প্রথম মহীপাল
প্রথম মহীপাল ছিলেন পাল সাম্রাজ্যের একাদশতম সম্রাট ও পালাধিপতি দ্বিতীয় বিগ্রহপালের পুত্র। তিনি তার রাজত্বকালে পিতার হৃতরাজ্য পুনর্বিজয় করে বিলুপ্ত সাম্রাজ্যের বৃহদাংশ উদ্ধার করেছিলেন। বাংলার লোকশ্রুতিতে মহীপালের কীর্তি গৌরবান্বিত হয়ে আছে। তিনি আনুমানিক ৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।[১]
বাণগড় তাম্রশাসনে উল্লিখিত রয়েছে:
হত সকল বিপক্ষঃ সঙ্গরে বাহুদর্পা ---দনধিকৃত বিলুপ্তং রাজ্য মাসাদ্য পিত্র্যং । নিহিত চরণ-পদ্মোভূভৃতাং মুর্দ্ধিতস্মা - দভবদবনিপালঃ শ্রীমহীপাল দেবঃ ।।
কৃতিত্ব
[সম্পাদনা]দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজত্বকালে বৃহৎ পালরাজ্যের অধিকাংশ করচ্যুত হয়ে মগধাঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়ে গিয়েছিল। প্রথম মহীপাল অনেক বছরের অবিরত সংগ্রামের পর হৃত উত্তরবঙ্গ ও পূর্ববঙ্গ অধিকার করে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করেন। সারনাথের অনেক জীর্ণ বৌদ্ধবিহার ও মন্দিরের সংস্কার, নতুন মন্দির-বিহারের প্রতিষ্ঠা, বুদ্ধগয়া বিহারের সংস্কার প্রভৃতি তার প্রতিষ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
বাংলার লোকায়ত ক্ষেত্রে "মহীপালের গীত" সম্রাট মহীপালকে স্মরণীয় করে রেখেছে। তার নামাঙ্কিত বাংলার বিভিন্ন নগর (রংপুরের মাহীগঞ্জ, বগুড়ার মহীপুর, দিনাজপুরের মাহীসন্তোষ, মুর্শিদাবাদের মহীপাল) এবং দীঘি (দিনাজপুরের মহীপালদীঘি, মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি) আজও তার স্মৃতি বহন করছে।[১]