পাপুয়া (প্রদেশ)

স্থানাঙ্ক: ২°৩২′ দক্ষিণ ১৪০°৪৩′ পূর্ব / ২.৫৩৩° দক্ষিণ ১৪০.৭১৭° পূর্ব / -2.533; 140.717
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাপুয়া
প্রদেশ
ঘড়ির কাঁটার দিকে, শীর্ষ থেকে: সেন্তাইন হ্রদ, ওয়ারসা জলপ্রপাত, মাউন্ট সুমন্ত্রী, কুড়ুলু গ্রামের যুদ্ধের নেতা, ইপেন দ্বীপ, বেথলেহেম চার্চ ওয়ামেন
পাপুয়ার পতাকা
পতাকা
পাপুয়ার অফিসিয়াল সীলমোহর
সীলমোহর
নীতিবাক্য: কারিয়া সোয়াডায় (সংস্কৃত)
(Work with one's own might)
ইন্দোনেশিয়ায় পাপুয়া অবস্থান
ইন্দোনেশিয়ায় পাপুয়া অবস্থান
স্থানাঙ্ক (জয়পুরা): ২°৩২′ দক্ষিণ ১৪০°৪৩′ পূর্ব / ২.৫৩৩° দক্ষিণ ১৪০.৭১৭° পূর্ব / -2.533; 140.717
দেশ ইন্দোনেশিয়া
প্রতিষ্ঠিত১ জানুয়ারী ২০০০
রাজধানী জয়পুরা
সরকার
 • শাসকপাপুয়ান আঞ্চলিক সরকারের
 • রাজ্যপাললুক এলেমে[১] (পিডি এবং গোলকার)
 • ভাইস গভর্নরক্লেমেন টিনাল
আয়তন
 • মোট৩,১৯,০৩৬.০৫ বর্গকিমি (১,২৩,১৮০.৫১ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রমপ্রথম
সর্বোচ্চ উচ্চতা৪,৮৮৪ মিটার (১৬,০২৪ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৪)
 • মোট৩৪,৮৬,৪৩২
 • ক্রম২১তম
 • জনঘনত্ব১১/বর্গকিমি (২৮/বর্গমাইল)
 ২০১৪ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমান
জনসংখ্যার উপাত্ত
 • জাতিগত গোষ্ঠীপাপুয়ান, মেলানেসিয়ান (এটিনিও, আয়েফাক, আসমত, আগাস্ত, দানি, আয়ামারু, ম্যান্ডাকান, বিয়াক, সেরুই)
জাভিনিস
বুগিস
মান্দার
মিনাঙ্গ্কাবাউ
বাতাক
মিনাহাসান
চীনা
 • ধর্মখ্রীষ্টধর্ম (৮৩.১৫%)
ইসলাম (১৫.৮৮%)
হিন্দুধর্ম (০.০৯%)
বৌদ্ধধর্ম (০.০৫%)
অন্যান্য (০.৮২%)
 • ভাষাসমূহইন্দোনেশিয়ান (সরকারী)
২৬৯ জন আদিবাসী পাপুয়ান ভাষা ব্যবহার করে
অস্ট্রোনেশীয় ভাষা[২]
সময় অঞ্চলইন্দোনেশিয়া পূর্ব সময় (ইউটিসি+৯)
পোস্টকোড৯০xxx, ৯১xxx, ৯২xxx
এরিয়া কোড(৬২)৯xx
আইএসও ৩১৬৬ কোডআইডি-পিএ
যানবাহন সাইনপিএ
এইচডিআইবৃদ্ধি ০.৫৮০ (মধ্যম)
এইচডিআই র্যাঙ্ক34 তম (2016)
এলাকা দ্বারা বৃহত্তম শহরজয়পুরা – ৯৩৫.৯২ বর্গকিলোমিটার (৩৬১.৩৬ মা)
এলাকা দ্বারা বৃহত্তম শহরজয়পুরা – (২৫৬,৭০৫ – ২০১০)
এলাকা দ্বারা বৃহত্তম রিজেন্সিমেরাউকে রিজেন্সি – ৪৪,০৭১.০০ বর্গকিলোমিটার (১৭,০১৫.৯১ মা)
জনসংখ্যা দ্বারা বৃহত্তম রিজেন্সিজয়ওয়াইজায় রিজেন্সি– (২,০৭,৪৮০ – ২০১০ সালে)
ওয়েবসাইটPapua.go.id

