটিউট অফ এ্যানথ্রপোলজি, হিউম্যান হেরিডিটি এন্ড ইউজেনিকস-এ পড়াশোনা করেন এবং দুবছর পরে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।[খ] এরপরে তিনি ভারতে তাঁর স্বামীর নিকট ফিরে আসেন। ঐ সময় সেখানে এই দম্পতি তখনকার সাধারণ প্রচলিত সামাজিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে অপ্রচলিত জীবনযাপন করেছেন।[৮][গ] তাঁর স্বামী নাস্তিক ছিলেন এবং তিনি বিশ্বাসের চেয়ে "ঐতিহ্যের" প্রতি শ্রদ্ধার কারণ হিসাবে পন্ধরপুরের বিঠোবা হিন্দু মন্দিরে যেতেন বলে জানিয়ে ছিলেন। এত কিছুর পরেও, দৃষ্টিভঙ্গি ও কাজের ক্ষেত্রে তাঁদের পরিবার মূলত একটি মধ্যবিত্ত হিন্দু পরিবারের মতোই ছিল।[৯]
পেশাজীবন
[সম্পাদনা]কার্বে ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত বোম্বের এসএনডিটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসক হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং স্নাতকোত্তর পাঠদান করতেন। ১৯৩৯ সালে তিনি পুনের ডেকান কলেজে সমাজবিজ্ঞানের রীডার (গবেষণায় বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক খ্যাতি সহ বরিষ্ঠ শিক্ষাবিদ) হিসাবে চলে আসেন এবং তাঁর কর্মজীবনের বাকি সময় সেখানেই থেকে যান।[১০]
নন্দিনী সুন্দরের মতে, কার্বে প্রথম ভারতীয় মহিলা নৃবিজ্ঞানী ছিলেন, এমন একটি শিক্ষা যা তাঁর জীবদ্দশায় ভারতে সাধারণত সমাজবিজ্ঞানের সমার্থক বলা হত। নৃবিজ্ঞান, মানবদেহ পরিমাপবিদ্যা, রক্ত বিজ্ঞানসংক্রান্ত বিদ্যা, ইন্দোলজি এবং জীবাশ্মবিজ্ঞানের পাশাপাশি লোকগীতি সংগ্রহ এবং নারীবাদী কবিতা অনুবাদ সহ বহু ক্ষেত্রে তাঁর বিস্তৃত আগ্রহ ছিল।[১১] বিভিন্ন বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তাভাবনা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এবং কিছু দিক থেকে ডাব্লিউ এইচ. আর. রিভারস দ্বারা ব্যবহৃত কৌশলগুলি অনুকরণ করে তিনি মূলত একজন সাংস্কৃতিক প্রসারকামী ছিলেন। এই প্রভাবগুলির মধ্যে ধ্রুপদী ইন্দোলজি, ব্রিটিশ রাজের আমলাদের ব্যবহৃত নৃতত্ত্ব এবং জার্মান সুপ্রজননবিদ্যা ভিত্তিক শারীরিক নৃতত্ত্বও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তদুপরি, তাঁর ক্ষেত্রের কাজগুলির মধ্যে জন্মগত আগ্রহ ছিল।[১২] সুন্দর উল্লেখ করেন যে "১৯৬৮ সালের শেষের দিকে তিনি মানবদেহ পরিমাপবিদ্যার ভিত্তিতে উপ-জাতির মতো সামাজিক গোষ্ঠীগুলির বিশদভাবে বর্ণনা করার গুরুত্ব এবং তারপরে 'জেনেটিক' ডেটা (রক্তের গ্রুপ, বর্ণের দৃষ্টি, হাততালি এবং হাইপারট্রিকোসিস) বিশদভাবে বর্ণনা করার গুরুত্বের প্রতি বিশ্বাস বজায় রেখেছিলেন।"[৭]
তিনি পুুনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (বর্তমানে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়) নৃবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।[১১]
কার্বে বহু বছর পুনের ডেকান কলেজে (পুনে বিশ্ববিদ্যালয়) সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১৩] তিনি ১৯৪৭ সালে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতিত্ব করেছেলেন।[১১] তিনি মারাঠি এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় লিখেছেন।
উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]সুন্দর বলেন
যদিও কার্বে তাঁর সময়ে, বিশেষত তাঁর জন্মস্থান মহারাষ্ট্রে খুব সুপরিচিত ছিলেন এবং সমাজবিজ্ঞান/নৃবিজ্ঞানের মানক ইতিহাসে সম্মানজনক উল্লেখ পেয়েছেন, মনে হয় না যে তিনি তাঁর সমসাময়িক কয়েকজনের মতো শিক্ষার উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পেরেছেন।
