বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার
বাংলাদেশ প্রবেশদ্বার |
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার | |
---|---|
সম্বোধনরীতি | মহামান্য (কূটনৈতিক) মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা (অনানুষ্ঠানিক) মাননীয় (আনুষ্ঠানিক) |
এর সদস্য | |
বাসভবন | |
নিয়োগকর্তা | বিধিসম্মত: বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি |
মেয়াদকাল | ৩ মাসের মধ্যে |
গঠন | ২৬ মার্চ ১৯৯৬ |
প্রথম | শাহাবুদ্দিন আহমেদ (১৯৯১) |
সর্বশেষ | ফখরুদ্দীন আহমদ (২০০৭) |
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের অধুনালুপ্ত একপ্রকারের শাসন ব্যবস্থা, যার অধীনে দুইটি নির্বাচিত সরকারের মধ্যবর্তী সময়কালে সাময়িকভাবে অনির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ কোন দেশের শাসনভার গ্রহণ করে থাকে।[১][২] সাধারণত নির্বাচন পরিচালনা করাই এর প্রধান কাজ হয়ে থাকে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং কোনো সাংবিধানিক সংশোধনী ছাড়াই ১৯৯০ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়।[২] ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া সরকার ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে প্রণয়ন করে।[৩]
২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয়।[৪] এছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়।[৫]
বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনী অনুসারে দুই নির্বাচনের মধ্যকার সময়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ মাসের জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করে। এসময় সুপ্রিম কোর্ট হতে সর্বশেষ অবসর গ্রহণকারী প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে এক দল নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলী সাহায্য করে থাকে। তবে এসময় সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে থাকে।[৬]
একটি মত অনুসারে এ অভিনব পদ্ধতি প্রথম প্রস্তাব করেন আশির দশকে জামায়াতের তৎকালীন আমির গোলাম আযম। তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে জামায়াত আয়োজিত এক জনসভায় এ ফর্মুলা পেশ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এই পদ্ধতির উদ্যোক্তা তারাই।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বিএনপির নেতা নাজমুল হুদাও নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাবক হিসেবে দাবি করেন। তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল আই-এর তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য বিএনপি তাকে পঞ্চম জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সাম্প্রতিককালে ২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সিএম শফি সামী বলেন, বাংলাদেশের সমস্যাগ্রস্ত আমলাতন্ত্রের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রেক্ষাপট
[সম্পাদনা]১৯৮১ থেকে গণতন্ত্রের দাবিতে দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে৷ এরশাদ সরকারের পতনের পর সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ সাহাবুদ্দিন আহমদের অধীনে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ আনেন। কিন্তু তিনি এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। সেই থেকে পঞ্চম সংসদের যাত্রা শুরু হয়। বিএনপি সরকার গঠন করার কিছুদিন পর থেকেই বিরোধী দলগুলো সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংযোজনের জন্য সরকারকে চাপ দিতে থাকে৷ [৭]
বিল উত্থাপন
[সম্পাদনা]সর্বপ্রথম জামায়াত এবং তারপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত বিল সংসদ সচিবালয়ে পেশ করে৷ এতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও নির্বাচনের সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সংযোজন করা উচিত৷ কিন্তু বিএনপি প্রথম থেকেই এ দাবি অসাংবিধানিক বলে অগ্রাহ্য করতে থাকে। ১৯৯৪ সালের ২৭ জুন সংসদ ভবনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করে৷ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ওই রূপরেখাকে অসাংবিধানিক ও অবাস্তব বলে ঘোষণা করেন৷। বেগম জিয়া বলেন, একমাত্র পাগল ও শিশু ছাড়া কোন মানুষের পক্ষে নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। কমনওয়েলথ মহাসচিব সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন৷ এরপর নভেম্বরে কমনওয়েলথ মহাসচিবের প্রতিনিধি স্যার নিনিয়ান সমঝোতা প্রচেষ্টা চালান; কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন।[৭]
আন্দোলন
[সম্পাদনা]৬ ডিসেম্বর ১৯৯৪ আওয়ামী লীগ, জামায়াত আলাদা সমাবেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়৷ সরকার তার অবস্থানে অনড় থাকায় ২৮ ডিসেম্বর বিরোধী দলের ১৪৭ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র পেশ করে৷ ২৩ ফেব্রুয়ারি স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণযোগ্য নয় বলে রুলিং দেন। ১৯৯৫ সালের ১৯ জুন বিরোধী সংসদ সদস্যদের পরপর ৯০ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিতি পূর্ণ হয়। এতে সংসদে তাদের আসন শূন্য হবে কি-না এ নিয়ে বিতর্কে সরকারি দল ও স্পিকারের মাঝে মতদ্বৈততা দেখা দেয়। