এডওয়ার্ড মরগ্যান ফরস্টার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এডওয়ার্ড মরগ্যান ফরস্টার
ই. এম. ফরস্টার, শিল্পী ডোরা ক্যানিংটন, ১৯২৪-৪৫
ই. এম. ফরস্টার, শিল্পী ডোরা ক্যানিংটন, ১৯২৪-৪৫
জন্মএডওয়ার্ড মরগ্যান ফরস্টার
(১৮৭৯-০১-০১)১ জানুয়ারি ১৮৭৯
মেরিলিবোন, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু৭ জুন ১৯৭০(1970-06-07) (বয়স ৯১)
কভেন্ট্রি, ওয়ারউইকশায়ার, যুক্তরাজ্য
পেশালেখক (উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ)
জাতীয়তাইংরেজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটনব্রিজ স্কুল
কিংস কলেজ, কেমব্রিজ
সময়কাল১৯০১–৭০
ধরনবাস্তবতাবাদ, প্রতীকবাদ, আধুনিকতাবাদ
বিষয়শ্রেণিবৈষম্য, লিঙ্গসমস্যা, সমকামিতা

স্বাক্ষর

এডওয়ার্ড মরগ্যান ফরস্টার, ওএম, সিএইচ (১ জানুয়ারি, ১৮৭৯ – ৭ জুন, ১৯৭০) ছিলেন একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও লিবারেটো রচয়িতা। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের ব্রিটিশ সমাজ ও শ্রেণীবৈষম্য, ভণ্ডামি এবং লিঙ্গ ও সমকামিতার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাব ফুটিয়ে তোলার জন্য ফরস্টারের শ্লেষাত্মক ও সুসংবদ্ধ উপন্যাসগুলি সুপ্রসিদ্ধ। বোঝাপড়া ও সভানুভূতির প্রতি ফরস্টারের মানবতাবাদী চেতনার একটি যথাযথ সারবক্তব্য ১৯১০ সালের রচিত হাওয়ার্ডস এন্ড: ওনলি কানেক্ট উপন্যাসের শীর্ষ উদ্ধৃতিতে পাওয়া যায়।

প্রথম জীবন[সম্পাদনা]

ফরস্টার জন্মগ্রহণ করেছিলেন লন্ডন এনডব্লিউ১-এর ৬, মেলকম প্লেস, ডরসেট স্কোয়ারের একটি বাড়িতে। এই বাড়িটির অস্তিত্ব আজ আর নেই। তার বাবা ছিলেন একজন স্থপতি। মাত্র একবছর বয়সে ফরস্টার পিতৃহারা হন। ফরস্টারের পূর্বপুরুষদের অন্যতম ছিলেন ক্ল্যাপহ্যাম সেক্ট সদস্যরা। বালক বয়সে অ্যাবোলিশনিস্ট হেনরি থর্নটনের কন্যা তথা তার বাবার পিসিমা ম্যারিন থর্নটনের থেকে ৮,০০০ পাউন্ড উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হন ফরস্টার। এই অর্থসাহায্যের ফলে তার জীবনধারণ ও পরবর্তীকালে লেখক রূপে আত্মপ্রকাশ সহজ হয়ে যায়। কেন্টের টনব্রিজ স্কুলে অনাবাসিক ছাত্ররূপে পড়াশোনা করেন ফরস্টার। বর্তমানে এই স্কুলের থিয়েটারই তার নামাঙ্কিত।

১৮৯৭ থেকে ১৯০১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে কিংস কলেজ, কেমব্রিজ-এ পড়াশোনার সময়[১] তিনি কেমব্রিজ অ্যাপোসলস (পূর্বনাম কেমব্রিজ কনভারশেজন সোসাইটি) নামক এক আলোচনাচক্রের সদস্য হন। এই দলের কয়েকজন সদস্য পরবর্তীকালে একত্রিত হয়ে ব্লুমসবেরি গোষ্ঠী গঠন করেন। ১৯১০ ও ১৯২০-এর দশকে ফরস্টার ছিলেন এই গোষ্ঠীর এক গৌন সদস্য। দ্য লঙ্গেস্ট জার্নি উপন্যাসের সূচনাংশে ফরস্টারের দেখা কেমব্রিজের একটি মনোজ্ঞ চিত্র পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পর মায়ের সঙ্গে তিনি ইউরোপ মহাদেশ ভ্রমণ করেন। ১৯১৪ সালে ক্লাসিসিস্ট গলসওয়ার্দি লোয়েস ডিকিনসনের সঙ্গে মিশর, জার্মানিভারত ভ্রমণ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি বিবেকী প্রতিবাদীর ভূমিকা নেন।

