চীন–পোল্যান্ড সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চীন–পোল্যান্ড সম্পর্ক
মানচিত্র চীন এবং পোল্যান্ডের অবস্থান নির্দেশ করছে

চীন

পোল্যান্ড

চীন–পোল্যান্ড সম্পর্ক হল গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং পোল্যান্ড রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। ১৯৪৯ সালের ৫ই অক্টোবর এ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত ঘটে।[১][২]

বেইজিংয়ে পোলিশ দূতাবাস অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং পোল্যান্ডের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৪৯ সালের ৫ই অক্টোবর যাত্রা শুরু করে। এর দুইদিন পর, ৭ই অক্টোবর, কূটনৈতিক মিশনগুলো চালু হয়। পোল্যান্ড সোভিয়েত ব্লকের অন্তর্ভুক্ত এবং চীনের সাথে সর্বদাই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। কোরীয় যুদ্ধের মত আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহেও পোল্যান্ড চীনকে সহায়তা করেছে।[২]

১৯৫০-এর দিকে চীন–সোভিয়েত দ্বন্দ্বকালীন সময়ে এ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বিঘ্নিত হয়। তবে পোল্যান্ড জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের আসন ফিরে আসাকে সমর্থন করে।[২]

১৯৫০-এর দিকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন-লাই পোল্যান্ডে দুটি রাষ্ট্রীয় সফর করেন। পোল্যান্ডের নেতৃবৃন্দ যেমন বোলসল বাইরুত, এডওয়ার্ড ওসাব এবং জোসেফ সাইরানকিয়েউইজ চীনে বেশকিছু সফর করেন।[১]

১৯৮০ সালের শেষের দিকে সোভিয়েত ব্লকের পতনের পর পোল্যান্ড রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। পোল্যান্ড তখন একটি নব্য সমাজতন্ত্র-পরবর্তী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এই সকল ক্ষেত্রে উঠানামার পরেও দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগেরমতই থাকে। পোল্যান্ড পুঁজিবাদী বাজার নিয়ে আরো বেশি পাশ্চাত্য-উদার গণতন্ত্রে ঝুঁকে পড়ে, অর্থাৎ ডেং জিয়াওপিংয়ের অর্থনৈতিক ধরাণায় যুক্ত হয়।[২]

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

চীনে অবস্থিত পোল্যান্ডের দূতাবাস

১৯৫০ এবং ১৯৯০ এর দিকে, দুই দেশ সরকারি ঐক্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রম জোরালো করে তোলে। ১৯৮৬ সালে এ দুই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার[২]

১৯৯০ সালের দিকে রূপান্তরযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রায় বাণিজ্যিক অর্থ পরিশোধ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ০.৩২২ বিলিয়ন থেকে ০.১৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলারে নেমে আসে। ১৯৯২ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আবার বাড়তে শুরু করে।[২]

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ২০০১ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১.২৪২ বিলিয়ন ডলার হয়, যা ২০০০ সালের তুলনায় ২৯.৫ শতাংশ বেশি।[২]

চীন–পোল্যান্ড অর্থনৈতিক সম্পর্ক পরিবেশ রক্ষা, অর্থব্যয়, কৃষিবিষয়ক প্রযুক্তি, তামা শিল্প এবং কয়লা খনন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।[৩] এর মধ্যে উচ্চমানের প্রযুক্তি, বিশুদ্ধ শক্তি, শ্রম, সেবা এবং অবকাঠামোগত দিকও অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৩][৪]

২০০৮ সালে চীনে রপ্তানিকৃত পোলিশ পণ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার।[৫] তবে দেশটি চীন থেকে আমদানি করে প্রায় ১১ বিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য।[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:পোল্যান্ডের বৈদেশিক সম্পর্ক