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক পদত্যাগী সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য হবে কিনা জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পরামর্শ চান৷ সুপ্রিম কোর্ট পদত্যাগী সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার পক্ষে মত দেন৷ ৩১ জুলাই ১৯৯৫ সংসদ সচিবালয় থেকে ৮৭ জন বিরোধী সংসদ সদস্যের আসন শূন্য বলে ঘোষণা করা হয়৷ এছাড়া যে ৫৫ জন বয়কটকালে হাজিরা খাতায় সই করেছিলেন তাদের সংসদ সচিবালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, যেদিন তারা হাজিরা খাতায় সই করেছিলেন সেদিন বৈঠকে তারা উপস্থিত ছিলেন কি-না৷ সংসদ সদস্যরা এ চিঠির কোনো উত্তর দেননি৷ অবশেষে ৭ আগস্ট ওই ৫৫ জনের আসনও শূন্য ঘোষণা করা হয়৷ নির্বাচন কমিশন ১৪২টি শূন্য আসনে ১৭ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের ঘোষণা দেয়৷ পরে বন্যার কারণে উপনির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ১৫ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়৷ কিন্তু বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়৷ তারা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২ সেপ্টেম্বর থেকে একটানা ৩২ ঘণ্টা হরতাল পালন করে৷ ৬ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা আবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।[৭]
প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব অসাংবিধানিক ও অযৌক্তিক বলে বাতিল করে দেন৷ প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলগুলোকে আলোচনার জন্য ডাকেন৷ কিন্তু বিরোধী দলগুলো আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে৷ এরপর ১৬ নভেম্বর ১৯৯৫ থেকে একাধারে ৭ দিন হরতাল পালিত হয়৷ হরতাল আর অবরোধের ফলে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম দুরবস্থার মুখোমুখি হয়৷ সরকার উপনির্বাচনে না গিয়ে ২৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয় এবং ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৬ সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়৷ পরে তৃতীয়বারের মতো তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তারিখ দেয়া হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি৷ সব বিরোধী দল এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়৷ বিরোধী দলগুলোর প্রতিরোধের মুখে ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ দেশব্যাপী সহিংসতায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়৷ সারা দেশ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় নিপতিত হয়৷ ২৪, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলের আহ্বানে দেশব্যাপী অসহযোগ পালিত হয়৷ ৩ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে খালেদা জিয়া ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল আনার ঘোষণা দেন৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ষষ্ঠ সংসদ বাতিল ও পদত্যাগ সম্পর্কে কোনো কথা না থাকায় বিরোধী দলগুলো তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখে৷ ৬ মার্চ হরতাল ডাকা হয়৷ ওই দিন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের পুনঃনির্বাচনে সহিংসতায় ৯ জন নিহত হয়৷ এরপর ৯ মার্চ থেকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দলগুলো লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে৷ এই অসহযোগের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে রাষ্ট্রপতি সংলাপ আহ্বানের জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন৷ প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর চিঠি বিনিময় হয়৷ পাঁচ বুদ্ধিজীবী বিভিন্নভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। [৭]
জনতার মঞ্চ
[সম্পাদনা]২৩ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে সচিবালয়ের কর্মকর্তারা তাদের চাকরির নিয়ম ভঙ্গ করে জনতার মঞ্চ স্থাপন ও সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেয়।এমনকি ডেসকোর লোকজন গণভবনের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল জাতীয় সংসদে পাস করে৷ ২৮ মার্চ সচিবালয়ের ভেতরে ১৪৪ ধারা জারি করে এবং সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে সেনাবাহিনী, পুলিশ মোতায়েন করেও বিক্ষুব্ধ সচিবালয়কে নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ব্যর্থ হয়৷[৭]
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস
[সম্পাদনা]১৯৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মাঝেই ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয় এবং ষষ্ঠ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে৷ কিন্তু সারা দেশে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা শুরু হয়৷ সরকার ২১ মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল সংসদে উত্থাপন করে৷ ২৬ মার্চ সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়৷ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ৩০ মার্চ রাষ্ট্রপতি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয় এবং খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন৷ রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন৷
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আইন, ১৯৯৬
[সম্পাদনা]তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবলিত বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধন আইন, ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ ষষ্ঠ সংসদের প্রথম অধিবেশনে ২৬৮-০ ভোটে পাস হয়৷ ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর এটি আইনে পরিণত হয়৷ এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে চতুর্থ ভাগে “২ক পরিচ্ছদ : নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার” নামে নতুন পরিচ্ছেদ যোগ হয়৷ এতে ৫৮ক, ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ ও ৫৮ঙ নামে নতুন অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হয়৷ এছাড়া সংবিধানের ৬১, ৯৯, ১২৩, ১৫৭, ১৫২ অনুচ্ছেদসহ তৃতীয় তফসিলের বিধান সংশোধন করা হয়৷
তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংশোধনী অনুযায়ী দুভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়:
- কোন কারণে সংসদ ভেঙে দেয়া হলে সংসদ ভেঙে দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে।
- মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন
[সম্পাদনা]৫৮গ অনুচ্ছেদ অনুসারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১১ সদস্যের বেশি হবে না৷ এর মধ্যে একজন প্রধান উপদেষ্টা ও অনধিক ১০ জন উপদেষ্টা থাকবেন৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতা:
[সম্পাদনা]উপদেষ্টা হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে :[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে
- তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো সংগঠনের সদস্য হবেন না
- আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী নন বা প্রার্থী হবেন না এ মর্মে লিখিতভাবে সম্মত হয়েছেন
- ৭২ বছরের অধিক বয়স্ক নন
প্রধান উপদেষ্টা কাকে নিয়োগ দেয়া যাবে
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিগণের মধ্যে যিনি সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন
- যদি সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে পাওয়া না যায় অথবা তিনি যদি প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তাহলে তার অব্যবহিত পূর্বে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে
- যদি কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে পাওয়া না যায় অথবা তিনি যদি প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণে অসম্মতি জানান তাহলে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকগণের মধ্যে যিনি সর্বশেষে অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন
- যদি আপিল বিভাগের কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে না পাওয়া যায় অথবা তিনি যদি প্রধান উপদেষ্টার পদ নিতে অসম্মতি জানান তাহলে প্রেসিডেন্ট প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শক্রমে কোনো ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেবেন৷
- উপর্যুক্ত কাউকে না পাওয়া গেলে প্রেসিডেন্ট তার স্বীয় দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন৷
পদমর্যাদা ও কার্যাবলী
[সম্পাদনা]তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘প্রধান উপদেষ্টা’ প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা এবং পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধালাভের অধিকারী হবেন। উপদেষ্টাগণ মন্ত্রীর পদমর্যাদা এবং পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন৷
কার্যাবলি
[সম্পাদনা]- দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না৷
- শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সাহায্য করবে৷
তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ২০০৬-২০০৯
[সম্পাদনা]চতুর্থ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় ২০০৬ সালে। প্রথমে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নিয়োগ দেওয়া উপদেষ্টাদের মধ্যে চার জন একমাসের ঊর্ধ্বে কাজ করার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সাথে মতানৈক্যের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন। এরা হলেন ড. আকবর আলি খান, লে.জে. হাসান মশহুদ চৌধুরী, সি. এম. শফি সামী ও সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নতুন চার উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেন। এরা ছিলেন, বেসরকারি সংস্থা আশার প্রধান সফিকুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক এম মইনউদ্দিন খান, মেজর জেনারেল রুহুল আমিন চৌধুরী ও ড. শোয়েব আহমেদ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয় জানুয়ারি ২২, ২০০৭। নতুন উপদেষ্টা পরিষদ বিবাদমান রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে বাধ্য হন। একপর্যায়ে সকল প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন । বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দশজন নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ শুরু করেন এবং সেই সাথে রাষ্ট্রপতি ২২ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিন ঘোষণা করেন। ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা ২০০৭ এর আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ১৭০ জন শীর্ষ নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করে। প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াকেও দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করে। নেত্রীদ্বয়ের পরিবারের বিভিন্ন সদস্যকেও দুর্নীতির দায়ে আটক করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেমন, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন কমিশনের সংস্কার করেছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেন তারা ২০০৮ এর ডিসেম্বরের মধ্যে একটি ভালো নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন।
ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী-২০০৮[৮] | |||
পদ | নাম | প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় | সামাজিক অবস্থান |
প্রধান উপদেষ্টা | ড. ফখরুদ্দীন আহমদ | ক্যাবিনেট ডিভিশন, সংস্থাপন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় | |