তিনি কার্বের প্রভাব ঘুরিয়ে এবং লুই ডুমন্টের মতো লোকের চেয়ে কম থাকার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর শিক্ষাকেন্দ্রের অবস্থান, যা দিল্লী ও বোম্বাইয়ের তুলনায় কম মর্যাদাসম্পন্ন ছিল এবং তিনি উৎস সম্পর্কিত ধ্রুপদী নৃতাত্ত্বিক চিন্তার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন এমন এক সময়ে, যখন তাঁর সহকর্মী শিক্ষাবিদরা ক্রিয়াকলাপের ভিত্তিতে অধিকতর বিশেষায়িত বিষয়গুলিতে চলে আসছিলেন। তদুপরি, তাঁর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউই তার কাজ এগিয়ে নিতে না পারার কারণে তাঁর প্রভাবটি স্থায়ী হতে পারেনি: এর পরিবর্তে বলা যায়, ঘুরিয়ের শিক্ষার্থীরা, তারা শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিল। উপযুক্ত প্রকাশক ব্যবহারের বিষয়টিও এর সাথে ছিল,তাঁর প্রাথমিক কাজগুলির প্রকাশক ছিল তাঁর নিয়োগকর্তা, ডেকান কলেজ - হয়তো এটি তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের মতো মূলধারার প্রকাশক প্রতিষ্ঠান তিনি পাননি। [১১]
কার্বের মৃত্যুর পর সমসাময়িক মারাঠি বুদ্ধিজীবী দুর্গা ভাগবত, যিনি ঘুরিয়ের অধীনেও পড়াশোনা শুরু করেছিলেন কিন্তু শেষ করেননি, কার্বের এক বিরাট সমালোচনা লিখেছিলেন। সুন্দর এটিকে সংক্ষেপে বলেছেন "চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ, পদলোলুপতা, ব্যক্তির কারসাজি, অন্যের কাজকে দমন করা ইত্যাদি। এই অভিযোগগুলির সত্যতা যাই হোক না কেন, এই প্রবন্ধ ভাগবতকে বিশেষ কৃতিত্ব দেয়নি।"[১৪]
যদিও জ্ঞাতিত্ব বিষয়ে কার্বের কাজ নৃতাত্ত্বিক এবং ভাষাগত জরিপের ভিত্তিতে ছিল, যা এখন অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত, তবুও তাঁর এবং তাঁর কাজের আরও কিছু বিষয় যেমন পরিবেশবিজ্ঞান এবং মহারাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিতে একাডেমিক আগ্রহের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে।[১১]
তাঁর পাঠের পরিধি বিস্তৃত ছিল- ভক্তি কবিদের কাছে রামায়ণের মতো সংস্কৃত মহাকাব্য, অলিভার গোল্ডস্মিথ, জেন অস্টেন, আলবেয়ার কামু এবং এলিস্টেয়ার ম্যাকলিন এবং তার একাডেমিক বিষয় সম্পর্কিত বইয়ের পাঠাগারটি যা এখন ডেকান কলেজের সংগ্রহের অন্তর্ভুক্ত।[১৫]
কাজ
[সম্পাদনা]কার্বের প্রকাশনাগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ভারতে জ্ঞাতিত্ব বন্ধন (ডেকান কলেজ, ১৯৫৩), ভারতের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের একটি গবেষণা।
- হিন্দু সমাজ — একটি ব্যাখ্যা (ডেকান কলেজ, ১৯৬১), কার্বে তার মাঠ গভেষণার জন্য যে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং হিন্দি, মারাঠি, সংস্কৃত, পালি এবং প্রাকৃত ভাষায় প্রাসঙ্গিক পাঠগুলি নিয়ে তাঁর গবেষণার উপর ভিত্তি করে হিন্দু সমাজের একটি গবেষণা। বইটিতে তিনি হিন্দু ধর্মে আর্য-পূর্ব বর্ণ-প্রথার অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং এর ক্রমবিকাশকে বর্তমান রূপে আবিষ্কার করেন।
- মহারাষ্ট্র — ভূমি এবং জনগণ (১৯৬৮) - মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং আচারের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
- যুগান্ত: একটি যুগের সমাপ্তি, মহাভারতের প্রধান চরিত্রগুলি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচনা করে এবং তারা যে-সময়কালে ছিলেন তাদের বোঝার জন্য তাদের মনোভাব ও আচরণকে ব্যবহার করে একটি অধ্যয়ন। কার্বে প্রথমে মারাঠি ভাষায় বইটি লিখেন এবং পরে এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। বইটি ১৯৬৭ সালে সেরা মারাঠি বইয়ের জন্য সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার জিতে।[১৫]
- পরিপুর্তি (মারাঠি ভাষায়)
- বোভরা (মারাঠি ভাষায়)
- আমাচী সংস্কৃতি (মারাঠি ভাষায়)
- সংস্কৃতি (মারাঠি ভাষায়)
- গঙ্গাজল (মারাঠি ভাষায়)
