আশরাফুল হুদা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আশরাফুল হুদা
২২তম বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক
কাজের মেয়াদ
১৫ ডিসেম্বর ২০০৪ – ৭ এপ্রিল ২০০৫
পূর্বসূরীশাহুদুল হক
উত্তরসূরীমোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
সন্তানশামসুল হুদা রুমেল

আশরাফুল হুদা একজন প্রাক্তন বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার যিনি ২০০৪-২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১][২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আশরাফুল হুদা ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৩] তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের দায়িত্ব নেন ৮ এপ্রিল ২০০৩ সালে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক হিসাবে অবসর গ্রহণের পর। [১][৪] ৭ এপ্রিল ২০০৫ সালে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তিনি আইজিপির পদে থেকে অবসর গ্রহণ করেন। [৫]

২০০৪ ঢাকা গ্রেনেড হামলা মামলা[সম্পাদনা]

২০০৪ ঢাকা গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার ঘটনার সময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। [৬][৭] হামলার দিন তিনি বিদেশে চলে যান। [৬] জুলাই ২০১১ সালে গ্রেনেড হামলা মামলার পরিপূরক চার্জশিটে ৩০ জনকে যুক্ত করা হয়েছিল যার মধ্যে তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। [৮] তাকে একই বছরের আগস্ট ও নভেম্বরে দুবার মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তা প্রত্যাখাত হয়। [৯] ২০১২ সালের মার্চ মাসে তার বিরুদ্ধে চার্জ করা হয় এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। [৬][১০] পরের মাসে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। [১১][১২][১৩]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

আশরাফুল হুদা বিয়ে করেছেন হামিদা খাঁতুনকে। তাঁর শাশুড়ি হলেন গুনাহার জমিদার খান্দানের অন্যতম সাহেবজাদী জুবেদা খাঁতুন।[১৪] তাঁর এক ছেলে শামসুল হুদা রোমেল। ইয়াবা মামলায় তাকে ২০১৫ সালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত কারাগারে পাঠিয়েছিল। [১৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "President pardons Shahudul Haque : Ashraful Huda new IGP"The Daily Star। ২০০৪-১২-১৫। ২০১৮-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭ 
  2. "সাবেক তিন পুলিশপ্রধানের সাজা"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০১ 
  3. "Former Principal" (ইংরেজি ভাষায়)। Bangladesh Police Academy। ২০১৮-১১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭ 
  4. "Govt yet to act on verdict against IGP : Lobbying on for the post"The Daily Star। ২০০৪-১২-০৯। ২০১৮-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭ 
  5. "Mohammad Abdul Quaiyum made new IGP"। bdnews24.com। ২০০৫-০৫-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭ 
  6. "Tarique, Babar indicted"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৩-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২ 
  7. "'Deliberate attempts to destroy Aug 21 attack evidence'"Bangla Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭ 
  8. "The accused"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৭-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২ 
  9. "Bail petitions of 2 ex-IGPs rejected"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৮-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২ 
  10. "Aug 21 Grenade Attack Cases: Trial completes after 14 years"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২ 
  11. "6 former cops granted bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৪-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২ 
  12. "I took charge just 3 hours before incident"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৯-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২ 
  13. "Four accused including two ex-IGPs hear charges"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২ 
  14. "গুনাহার জমিদার বাড়ি দুপচাঁচিয়া, বগুড়া"বগুড়া লাইভ। ৩০ মার্চ ২০১৯। 
  15. "Ex IGP's son sent to jail"The Daily Observer। ২০১৫-০৩-০২। ২০১৮-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