১৯২০-এর দশকের প্রথম দিকে দেওয়াসের মহারাজার ব্যক্তিগত সচিব হয়ে তিনি তার ভারতবাসের দ্বিতীয় পর্ব অতিবাহিত করেন। তার এই সফরের বৃত্তান্ত লিখিত হয়েছে দ্য হিল অফ দেবী নামক গদ্যরচনায়। ভারত থেকে ফিরে তিনি তার সর্বশেষ উপন্যাস আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া সমাপ্ত করেন। এই উপন্যাসের জন্য তিনি জেমস টেইক ব্ল্যাক স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া রচনার পর[সম্পাদনা]

অ্যারলিংটন পার্কস ম্যানসন, চিসউইক

১৯৩০ ও ১৯৪০-এর দশকে ফরস্টার বিবিসি রেডিও-এর এক সফল সম্প্রচারকের ভূমিকা নেন। এই সময় ব্রিটিশ হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক গণচরিত্রও হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৩৭ সালে তিনি সাহিত্যে বেনসন মেডেলে ভূষিত হন।

ফরস্টার বব বাকিংহ্যাম নামে এক পুলিশ ও তার স্ত্রী মে’র সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন এবং এই যুগলকে নিজের বৃত্তের অন্তর্ভুক্ত করেন। বন্ধুত্ব হয় লেখক তথা দ্য লিসনার পত্রিকার সম্পাদক জে আর অ্যাকারলে ও মনস্তত্ত্ববিদ ডব্লিউ জে এইচ স্প্রুটের সঙ্গেও। কিছু সময়ের জন্য বন্ধুত্ব হয় সংগীতকার বেঞ্জামিন ব্রিটনের সঙ্গে। এছাড়াও যেসকল সাহিত্যিকের সঙ্গে ফরস্টার সম্পৃক্ত ছিলেন তারা হলেন কবি সিগফ্রায়েড স্যাসুনবেলফাস্ট-ভিত্তিক ঔপন্যাসিক ফরেস্ট রেইড

১৯২৫ থেকে ১৯৪৫ সালের মার্চে মা অ্যালিস ক্লেয়ার (লিলি)-র মৃত্যু পর্যন্ত ফরস্টার বাস করেন ওয়েস্ট হ্যাকহার্স্ট, অ্যাবিংগার হ্যামার-এ। অবশেষে ১৯৪৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নাগাদ তিনি সেই অঞ্চল ত্যাগ করে যান।[২] ১৯৩০ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত তার লন্ডনের আবাস ছিল ২৬, ব্রুনসউইক স্কোয়ার। পরে ১৯৬১ অবধি চিসউইকে ৯, অ্যারলিংটন পার্কস ম্যানসন তিনি ভাড়া করে ছিলেন।[৩][৪]

১৯৪৬ সালের জানুয়ারিতে কিংস কলেজ, কেমব্রিজের সাম্মানিক ফেলো নির্বাচিত হন ফরস্টার।[৩] ১৯৪৯ সালে তাকে নাইটহুডে ভূষিত করা হয়। ১৯৫৩ সালে অর্ডার অফ দ্য কমপ্যানিওন অফ অনার সম্মান দেওয়া হয়।[৩] ১৯৬৯ সালে তিনি ব্রিটিশ অর্ডার অফ মেরিট সদস্যের মর্যাদা লাভ করেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন, ৯১ বছর বয়সে কভেন্ট্রিতে তার বাকিংহ্যামসস্থ বাসভবনে ফরস্টার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[৩]

উপন্যাস[সম্পাদনা]

