জুলিয়েতা লান্তেরি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জুলিয়েতা লান্তেরি
জন্ম২২ মার্চ, ১৮৭৩
মৃত্যু২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২(1932-02-25) (বয়স ৫৮)
মাতৃশিক্ষায়তনবুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়
দাম্পত্য সঙ্গীআলবার্তো রেনশ

জুলি ম্যাডেলিন লান্তেরি (স্পেনীয়: Julieta Lanteri; জন্ম : ২২ মার্চ, ১৮৭৩ - মৃত্যু: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২) ইতালীয় বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট আর্জেন্টেনীয় প্রমিলা চিকিৎসক ও শীর্ষস্থানীয় মুক্তচিন্তার অধিকারীনি ছিলেন। এছাড়াও, আর্জেন্টিনায় মহিলাদের অধিকারে সোচ্চারের পাশাপাশি সামাজিক পুণর্গঠনে সবিশেষ অবদান রেখে গেছেন জুলিয়েতা লান্তেরি

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ইতালির কানিও প্রদেশের ব্রিগা মারিত্তিমা গ্রাম্য এলাকায় (বর্তমান: লাগ ব্রিগ, ফ্রান্স) তার জন্ম।[১] তার বাবা মাত্তিয়া গুইদো এবং মা পিঁয়েরে-অ্যান্টোইন লান্তেরি দুই কন্যা সহযোগে ১৮৭৯ সালে অভিবাসিত হয়ে আর্জেন্টিনায় চলে যান। বুয়েন্স আয়ার্স ও লা প্লাতায় তিনি তার শৈশবকাল অতিবাহিত করেন।[১][২]

১৮৯১ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে কলেজিও ন্যাশিওনাল দ্য লা প্লাতায় ভর্তি হন। ১৮৯৮ সালে বুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাকোলজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[১] একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের ডিন ড. লিওপল্দো মন্তেস দ্য ওকা'র কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ভর্তি হন। ছাত্রাবস্থায় ও পেশাদারী দায়িত্বপালনকালে রক্ষণশীলদের কাছ থেকে বেশ বাঁধার সম্মুখীন হন তিনি। ১৯০৪ সালে স্যান রক হাসপাতালের মহিলাদের বিভাগে ইন্টার্নিশীপ পালন করেন। ১৯০৭ সালে আর্জেন্টিনার পঞ্চম মহিলা হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিগ্রী লাভ করেন।[৩] এছাড়াও প্রথম ইতালীয়-আর্জেন্টেনীয় মহিলা হিসেবে তার এ অর্জনটি চিহ্নিত হয়ে আছে।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

এক দশককাল বুয়েন্স আয়ার্সের জন সহায়তা কেন্দ্রসহ জরুরী হাসপাতাল ও ডিসপেনসারিতে কাজ করেন।[৪] দরিদ্রদের সর্বাগ্রে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের নিশ্চয়তাকল্পে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালান। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে 'সেমানা মেডিকা' শীর্ষক সাময়িকী প্রকাশ করেন।[২] ১৯০৫ সালে মুক্তচিন্তার আর্জেন্টেনীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০৬ সালে বুয়েন্স আয়ার্সে মুক্তচিন্তার আন্তর্জাতিক কংগ্রেস আয়োজনকালে গ্রিয়ারসন, অ্যালিসিয়া মরিও দে জাস্তোসহ অন্যান্যদের নিয়ে মহিলাদের অধিকারে সক্রিয় থেকে নারীবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।[৫]

মহিলা মুক্তচিন্তার জাতীয় লীগসহ এ সংক্রান্ত প্রকাশনা লা নুয়েভা মুজের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ১৯১০ সালে প্রথমবারের মতো মহিলাদের আন্তর্জাতিক কংগ্রেস আয়োজনে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। পরবর্তীতে প্রথম জাতীয় শিশু কল্যাণ কংগ্রেস আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।[৪] মেডিক্যাল স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে ফ্যাকাল্টির পদ লাভে আবেদন করলেও তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। ঐ সময় তিনি অস্থায়ী অধিবাসী ছিলেন ও তাকে আর্জেন্টেনীয় নাগরিক হবার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছিল। একাকী অভিবাসিত মহিলা হবার ফলে সাধারণতঃ আর্জেন্টিনায় নাগরিকত্ব লাভ করা যায় না। ফলশ্রুতিতে ড. আলবার্তো রেনশয়ের সাথে ১৯১০ সালে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। পরবর্তী আট মাস আইনি ঝামেলা মিটিয়ে ১৯১১ সালে তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Lanteri e Pastorelli in Argentina" 
  2. "Julieta Lanteri"El Argentino। ২২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৬ 
  3. Argentines of To-day। New York: The Hispanic Society of America। ১৯২০। 
  4. "Julieta Lanteri (1873-1932)"। University of North Carolina। ৪ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৬ 
  5. "Alicia Moreau de Justo"La Nación। ২ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৬