উপদেষ্টা | এ. বি. মির্জ্জা মোঃ আজিজুল ইসলাম | অর্থ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন | স্বরাষ্ট্র, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী | পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | আনোয়ারুল ইকবাল | এলজিআরডি, বস্ত্র ও পাট এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | ড. চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম | কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | ড. এ এম এম শওকত আলী | স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | এ. এফ. হাসান আরিফ | আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি, এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | মেজর জেনা. (অব) গোলাম কাদের | গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | রাশেদা কে. চৌধুরী | প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় | |
উপদেষ্টা | ড. হোসেন জিল্লুর রহমান | শিক্ষা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় |
ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী-২০০৭ | |||
পদ | নাম | প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় | সামাজিক অবস্থান |
প্রধান উপদেষ্টা | ড. ফখরুদ্দীন আহমদ | ক্যাবিনেট ডিভিশন, সংস্থাপন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় | বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ম্যানেজিং ডিরেক্টর |
উপদেষ্টা | ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন | তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় | দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী |
উপদেষ্টা | মির্জা আজিজুল ইসলাম | অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় | সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এবং সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান |
উপদেষ্টা | মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন | যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় | প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন বুরোর সাবেক মহাপরিচালক |
উপদেষ্টা | তপন চৌধুরী | বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় | স্কয়ার গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর |
উপদেষ্টা | গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী | শিল্প, বস্ত্র ও পাট, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় | নারী উদ্যোক্তা ও ঢাকা ক্লাবের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট |
উপদেষ্টা | মেজর জেনারেল (অব.) মতিউর রহমান | স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সম্পদ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় | আর্মি মেডিকাল কোরের সাবেক অফিসার ও এইডস বিষয়ক জাতীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান |
উপদেষ্টা | আইয়ুব কাদরী | শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় | সাবেক সচিব |
উপদেষ্টা | আনোয়ারুল ইকবাল | এলজিআরডি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় | বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজি |
উপদেষ্টা | ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী | পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় | জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি |
উপদেষ্টা | ড. চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম | কৃষি,মৎস্য ও পশুসম্পদ এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় | পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান |
অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে গঠিত সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, ২০০৬ | ||||
পদ | নাম | প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় | সামাজিক অবস্থান | |
প্রধান উপদেষ্টা | অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ | প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ১৯৯১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা | |
উপদেষ্টা | বিচারপতি ফজলুল হক | আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক; জাতীয় সংসদ সচিবালয়, ভূমি, পরিবেশ ও বন | আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সাংবাদিকদের ষষ্ঠ ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান | |
উপদেষ্টা | ড. আকবর আলি খান | অর্থ ও পরিকল্পনা, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ | সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব | |
উপদেষ্টা | লে. জে. (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরী | বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক | সাবেক সেনাপ্রধান | |
উপদেষ্টা | সিএম শফি সামী | কৃষি, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া | সাবেক পররাষ্ট্রসচিব | |
উপদেষ্টা | আজিজুল হক | স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়; নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন | পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক | |
উপদেষ্টা | ধীরাজ কুমার নাথ | মৎস্য ও পশুসম্পদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক | সাবেক স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য সচিব | |
উপদেষ্টা | মাহবুবুল আলম | পানি সম্পদ, তথ্য, ধর্ম | দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের সম্পাদক | |
উপদেষ্টা | সুফিয়া রহমান | স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান | পরিচালক জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল | |
