ফ্লেম রবিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফ্লেম রবিন
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Passeriformes
পরিবার: Petroicidae
গণ: Petroica
প্রজাতি: P. phoenicea
দ্বিপদী নাম
Petroica phoenicea
Gould, ১৮৩৭

অগ্নিশিখা রবিন (ইংরেজি নামঃ flame robin, বৈজ্ঞানিক নামঃ Petroica phoenicea) ছোট আকারের প্যাসারিন পাখি যারা অস্ট্রেলিয়াতে বাস করে। এরা সাধারনত তাসমানিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাংশের শীতলতম অংশে বাস করে। স্কারলেট রবিন এবং রেড ক্যাপড রবিনের সাথে এদেরকেও সচরাচর রবিন রেডব্রেস্ট (লালবুকো রবিন) বলে ডাকা হয়।

শ্রেণিবিন্যাস[সম্পাদনা]

১৮৩০ সালে ফরাসি প্রকৃতিবিদ জ্যঁ রেনে কনস্ট্যান্ট কুওয় এবং জোসেফ পল গেইমার্দ সর্বপ্রথম ফ্লেম রবিনকে উল্লেখ করেন Muscicapa chrysoptera[২]। প্রজাতি নাম chrysoptera নেওয়া হয়েছে প্রাচীন গ্রীক শব্দ hrysos "সোনালী", এবং pteron "পালক" থেকে[৩]। ১৮২৩ সালে জন গৌল্ড ফ্লেম রবিনকে বর্তমান গণে স্থান দেন এবং সেই থেকে পাখিটির দ্বিপদ নাম Petroica phoenicea। পাখিটি পাথরের উপর বসে বলে এর নাম পেট্রোইকা। গ্রীক পেট্রোস মানে পাথর এবং ঐকস মানে বাড়ি। প্রজাতি নাম এসেছে প্রাচীন গ্রীক ফইনাইকস (লাল) থেকে।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

লাল রবিন পাখিদের মধ্যে অগ্নিশিখা রবিনই সব থেকে বড়। এরা লম্বায় ১২-১৪ সেমি হয়। এদের ডানা লম্বা এবং মাথা ছোট। উজ্জ্বল কমলা-লাল পাখনার গলা, বুক ও তলপেট দেখে সহজে পুরুষ ফ্লেম রবিনকে আলাদা করা যায়। এদের শরীরের উপরের অংশের পাখনা গাঢ় ধূসর। ডানায় এবং ঠোঁটের উপরের কপাল অফ-হোয়াইট। চঞ্চু, পা, আঙুল সব কালো। এদের চোখ গাঢ় বাদামী।

বাসস্থান[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাংশে এবং তাসমানিয়ার সকল অংশেই এদের দেখতে পাওয়া যায়। দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে পশ্চিমে এরা খুবই বিরল। বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে ফ্লেম রবিন পাখি পাহাড়-পর্বতের আর্দ্র ইউক্যালিপ্টাসের জংগলে বাস করে। আঠা বের হয় এমন লম্বা আছ এরা পছন্দ করে।

স্বভাব[সম্পাদনা]

ফ্লেম রবিন খুব দ্রুত উড়তে পারে। ফ্লেম রবিন একটি নির্দিষ্ট সীমানায় বাস করে। অন্যান্য ফ্লেম রবিনদের কাছ থেকে সে তার সাম্রাজ্য রক্ষা করে। যেখানে স্কারলেট রবিন আছে সেখানে এরা স্কারলেট রবিনদেরও আপন রাজ্য থেকে বিতাড়িত করে। অনুপ্রবেশকারীর চারপাশে এরা উড়তে থাকে এবং গান গেয়ে নিজের সীমানা দখলমুক্ত রাখে।

ফ্লেম রবিন সাধারনত পতংগভূক পাখি। এরা ভূমি থেকে কয়েক মিটার উপরে বাসা বাঁধে। তিন থেকে চারটি ময়লাটে সাদা রঙের ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ১৭ দিনের মত সময় লাগে। ডিম ফুটে পালকহীন, অন্ধ বাচ্চা বের হয়। দ্বিতীয় দিনে এদের মাথার গঠন শুরু হয়, ষষ্ঠ দিনে চোখ ফোঁটে, নবম দিনে ওড়ার পাখা গজানো শুরু হয়। বাসা ত্যাগ করার পর পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত পিতা মাতা পাখি বাচ্চাদের সাথে রাখে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Petroica phoenicea"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. Quoy, Jean René Constant; Gaimard, Joseph Paul in Dumont-d'Urville, J. (1830). Voyage de découvertes de l'Astrolabe exécuté par ordre du Roi, pendant les anneés 1826–1827–1828–1829, sous le commandement de M.J. Dumont-d'Urville. Zoologie. Paris: J. Tastu Vol. 1
  3. Liddell, Henry George; Scott, Robert (১৯৮০)। A Greek–English Lexicon (Abridged Edition)। Oxford, United Kingdom: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 615, 791। আইএসবিএন 0-19-910207-4 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]