জীবদ্দশায় ফরস্টারের মাত্র পাঁচটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে তথা রচনার প্রায় ষাট বছর বাদে প্রকাশিত হয় মরিশআর্কটিক সামার নামে তার সপ্তম উপন্যাসটি অসমাপ্তই থেকে যায়।

তার প্রথম উপন্যাস ছিল হোয়ার এঞ্জেলস ফিয়ার টু ট্রেড (১৯০৫)। এই উপন্যাস লিলিয়া নামে এক ইংরেজ বিধবার কাহিনি যিনি এক ইতালীয়র প্রেমে পড়েন। তার বুর্জোয়া আত্মীয়েরা তাকে মন্টেরিয়ানো থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকেন। তাকে ইতালি থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য ফিলিপ হ্যারিংটনের দৌত্য হেনরি জেমস রচিত দ্য অ্যাম্বাস্যাডার্স উপন্যাসের ল্যাম্বার্ট স্টেথারের দৌত্যের অনুরূপ। এই বইটি সম্পর্কে ফরস্টারের মনোভাব্ব ছিল শ্লেষাত্মক এবং তার অ্যাসপেক্টস অফ দ্য নভেল-এ বিরোধী মনোভাব নিয়েই তিনি এই গ্রন্থের আলোচনা করেন। হোয়ার এঞ্জেলস ফিয়ার টু ট্রেড ১৯৯১ সালে চার্লস স্টারিজের পরিচালনায় চলচ্চিত্রায়িত হয়।

এরপর প্রকাশিত হয় দ্য লঙ্গেস্ট জার্নি (১৯০৭)। এই উপন্যাসটি একটি বিপরীত বিল্ডাংসরোমান। খোঁড়া রিকি এলিয়ট কেমব্রিজ থেকে লেখক হওয়ার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে শেষ পর্যন্ত স্কুলশিক্ষকের কাজে বৃত হয়, বিবাহ করে বিপরীত চরিত্রের অ্যাগনের পেমব্রোককে। উইল্টশায়ার পর্বতের দৃশ্যাবলিতে রিকির অসভ্য সৎভাই স্টিফেন ওয়াহমকে পরিচিত করার সময় ফরস্টার টমাস হার্ডিডি এইচ লরেন্সের অন্তগূঢ়তার প্রয়োগ ঘটানোর চেষ্টা করেন।

ফরস্টারের তৃতীয় উপন্যাস ছিল আ রুম উইথ আ ভিউ (১৯০৮)। এটিই তার লঘুতম ও সর্বাপেক্ষা অধিক আশাবাদী উপন্যাস। এটিই তার প্রথম শুরু করা উপন্যাস। এর আদি খসড়াগুলির নাম ছিল লুসি। এই উপন্যাস তরুণী লুসি হানিচার্চের তার তুতো-ভাইয়ের সাথে ইতালি ভ্রমণের এবং মুক্তচিন্তক জর্জ এমারসন ও নান্দনিকতাবাদী সিসিল ভাইসের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেওয়ার কাহিনি। জর্জের বাবা মিস্টার এমারসন সেই সব দার্শনিকদের রচনা উদ্ধৃত করতেন যাঁরা ফরস্টারকে প্রভাবিত করেছিলেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখনীয় ছিলেন স্যামুয়েল বাটলার। ১৯৮৫ সালে মারচেন্ট আইভরি আ রুম উইথ আ ভিউ চলচ্চিত্রায়িত করেন।

হোয়ার এঞ্জেলস ফিয়ার টু ট্রেডআ রুম উইথ আ ভিউ একত্রে ছিল ফরস্টারের ইতালীয় উপন্যাস। এই দুই উপন্যাসেই বিডকারের বিখ্যাত গাইডবুকগুলির উল্লেখ পাওয়া যায় এবং দুটি বইতেই সংকীর্ণমনা মধ্যবিত্ত ইংরেজ পর্যটকদের বিদেশ ভ্রমণের কাহিনি প্রস্ফুটিত হয়। এই থিম দ্য সেলেস্টিয়াল অমনিবাসদি ইটারনাল মোমেন্ট ইত্যাদি গল্পেও দেখা যায়।

