ভারতীয় গণ্ডার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভারতীয় গণ্ডার[১]
Rhinoceros unicornis
ভারতীয় গণ্ডার কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, আসাম
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Mammalia
বর্গ: Perissodactyla
পরিবার: Rhinocerotidae
গণ: Rhinoceros
প্রজাতি: R. unicornis
দ্বিপদী নাম
Rhinoceros unicornis
Linnaeus, 1758
ভারতীয় গণ্ডারের পরিসীমা

ভারতীয় গণ্ডার (ইংরেজি: Indian rhinoceros) (Rhinoceros unicornis), অথবা বৃহত্তর এক শৃঙ্গযুক্ত গণ্ডার অথবা ভারতীয় এক শৃঙ্গযুক্ত গণ্ডার গণ্ডার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি অরক্ষিত প্রজাতি এর তালিকাভুক্ত। এই বৃহৎ প্রাণীটি পাওয়া যায় ভারতের ভাগে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এবং নেপালের সংরক্ষিত এলাকায় যেখানে জনসংখ্যায় এরা হিমালয়ের পাদদেশে সীমাবদ্ধ থাকে।[২]

এদের চামড়া বর্মের মতো, মোটা ও অনেকগুলো খাঁজযুক্ত। এদের ঘাড় কাঁধ ও দেহের পাশের চামড়া স্ফীত। এদের মেয়ে গণ্ডারের উচ্চতা ১.৬ মিটার এবং ছেলে গণ্ডারের উচ্চতা ১.৮ মিটার।[৩] ইন্দো-গঙ্গা সমভূমিতে আগে এই গণ্ডার বাস করত কিন্তু এদের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে চোরাশিকারীদের উৎপাতে। এখন সারা ভারতে এই ভারতীয় গণ্ডারের সংখ্যা ৩,০০০ তাদের মধ্যে ২,০০০ গণ্ডারই ভারতের আসামে দেখা যায়।[৪]

এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ প্রাণী।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Grubb, P. (২০০৫)। "Order Perissodactyla"। Wilson, D. E.; Reeder, D. M। Mammal Species of the World (3rd সংস্করণ)। Johns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা 636। আইএসবিএন 978-0-8018-8221-0ওসিএলসি 62265494 
  2. Talukdar, B. K., Emslie, R., Bist, S. S., Choudhury, A., Ellis, S., Bonal, B. S., Malakar, M. C., Talukdar, B. N. Barua, M. (২০০৮)। "Rhinoceros unicornis"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন 
  3. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: স্তন্যপায়ী, খণ্ড: ২৭ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৬৩-১৬৪।
  4. Sarma, P.K., Talukdar, B.K., Sarma, K., Barua, M. (2009) Assessment of habitat change and threats to the greater one-horned rhino (Rhinoceros unicornis) in Pabitora Wildlife Sanctuary, Assam, using multi-temporal satellite data ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে. Pachyderm No. 46 July–December 2009: 18–24.

এছাড়াও পড়ুন[সম্পাদনা]

Martin, E. B. (২০১০)। From the jungle to Kathmandu : horn and tusk trade। Kathmandu: Wildlife Watch Group। আইএসবিএন 978-99946-820-9-6