খন্দকার আবু তালেব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খন্দকার আবু তালেব
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান প্রতিবেদক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২৩ মার্চ ১৯২১
মৃত্যু২৯ মার্চ ১৯৭১

খন্দকার আবু তালেব একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক যিনি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন এবং তাকে বাংলাদেশের একজন "শহীদ" হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[১][২][৩]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

তালেবের জন্ম ১৯২১ সালের ২৩ শে মার্চ পূর্ব-বাংলার ব্রিটিশ রাজের সাতক্ষীরার সাতানীতে। ১৯৪৪ সালে তিনি সাতক্ষীরা পিএন স্কুল থেকে স্কুল শেষ করেন। তিনি কলকাতা রিপন কলেজ থেকে স্নাতক হন। ১৯৪৮ সালে তিনি বাণিজ্য বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৫৬ সালে তিনি সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]

পেশা[সম্পাদনা]

তালেব পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেছিলেন, ভারত বিভাগের পরে তিনি পূর্ব বাংলার ঢাকায় চলে আসেন। তিনি পাকিস্তান অবজারভার, সংবাদ , দৈনিক আজাদ , ইত্তেফাক এবং পাইগাম সহ পূর্ববাংলার বেশ কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেছিলেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের চিফ রিপোর্টার ছিলেন।[১]

১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সরকার ইত্তেফাক পত্রিকা বন্ধ করে দেয়। তিনি দৈনিক সন্ধ্যা আওয়াজকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন, যার মধ্যে আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন সম্পাদক। তার গবেষণাপত্রটিই সর্বপ্রথম বাংলায় শেখ মুজিবের ৬ দফা দাবি প্রকাশের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত হয়েছিল, যা পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়েছিল। অনুবাদটি ব্যক্তিগতভাবে তার দ্বারা করা হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে তিনি একটি আইন সংস্থায় পরামর্শক হিসাবে যোগদান করেন এবং দৈনিক পয়গামের ফিচার সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ২৯ শে মার্চ তালেবকে মিরপুরে বিহারীদের সহযোগিতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছিল। পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ১৯৯৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ডাকঘর তার ছবি এবং নাম সহ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আরিফা সিদ্দিকা (২০১২)। "তালেব, খন্দকার আবু"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. Chaudhuri, Kalyan। Genocide in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Orient Longman। পৃষ্ঠা 153। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. "PIB unveils plaque for 13 martyred journalists"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