নববর্ষের প্রাক্কাল (গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নববর্ষের প্রাক্কাল
নববর্ষের আগের সন্ধ্যা
সিডনিতে আতশবাজি
পালনকারীসারা বিশ্বের মানুষ
ধরনআন্তর্জাতিক
তাৎপর্যগ্রেগরীয় বছরের শেষ দিন
উদযাপনপ্রতিফলন; গভীর রাতে পার্টি; পারিবারিক সমাবেশ; ভোজন; উপহার বিনিময়; আতশবাজি; কাউন্টডাউন; সামাজিক সমাবেশ, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নাচ, গান, খাওয়া, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করে, এবং আতশবাজি ফুটায় বা দেখে
তারিখ৩১ ডিসেম্বর
পরবর্তী আয়োজন৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংঘটনবার্ষিক
সম্পর্কিতনতুন বছরের দিন
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে ২০১৮ সালে উদযাপিত নববর্ষ শুরুর মুহূর্ত, যা নববর্ষের প্রাক্কালের সমাপ্তি নির্দেশ করে।

খ্রিস্টীয় বা গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে নববর্ষের প্রাক্কাল বলতে বছরের শেষ দিবসটিকে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখের দিনটিকে, বিশেষ করে দিবাগত সন্ধ্যাটিকে বোঝানো হয়। পাশ্চাত্যের অনেক দেশে এই দিনটিকে সাধু সিলভেস্টারের দিবস হিসেবে ডাকা হয়।

ঐ সন্ধ্যায় বিশ্বের বহু দেশে লোকজন তাদের কাছের বা দূরের বন্ধুবান্ধব কিংবা পারিবারিক সদস্যদের সাথে সামাজিক অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়, নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া ও পান করে থাকে। কিছু খ্রিস্টান গভীর রাতে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠান মাঝরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, যে মুহূর্তে লোকজন নতুন বছরকে উৎসাহের সাথে বরণ করে নেয়। এসময় সাধারণত চমকপ্রদ আতশবাজি জ্বালানো হয় ও উপস্থিত লোকজন সেগুলি দেখে উপভোগ করে। নববর্ষের প্রাক্কালে শুরু হওয়া উৎসবানুষ্ঠানগুলি প্রায়ই মাঝরাত পার হয়ে নববর্ষ দিবসে অর্থাৎ নতুন বছরের ১লা জানুয়ারি তারিখে ভোররাত পর্যন্ত উদযাপিত হয়।

পাশ্চাত্যের ইংরেজিভাষী দেশগুলিতে লোকেরা "ওল্ড ল্যাং জাইন" (Auld Lang Syne) একটি অতীতের স্মৃতিবিধুরমূলক গান গেয়ে থাকে, যেটি বাংলাতে "পুরানো সেই দিনের কথা" নামের রবীন্দ্র সঙ্গীত হিসেবে অনূদিত হয়েছে।

পাশ্চাত্য বা গ্রিস্টীয় নববর্ষের প্রাক্কাল হলেও বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে এসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলির প্রচারের সুবাদে এই বিশেষ দিবসটি বিশ্বের প্রায় সব দেশে কমবেশি উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের দিবসটি চলিত ইংরেজি অনুসারে "থার্টি-ফার্স্ট নাইট" হিসেবেও পরিচিত, তুলনায় "নিউ ইয়ার্স ইভ" পরিভাষাটি সেখানে তেমন প্রচলিত নয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]