হাওয়ার্ডস এন্ড একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী কন্ডিশন-অফ-ইংল্যান্ড উপন্যাস। এই উপন্যাসে এডওয়ার্ডীয় মধ্যবিত্ত সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। যেমন, শ্‌লেগলস (বোয়েমিয়ান বুদ্ধিজীবী), উইলকক্স (অশিক্ষিত ধনিক) ও বাস্ট (সংগ্রামশীল নিম্নমধ্যবিত্ত যুবা উচ্চাকাঙ্ক্ষী)।

প্রায়শই দেখা যায় ফরস্টারের উপন্যাসের চরিত্রগুলি হঠাৎ হঠাৎ মারা যায়। হোয়ার এঞ্জেলস ফিয়ার টু ট্রেড, হাওয়ার্ডস এন্ড এবং বিশেষত দ্য লঙ্গেস্ট জার্নি উপন্যাসের ক্ষেত্রে একথা বিশেষভাবে সত্য।

ফরস্টারের বৃহত্তম সাফল্য ছিল আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া (১৯২৪)। এই উপন্যাসের মূল বিষয় ছিল ব্রিটিশ রাজের শেষযুগের ভারতবর্ষের চোখ দিয়ে দেখা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সম্পর্ক। ইংরেজ রমণী আদেলা কোয়েস্টেড ও ভারতীয় ডাক্টার আজিজের কাহিনি ও মারাবার গুহায় তাদের মধ্যে কী হয়েছিল ও কী হয়নি সেই প্রশ্নের মাধ্যমে ঔপনিবেশিকতার রাজনীতির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ব্যাখ্যানকে যুক্ত করেন ফরস্টার।

মরিশ (১৯৭১) প্রকাশিত হয় ফরস্টারের মৃত্যুর পর। এটি একটি সমকামী প্রেমকাহিনি। ফরস্টারের প্রথম তিন উপন্যাসের বেশ কিছু বিষয়বস্তু, যেমন, ইংলিশ হোম কাউন্টিগুলিতে লন্ডনের শহরতলি, কেমব্রিজে অধ্যয়নকালীন অভিজ্ঞতা, উইল্টশায়ারের বন্য পরিবেশ, এই উপন্যাসেও চিত্রিত হয়েছে। উপন্যাসটি বিতর্কিত হয়, কারণ এর আগে ফরস্টারের ব্যক্তিগত যৌনপ্রবৃত্তির কথা অজ্ঞাত ছিল। আজকের সমালোচকেরা ফরস্টারের রচনা কী পরিমাণে তার যৌনপ্রবৃত্তি ও ব্যক্তিগত ক্রিয়াকলাপ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল সেই নিয়ে তর্ক করেন।[৫]

মূল বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]

ফরস্টারের রচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তার মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গি সমসাময়িক সমাজের বাধার তুলনায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিকল্প অনুসন্ধানই বেশি করে প্রদর্শিত করেছে। হোয়াট আই বিলিভ গদ্যরচনাতেও তার মানবতাবাদী দৃষ্টিকোণটি ফুটে উঠেছে।

ফরস্টারের দুটি বহুখ্যাত উপন্যাস আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়াহাওয়ার্ডস এন্ড অবাস্তব শ্রেণীবৈষম্যের দিকটিকে তুলে ধরেছে। আ রুম উইথ আ ভিউ উপন্যাসেও দেখা যায় কেমন করে ঔচিত্য ও শ্রেণীর প্রশ্ন সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। এই উপন্যাসটি তার সর্বাধিক পঠিত ও সহজচর্চিত রচনা, যা মূল প্রকাশের বহুকাল পরেও জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়। তার মরণোত্তর উপন্যাস মরিশ-এ প্রদর্শিত হয়েছে সমকামী সম্পর্কের একটি দিক হিসেবে শ্রেণীসহযোগের সম্ভাবনা।