পাপুয়া ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ, পশ্চিম নিউ গিনির অধিকাংশ অংশ নিয়ে এটি গঠিত। পাপুয়া প্রদেশের পূর্বে পাপুয়া নিউ গিনি দেশের এবং পশ্চিমে পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের সীমানা রয়েছে। ২০০২ সাল থেকে পাপুয়া প্রদেশের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন মর্যাদা রয়েছে। এই মর্যাদাটি একটি বিশেষ অঞ্চল তৈরি করে। এর রাজধানী জয়পুরা। এটি পূর্বে ইরিয়ান জয় (এবং পূর্বে পশ্চিম ইরিয়ান বা ইরিয়ান বারাত) নামে পরিচিত ছিল এবং ইন্দোনেশীয় নিউ গিনির অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০০২ সালে বর্তমান নাম গৃহীত হয়েছিল এবং ২০০৩ সালে পাপুয়া প্রদেশের পশ্চিম অংশ থেকে পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশ তৈরি করা হয়েছিল।

নামকরণ[সম্পাদনা]

প্রদেশটির জন্য পাপুয়া নামটি ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাম।

বিশেষ স্বায়ত্তশাসন অবস্থা[সম্পাদনা]

পাপুয়া প্রদেশটি দেশের পাঁচটি প্রদেশের মধ্যে একটি, যেটি বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা অর্জন করেছে, অন্য প্রদেশ চারটি হলো আচেহ জাকার্তা ইয়োগেকার্তাএবং পশ্চিম পাপুয়া। ২১/২০০১ আইন অনুযায়ী বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদাটি (ইউইউ নোমোর ২১ তাহুন ২০০১ তান্তং ওটোনিমি খুসুস পাপুয়া, বাংলা: পাপুয়া জন্য বিশেষ স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত আইন নম্বর ২১ বছর ২০০১) পাপুয়ার প্রাদেশিক সরকার প্রশাসনকে সকল খাতে কর্তৃত্ব প্রদান করে, শুধুমাত্র পাঁচটি কৌশলগত এলাকার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক, আর্থিক ও রাজস্ব বিষয়ক, ধর্ম এবং বিচার বিভাগ ব্যতীত। প্রদেশের জেলা ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ স্বায়ত্বশাসন বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় আইন প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদার কারণে, পাপুয়া প্রদেশটি বিশেষ স্বায়ত্তশাসন তহবিল থেকে অর্থ লাভ করে, যা তার আদিবাসী জনগণের উপকার করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু প্রদেশটির আর্থিক ক্ষমতা কম এবং এটি নিঃশর্ত স্থানান্তর ও উপরে উল্লেখিত বিশেষ স্বায়ত্তশাসন তহবিলের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল, যেটি ২০০৮ সালে মোট রাজস্বের প্রায় ৫৫% ছিল।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

পাপুয়া প্রদেশের নারী প্রতি শিশুর প্রজনন হার হলো ২.৯। ২০০০ সালের ইন্দোনেশিয়ার আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ১.৯ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ২.৯ মিলিয়ন হয়[৩] এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৪ সালে জনসংখ্যা প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন হয়। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে পাপুয়ার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল সমস্ত ইন্দোনেশিয়ার প্রদেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ, যা বছরে ৩%-এরও বেশি।

ধর্ম[সম্পাদনা]

২০১০ সালের আদমশুমারি অনুসারে, পাপুয়ানদের ৮৩.১৫% নিজেদেরকে খ্রিস্টান হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, যার মধ্যে ৬৫.৪৮% প্রোটেস্ট্যান্ট এবং ১৭.৬৭% রোমান ক্যাথলিক। প্রদেশটির জনসংখ্যার ১৫.৮৮% জনগণ মুসলমান ছিল এবং ১%-এরও কম ছিল বৌদ্ধ বা হিন্দু[৪] অনেক পাপুয়ানরা ঐতিহ্যগতভাবে সর্বপ্রাণবাদ ধর্ম পালন করেন। কিছু পাপুয়ানরা খ্রিস্টধর্মের মত অন্যান্য ধর্মের সাথে মিশ্রিত আধ্যাত্মিক মতবাদে বিশ্বাস করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Lukas-Klemen, Gubernur dan Wakil Gubernur Papua Terpilih"। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. Gordon, Raymond G., Jr. (২০০৫)। "Languages of Indonesia (Papua)"Ethnologue: Languages of the World। ৬ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০০৯ 
  3. "Archived copy"। ২৪ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১০ 
  4. "Peringatan"। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]