ভাগলপুরের যুদ্ধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভাগলপুরের যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯)
তারিখমার্চ ১৭৪৮; ২৭৬ বছর আগে (March 1748)[১]
অবস্থান
ফলাফল বাংলার নবাবের বিজয়[১][২]
বিবাদমান পক্ষ
বাংলা মারাঠা সাম্রাজ্য
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
আলীবর্দী খান মীর হাবিব[১]
শক্তি
অজ্ঞাত অজ্ঞাত
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
অজ্ঞাত অজ্ঞাত

ভাগলপুরের যুদ্ধ ১৭৪৮ সালের মার্চে বিহারের ভাগলপুরে বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের সৈন্যবাহিনী এবং মীর হাবিবের নেতৃত্বাধীন মারাঠা বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[১]। যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হয়[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

বাংলার নবাব আলীবর্দী খান যখন মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন[১], তখন বিহারে আফগান সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। বিহারের প্রাদেশিক শাসনকর্তা জৈনুদ্দিন আহমদ (নবাবের ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা) মারাঠা আক্রমণ থেকে বিহারকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তাঁর সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করছিলেন[১]। এজন্য তিনি আলীবর্দী কর্তৃক পদচ্যুত আফগান সৈন্যাধ্যক্ষ সমশের খান এবং সরদার খানকে নিজ সৈন্যদলে গ্রহণ করেছিলেন[১]। কিন্তু ১৭৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁরা দু'জন বিশ্বাসঘাতকতাপূর্বক জৈনুদ্দিন ও তাঁর পিতা হাজি আহমদকে হত্যা করেন[১] এবং জৈনুদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম (নবাবের কন্যা) ও সন্তানদের বন্দি করেন।

যুদ্ধের ঘটনাবলি[সম্পাদনা]

আফগান বিদ্রোহের সংবাদ পেয়ে নবাব আলীবর্দী মারাঠাদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ রেখে বিহার অভিমুখে যাত্রা করেন। মীর হাবিব এ সুযোগ গ্রহণ করেন এবং তাঁর অধীনস্থ মারাঠা সৈন্যদের নিয়ে আফগান বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য অগ্রসর হন[১]। ১৭৪৮ সালের মার্চে ভাগলপুরের নিকটে তিনি নবাবের সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হন। উভয়পক্ষ একে অপরকে আক্রমণ করলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং নবাবের সৈন্যবাহিনীর নিকট মারাঠারা পরাজয় বরণ করে[১]

ফলাফল[সম্পাদনা]

যুদ্ধের পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও মীর হাবিব তাঁর অবশিষ্ট সৈন্যদের নিয়ে বিদ্রোহী আফগানদের সঙ্গে যোগ দিতে সমর্থ হন। কিন্তু কালাদিয়ারার যুদ্ধে নবাবের নিকট মারাঠা ও বিদ্রোহী আফগানদের সম্মিলিত বাহিনী বিধ্বস্ত হয়[১]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম. "মারাঠা আক্রমণ"| বাংলাদেশের ইতিহাস| পৃ. ২৯৩–২৯৯
  2. http://scroll.in/article/776978/forgotten-indian-history-the-brutal-maratha-invasions-of-bengal