- নতুন ব্রাহ্মণ: পাঁচ মহারাষ্ট্রীয় পরিবার -দাদা নামে একটি অধ্যায়ে তার শ্বশুরের জীবনী[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]টীকা
- ↑ Dinkar Karve later became principal of Fergusson College.[৪]
- ↑ Karve studied philosophy, Sanskrit and zoology as well as eugenics for her PhD, which was titled The normal asymmetry of the human skull.[৭]
- ↑ Examples of the Karve family's unconventionality include Irawati's decision not to wear any of the traditional symbols associated with married Hindu women, an unusual degree of familiarity in address between her, her husband and their children, and her being the first woman in Pune to ride a scooter.[৯]
উদ্ধৃতিসমূহ
- ↑ Irawati Karmarkar Karve (২০০৭)। Anthropology for archaeology: proceedings of the Professor Irawati Karve Birth Centenary Seminar। Deccan College Post-graduate and Research Institute। পৃষ্ঠা 19।
Born on 15th December 1905 at Mingyan in Myanmar (then Burma), and named after the River Irawaddy. Her father Hari Ganesh Karmakar worked there in a cotton mill. Her mother's name was Bhagirathi.
- ↑ Patricia Uberoi; Nandini Sundar; Satish Deshpande (২০০৮)। Anthropology in the East: founders of Indian sociology and anthropology। Seagull। পৃষ্ঠা 367।
In this general atmosphere of reform and women's education, and coming from a professional Chitpavan family, neither getting a education nor going into a profession like teaching would for someone like Irawati Karve have been particularly novel.
- ↑ Sundar (2007), pp. 367-368, 377
- ↑ Sundar (2007), p. 370
- ↑ Sundar (2007), pp. 368-369
- ↑ ক খ Dinakar Dhondo Karve (১৯৬৩)। The New Brahmans: Five Maharashtrian Families। University of California Press। পৃষ্ঠা 93। GGKEY:GPD3WDWREYG।
- ↑ ক খ Sundar (2007), p. 380
- ↑ Sundar (2007), pp. 370-371, 378
- ↑ ক খ Sundar (2007), p. 371
- ↑ Sundar (2007), pp. 380-381
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Sundar (2007), pp. 360-364
- ↑ Sundar (2007), pp. 373-380
- ↑ Frank Spencer (১৯৯৭)। History of Physical Anthropology, Volume 2। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 558।
- ↑ Sundar (2007), p. 374
- ↑ ক খ Sundar (2007), p. 372
গ্রন্থপঞ্জি
- Sundar, Nandini (২০০৭), "In the cause of anthropology: the life and work of Irawati Karve", Uberoi, Patricia; Sundar, Nandini; Deshpande, Satish, Anthropology in the East: The founders of Indian Sociology and Anthropology, New Delhi: Permanent Black, আইএসবিএন 978-1-90542-277-7
- ১৯০৫-এ জন্ম
- ১৯৭০-এ মৃত্যু
- মারাঠি ভাষার লেখক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় লেখিকা
- মারাঠি ব্যক্তি
- ভারতীয় ভারততত্ত্ববিদ
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় কবি
- মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ভারতীয় প্রাচ্যবিদ
- ২০শ শতাব্দীর নারী শিক্ষাবিদ
- ভারতীয় নৃবিজ্ঞানী
- মারাঠি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপক
- ভারতের ইংরেজি ভাষার লেখক
- ভারতীয় নারী সামাজিক বিজ্ঞানী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় অ-কল্পকাহিনী লেখক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী বিজ্ঞানী
- মহারাষ্ট্রের নারী শিক্ষাবিদ
- মহারাষ্ট্রের শিক্ষাবিদ