যৌনতা ফরস্টারের রচনার অন্যতম মুখ্য বিষয়। মনে করা হয় তার রচনাকর্মের মধ্যে বিষমকামী প্রণয়সম্পর্ক থেকে সমকামী প্রণয়সম্পর্কে একটি ধীর উত্তরণ ঘটেছে। মরিশ-এর মুখবন্ধে নিজের সমকামিতার সঙ্গে তার সংগ্রামের বর্ণনা রয়েছে। অন্যদিকে এই একই ইস্যু ঘুরেফিরে এসেছে তার কিছু সমকামিতামূলক ছোটোগল্পেও। খোলামেলা সমকামিতা নিয়ে ফরস্টারের রচনা মরিশ ও ছোটোগল্প সংকলন দ্য লাইফ টু কাম তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়।

উপন্যাসের আঙ্গিক হিসেবে প্রতীকের প্রয়োগও ফরস্টারের রচনার একটি বৈশিষ্ট্য। তার বন্ধু রজার ফ্রাই অতীন্দ্রিয়বাদের সঙ্গে যোগসূত্রের জন্য তার সমালোচনা করেছেন। প্রতীকবাদের একটি উদাহরণ হল হাওয়ার্ডস এন্ড উপন্যাসে উইচ এম বৃক্ষ। অন্যদিকে এই উপন্যাসের মিসেস উইলকক্স ও আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া-র মিসেস মুর অতীতের সঙ্গে অতীন্দ্রিয় সংযোগে যুক্ত; নিজেদের বৃত্তের বাইরের লোকজনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তাদের।

ফরস্টারের উল্লেখযোগ্য রচনাপঞ্জি[সম্পাদনা]

উপন্যাস[সম্পাদনা]

ছোটোগল্প[সম্পাদনা]

  • দ্য সেলেস্টিয়াল অমনিবাস (১৯১১)
  • দি ইটারনাল মোমেন্ট (১৯২৮)
  • কালেকটেড শর্ট স্টোরিজ (১৯৪৭) গ্রন্থে উপরিউক্ত দুই গল্পসংকলনের গল্পগুলি সংকলিত হয়:
    • "দ্য স্টোরি অফ আ প্যানিক"
    • "দি আদার সাইড অফ দ্য হেজ "
    • "দ্য সেলেস্টিয়াল অমনিবাস"
    • "আদার কিংডম"
    • "দ্য কিউরেট’স ফ্রেন্ড"
    • "দ্য রোড ফ্রম কলোনাস"
    • "দ্য মেশিন স্টপস "
    • "দ্য পয়েন্ট অফ ইট"
    • "মিস্টার অ্যান্ড্রুজ"
    • "কো-অর্ডিনেশন"
    • "দ্য স্টোরি অফ দ্য সাইরেন"
    • "দি ইটারন্যাল মোমেন্ট"
  • দ্য লাইফ টু কাম অ্যান্ড আদার স্টোরিজ (১৯৭২) (মরণোত্তর) গ্রন্থে আনুমানিক ১৯০৩ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে রচিত গল্পগুলি সংকলিত:
    • "অ্যানসেল"
    • "অ্যালবার্ডো এমপেডোক্‌ল্"
    • "দ্য পারপেল এনভেলপ"
    • "দ্য হেল্পিং হ্যান্ড"
    • "দ্য রক"
    • "দ্য লাইফ টু কাম "
    • "ডক্টর উল্যাকট"
    • "আর্থার স্ন্যাচফোল্ড"
    • "দ্য ওবেলিস্ক"
    • "হোয়াট ডাস ইট ম্যাটার? আ মরালিটি"
    • "দ্য ক্লাসিক্যাল অ্যানেক্স "
    • "দ্য টর্ক"
    • "থ্রি কোর্সেস অ্যান্ড আ ডেসার্ট: বিইং আ নিউ অ্যান্ড গ্যাসট্রোনমিক ভার্সন অফ দ্য ওল্ড গেম অফ কনসিকোয়েন্সেজ"
    • "মাই উড"

নাটক ও দৃশ্যাভিনয়[সম্পাদনা]

  • অ্যাবিংগার পেজেন্ট (১৯৩৪)
  • ইংল্যান্ডস প্লেজেন্ট ল্যান্ড (১৯৪০)

চলচ্চিত্র চিত্রনাট্য[সম্পাদনা]

লিবারেটো[সম্পাদনা]

প্রবন্ধ সংগ্রহ ও সম্প্রচারসমূহ[সম্পাদনা]

