সুনীতি চট্টরাজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুনীতি চট্টরাজ
সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক
কাজের মেয়াদ
১৯৭২ – ১৯৮৭
পূর্বসূরীপ্রতিভা মুখার্জি
উত্তরসূরীতপন রায়
কাজের মেয়াদ
১৯৯৬ – ১৯৯৯
পূর্বসূরীতপন রায়
উত্তরসূরীব্রজ মুখার্জি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৪৩-১০-৩০)৩০ অক্টোবর ১৯৪৩
মৃত্যু৯ জানুয়ারি ২০১৭(2017-01-09) (বয়স ৭৩)
রাজনৈতিক দলসর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

সুনীতি চট্টরাজ (৩০ নভেম্বর ১৯৪৩ – ৯ জানুয়ারি ২০১৭) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ছিলেন যিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি একবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। তিনি তিন বার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

সুনীতি চট্টরাজ ১৯৪৩ সালের ৩০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি ওকালতি শুরু করেছিলেন।

সুনীতি চট্টরাজ ১৯৭১ সালে সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রতিভা মুখার্জির নিকট পরাজিত হন।[২] ১৯৭২ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩] জয়ী হবার পর ১৯৭২ সালে তাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ, সেচ ও জলসম্পদ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।[১][৪] ১৯৭৭ সালে তিনি পুনরায় সিউড়ি থেকে আইনপ্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত হন।[৫] ১৯৮২ সালে তিনি টানা তৃতীয়বারের মত সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৬]

১৯৮৭ ও ১৯৯১ সালে তিনি সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদে লড়লেও দুবারই সিপিএমের তপন রায়ের নিকট পরাজিত হন।[২] ১৯৯৬ সালে তিনি তপন রায়কে পরাজিত করে চতুর্থবারের মত সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।[৭]

১৯৯৮ সালে তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ী হতে পারেন নি।[৮] ১৯৯৯ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।[৯] ১৯৯৯ সালে তিনি আবারো বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।[৮]

তার বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবার দরুন খালি হওয়া সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ২০০০ সালে উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে নির্বাচনে তিনি জিততে পারেন নি।[১০] ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি আবারো সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজিত হন।[২]

সুনীতি চট্টরাজ ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।[১][৪]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

সুনীতি চট্টরাজের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।[৪] ২০০৬ সালের ১২ জানুয়ারি একটি দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই[১১][১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রয়াত সুনীতি চট্টরাজ"আজকাল। ১৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  2. "Suri Assembly Constituency Election Result"www.resultuniversity.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. "General Elections, India, 1972, to the Legislative Assembly of West Bengal" (পিডিএফ)Constituency-wise Data। Election Commission। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  4. "'সোনাদা' আর নেই, মনখারাপ সিউড়ির"আনন্দবাজার পত্রিকা। ১০ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  5. "General Elections, India, 1977, to the Legislative Assembly of West Bengal" (পিডিএফ)Constituency-wise Data। Election Commission। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  6. "General Elections, India, 1982, to the Legislative Assembly of West Bengal" (পিডিএফ)Constituency-wise Data। Election Commission। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  7. "General Elections, India, 1996, to the Legislative Assembly of West Bengal" (পিডিএফ)Constituency-wise Data। Election Commission। ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  8. "Bolpur Lok Sabha Election Result"www.resultuniversity.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  9. "CONGRESS EXPELS THREE PRO-MAMATA LEADERS"The Telegraph। ১০ আগস্ট ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  10. "BYE - ELECTIONS - FEBRUARY , 2000"Election Commission of India। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  11. "Trinamool Cong leader arrested by CBI"The Times of India। ১২ জানুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  12. "CBI arrests TC leader, former customs official"Zee News। ১২ জানুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