২০১৫ রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির (৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)

২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২৫,০০০ রোহিঙ্গা[১][২] বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার থেকে জীর্ন কিছু নৌকায় চড়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি দেয়ার ঘটনা উৎঘাটিত হয়, যা ২০১৫ রোহিঙ্গা পাচার সমস্যা হিসেবে পরিচিত।[৩][৪] পাচারকালে ইন্দোনেশিয়ায় ১০০ জন,[৫] মালয়েশিয়ায় ২০০ জন,[৬] এবং থাইল্যান্ডে ১০ জন মৃত্যুবরণ করে।[৭][৮][৯]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

কিছু পরিসংখ্যানে প্রাপ্ত তথ্যমতে মোট ৮০০,০০০ থেকে ১,১০০,০০০ রোহিঙ্গার জনগোষ্ঠির [১০] প্রায় ১০০,০০০ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের নিপীড়ন এড়াতে দেশত্যাগ করে।[১১][১২] এই পর্যন্ত প্রায় ৩,০০০ মিয়ানমার এবং বাংলাদেশী মানুষকে নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বা তারা তীরে আসতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় সহস্রাধিক মানুষ খুব সামান্য পরিমাণ খাদ্য এবং খাবার পানি নিয়ে এখনও সমুদ্রে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হয়।[১৩]

পটভূমি[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের মে মাসে থাইল্যান্ডের একটি দুর্গম পাহাড়ে ৩২টি অগভীর কবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এটি থাইল্যান্ড এবং মালেশিয়ার সীমান্তে অবস্থিত একটি স্থান, যেখানে পাচারের পূর্বে রোহিঙ্গাদেরকে অপেক্ষায় রাখা হত বলে ধারণা করা হয়। এই কবরস্থান থেকে একজন বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয় যাকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংস্থাগুলি নিশ্চিত হয় যে কবরগুলি অবৈধভাবে পাচারের সময় নিহত বা আহত রোহিঙ্গাদের।[১৪][১৫] ২২শে মার্চ মিয়ানমার নৌবাহিনী এর সমুদ্র উপকূল থেকে একটি জীর্ন নৌকায় ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে এবং তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাড়ি দিয়েছিলো।[১৬] ২৪শে মার্চ মালেশিয়ায় পুলিশ দেশটির সীমান্ত অঞ্চলে ১৩৯ টি কবরের সন্ধান পায় এবং ধারণা করা হয় এই কবরগুলিতে বার্মা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের রাখা হয়েছিলো।[১৭][১৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Malaysia tells thousands of Rohingya refugees to 'go back to your country'"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৫ 
  2. "Bay of Bengal people-smuggling doubles in 2015: UNHCR"Reuters। ৮ মে ২০১৫। ২৩ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "'মূল সমস্যা মানব-পাচার, শুধু রোহিঙ্গা ইস্যু দায়ী নয়'"বিবিসি। ২৯ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৫ 
  4. মধুরা চক্রবর্তী, সুচরিতা সেনগুপ্ত (২ জুন ২০১৫)। "রোহিঙ্গাদের প্রতি দায় আছে আমাদেরও"আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৫ 
  5. "Rohingya migrants 'died in fight for food' on boat"The Pakistan Today। ২২ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫ 
  6. Langsa, Kate Lamb in। "'They hit us, with hammers, by knife': Rohingya migrants tell of horror at sea"the Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫ 
  7. "SE Asia migrants 'killed in fight for food' on boat - BBC News"। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫ 
  8. Ng | AP, Eileen (২৫ মে ২০১৫)। "Rohingya seek better life in Malaysia, but reality is stark"The Washington Post (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। ২৫ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৫ 
  9. Rachman, Anita; Mahtani, Shibani (২৫ মে ২০১৫)। "Indonesia Joins Search for Bangladeshi and Rohingya Muslim Migrants at Sea"Wall Street Journalআইএসএসএন 0099-9660। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৫ 
  10. "Myanmar's Rakhine State denies persecution at root of migrant crisis"Reuters। ২৩ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫ 
  11. "More than 100,000 'have now fled Myanmar'"Aljazeera। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫ 
  12. "More Than 10,000 People Fled Myanmar In 2 Weeks"The Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫ 
  13. "Migrant crisis — the boats and the numbers"। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫ 
  14. Star Online Report। "Bangladeshi migrants' mass grave in Thailand!"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৫ 
  15. "Bangladeshi migrants' mass grave in Thailand!"Deutsche Welle। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৫ 
  16. "The Latest on Rohingya: US envoy says address root causes"। ২০১৫-০৫-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-২৮ 
  17. "Malaysia finds mass graves of suspected migrants"www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৫ 
  18. "Malaysia finds 'migrant' mass graves near Thai border"BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৫