সাহিত্য সমালোচনা[সম্পাদনা]

  • অ্যাসপেক্টস অফ দ্য নভেল (১৯২৭)
  • দ্য ফেমিনিন নোট ইন লিটারেচার (মরণোত্তর) (২০০১)

জীবনী[সম্পাদনা]

  • গোল্ডসওয়ার্দি লোয়েস ডিকিনসন (১৯৩৪)
  • ম্যারিন থর্নটন, আ ডোমেস্টিক বায়োগ্রাফি (১৯৫৬)

ভ্রমণ সাহিত্য[সম্পাদনা]

  • আলেকজান্দ্রিয়া: আ হিস্ট্রি অ্যান্ড গাইড (১৯২২)
  • ফ্যারাওজ অ্যান্ড ফ্যারিলিওন (আ নভেলিস্টস স্কেচবুক অফ আলেকজান্দ্রিয়া থ্রু দ্য এজেস) (১৯২৩)
  • দ্য হিল অফ দেবী (১৯৫৩)

বিবিধ রচনা[সম্পাদনা]

ফরস্টারের উপন্যাসভিত্তিক উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

ফরস্টার সম্পর্কিত গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • Abrams, M.H. and Stephen Greenblatt, "E.M. Forster." The Norton Anthology of English Literature, Vol. 2C, 7th Edition. New York: W.W. Norton, 2000: 2131-2140.
  • Ackerley, J. R., E. M. Forster: A Portrait (Ian McKelvie, London, 1970)
  • Bakshi, Parminder Kaur, Distant Desire. Homoerotic Codes and the Subversion of the English Novel in E. M. Forster's Fiction (New York, 1996).
  • Beauman, Nicola, Morgan (London, 1993).
  • Brander, Lauwrence, E.M. Forster. A critical study (London, 1968).
  • Cavaliero, Glen, A Reading of E.M. Forster (London, 1979).
  • Colmer, John, E.M. Forster - The personal voice (London, 1975).
  • Crews, Frederick, E. M. Forster: The Perils of Humanism (Textbook Publishers, 2003).
  • E.M. Forster, ed. by Norman Page, Macmillan Modern Novelists (Houndmills, 1987).
  • E.M. Forster: The critical heritage, ed. by Philip Gardner (London, 1973).
  • Forster: A collection of Critical Essays, ed. by Malcolm Bradbury (New Jersey, 1966).
  • Furbank, P.N., E.M. Forster: A Life (London, 1977-78).
  • Haag, Michael, Alexandria: City of Memory (London and New Haven, 2004). This portrait of Alexandria during the first half of the twentieth century includes a biographical account of E.M. Forster, his life in the city, his relationship with Constantine Cavafy, and his influence on Lawrence Durrell.
  • King, Francis, E.M. Forster and his World, (London, 1978).
  • Martin, John Sayre, E.M. Forster. The endless journey (London, 1976).
  • Martin, Robert K. and Piggford, George (eds.) Queer Forster (Chicago, 1997)
  • Mishra, Pankaj (ed.) "E.M. Forster." India in Mind: An Anthology. New York: Vintage Books, 2005: 61-70.
  • Scott, P.J.M., E.M. Forster: Our Permanent Contemporary, Critical Studies Series (London, 1984).
  • Summers, Claude J., E.M. Forster (New York, 1983).
  • Trilling, Lionel, E. M. Forster: A Study (Norfolk: New Directions, 1943).
  • Wilde, Alan, Art and Order. A Study of E.M. Forster (New York, 1967).

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. Forster, Edward Morgan in Venn, J. & J. A., Alumni Cantabrigienses, Cambridge University Press, 10 vols, 1922–1958.
  2. "King's College Archive Centre, Cambridge, The Papers of Edward Morgan Forster (reference EMF/19/6)"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২৭ 
  3. David Bradshaw, সম্পাদক (২০০৭)। "Chronology"। The Cambridge Companion to E. M. Forster। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-83475-9। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২৭ 
  4. "King's College Archive Centre, Cambridge, The Papers of Edward Morgan Forster (reference EMF/17/10)"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২৭ 
  5. "BBC News Website"। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০০৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

General portals

Sources

LGBT