উপদেষ্টা | ইয়াসমিন মুরশেদ | মহিলা ও শিশুবিষয়ক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, সমাজকল্যাণ | অধ্যক্ষ স্কলাস্টিকা স্কুল | |
উপদেষ্টা | সুলতানা কামাল চক্রবর্তী | শিল্প, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বস্ত্র ও পাট | আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক, বিশিষ্ট এনজিও ও মানবাধিকার কর্মী |
তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ২০০১
[সম্পাদনা]তৃতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ মোট ৩০০ টি আসনের মধ্যে ৫৮ টি আসনে জয়লাভ করে। দেশে বিদেশে এই নির্বাচন ব্যাপক প্রশংসা লাভ করলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে স্থুল কারচুপির অভিযোগ তোলে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন ও শপথ নেবেন না। পরে অবশ্য আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যগণ শপথ নেন, এবং সংসদে যোগদান করেন।
তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী,২০০১ | ||||
পদ | নাম | প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় | সামাজিক অবস্থান | |
প্রধান উপদেষ্টা | বিচারপতি লতিফুর রহমান | মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সংস্থাপন, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় | সাবেক প্রধান বিচারপতি | |
উপদেষ্টা | সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ | আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় | বিশিষ্ট্য আইনজীবী | |
উপদেষ্টা | বিচারপতি বিমলেন্দু বিকাশ রায় চৌধুরী | স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় | সাবেক বিচারপতি | |
উপদেষ্টা | এএসএম শাহজাহান | শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় | পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক | |
উপদেষ্টা | সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী | কৃষি, নৌপরিবহন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় | ব্যবসায়ী | |
উপদেষ্টা | আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী | তথ্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, খাদ্য, পরিবেশ ও বন এবং ভূমি মন্ত্রণালয় | সাবেক সচিব | |
উপদেষ্টা | একেএম আমানুল ইসলাম চৌধুরী | যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় | সাবেক চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ | |
উপদেষ্টা | এম হাফিজ উদ্দিন খান | অর্থ, পরিকল্পনা, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় | সাবেক অডিটর জেনারেল | |
উপদেষ্টা | ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক আবদুল মালেক | স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় | সাবেক সেনাকর্মকর্তা | |
উপদেষ্টা | মেজর জেনারেল (অব.) মইনুল হোসেন চৌধুরী | শিল্প, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় | সাবেক সেনাকর্মকর্তা | |
উপদেষ্টা | রোকেয়া আফজাল রহমান | মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজকল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় | ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ব্যাংক ম্যানেজার |
তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ১৯৯৬
[সম্পাদনা]দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। ১৯৯৬ সালে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সংবিধানসম্মত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ১৪৭ আসন লাভ করে এবং জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। বিএনপি এই নির্বাচনে ১১৬টি আসনে জয়লাভ করে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম বিরোধীদল হিসেবে সংসদে যোগ দেয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, ১৯৯৬ | ||||
পদ | নাম | প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় | সামাজিক অবস্থান | |
প্রধান উপদেষ্টা | মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান | মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সংস্থাপন, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগ | সাবেক প্রধান বিচারপতি | |
উপদেষ্টা | সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ | আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় | বিশিষ্ট্য আইনজীবী | |
উপদেষ্টা | প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস | প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়৷ | অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা | |
উপদেষ্টা | অধ্যাপক মোঃ শামসুল হক | শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়৷ | ||
উপদেষ্টা | সেগুফতা বখত চৌধুরী | শিল্প, বাণিজ্য, পাট এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয়৷ | সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক | |
উপদেষ্টা | এ জেড এম নাছিরুদ্দীন | কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও পশুসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়৷ | সাবেক সচিব | |
উপদেষ্টা | মেজর জে. (অব.) আবদুর রহমান খান | স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়৷ | সাবেক সেনা কর্মকর্তা | |
উপদেষ্টা | ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ | অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়৷ | অর্থনীতিবিদ | |
উপদেষ্টা | সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী | যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়৷ | ব্যবসায়ী | |
উপদেষ্টা | ড. নাজমা চৌধুরী | শ্রম ও জনশক্তি, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়৷ | অধ্যাপক উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ
,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। | |
উপদেষ্টা | ড.জামিলুর রেজা চৌধুরী | বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় | বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক |
তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ১৯৯১
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান সম্মত ছিল না। সকল দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টা হতে রাজি হন। তবে তার শর্ত ছিল, দায়িত্ব পালন শেষে তাকে আবার নিজ কাজে ফিরে যেতে দিতে হবে। সকল দল এতে রাজি হন এবং বিএনপি সরকার গঠন করে সংবিধান সংশোধন করে তাকে আবার প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনে ফেরত পাঠায়। ১৯৯১ সালে ঐ সরকারের অধীনের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ তোলে কিন্তু তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেনি।
তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী,১৯৯১ | |||
পদ | নাম | প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় | সামাজিক অবস্থান |
প্রধান উপদেষ্টা | বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ | অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি | |
উপদেষ্টা | বিচারপতি এম এ খালেক | আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় | বিচারপতি |
উপদেষ্টা | কফিলউদ্দিন মাহমুদ | অর্থ মন্ত্রণালয়৷ | |
উপদেষ্টা | ফখরুদ্দীন আহমদ | পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ | |
উপদেষ্টা | রেহমান সোবহান | পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় | অর্থনীতিবিদ |
উপদেষ্টা | ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ | জ্বালানি, খনিজ সম্পদ এবং পূর্ত মন্ত্রণালয় | অর্থনীতিবিদ |
উপদেষ্টা | জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী | শিক্ষা মন্ত্রণালয় | বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ |
উপদেষ্টা | আলমগীর এম. এ. কবীর | সমাজকল্যাণ, মহিলা বিষয়ক এবং যুব উন্নয়ন ও ক্রীড়া | বিশিষ্ট সমাজকর্মী |
উপদেষ্টা | একেএম মুসা | শিল্প, পাট ও বস্ত্র | |
উপদেষ্টা | ডা. এমএ মাজেদ | স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা | |
উপদেষ্টা | মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম | জাহাজ, নৌ চলাচল এবং পর্যটন | মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম |
উপদেষ্টা | অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ | সংস্কৃতি ও খাদ্য৷ | অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
উপদেষ্টা | এবিএমজি কিবরিয়া | যোগাযোগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ | |
উপদেষ্টা | কাজী ফজলুর রহমান | সেচ, বন, পরিবেশ, মৎস্য ও পশুসম্পদ | |
উপদেষ্টা | ইমাম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী | বাণিজ্য মন্ত্রণালয়৷ | |
উপদেষ্টা | বিকে দাস | ত্রাণ ও পুনর্বাসন৷ | |
উপদেষ্টা | এ এম আনিসুজ্জামান | কৃষি ও ভূমি ব্যবস্থা৷ | |
উপদেষ্টা | চৌধুরী এম এ আমিনুল হক | শ্রম, জনশক্তি এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ |
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল
[সম্পাদনা]২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনী বিলের ২০ ও ২১ নম্বর প্রস্তাবনায় বলা হয়, সংবিধানের ৫৮(ক) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইবে। সংবিধানের ২(ক) পরিচ্ছেদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হইবে। প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পদসংক্রান্ত ১৫২ অনুচ্ছেদ সংশোধন ও ক্রান্তিকালীন এবং অস্থায়ী বিধানাবলী সংক্রান্ত ১৫০ অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নব্বই দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব রেখে বিলে বলা হয়, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে—ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে; এবং খ) মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে’ প্রতিস্থাপিত হবে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে অভিজ্ঞতা ও কিছু কথা"। www.kalerkantho.com। 2018-11। সংগ্রহের তারিখ 2024-08-30। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ (পিডিএফ) https://shujan.org/wp-content/uploads/2023/03/%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE-.pdf। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩০।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ "সেই দুঃসহ স্মৃতি আর চাই না"। banglanews24.com। ২০১২-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩০।
- ↑ "সুপ্রিম কোর্টের রায়:তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তির বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন বিল পাস"। banglanews24.com। ২০১১-০৬-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৫।
- ↑ "নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার
[সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ২১ ধারাবলে পরিচ্ছেদটি বিলুপ্ত।]"। Laws of Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩০। - ↑ ক খ গ ঘ ঙ দৈনিক যায়যায়দিন, নভেম্বর ৬,২০০৬
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০০৮।