১২গো এশিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১২গো এশিয়া
সাইটের প্রকার
অনলাইনভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থা
প্রতিষ্ঠা২০১৩; ১১ বছর আগে (2013)
অবস্থানসমূহসিঙ্গাপুর, ব্যাংকক
শিল্পঅনলাইনভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থা
পণ্যসমূহবিমান ভ্রমণ, রেলপথ , সড়কপথ, ফেরি
ওয়েবসাইট12go.asia
অ্যালেক্সা অবস্থান৪১,৯৫৭ (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (2019-09-06)-এর হিসাব অনুযায়ী)[১]

১২গো এশিয়া (12Go.asia) একটি অনলাইনভিত্তিক পরিবহন সংস্থা। এটির সদর দফতর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত হলেও এটি মূলত একটি সিঙ্গাপুর ভিত্তিক পরিবহন সংস্থা।[২][৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১২গো এশিয়া ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রথম দিকে এই সংস্থাটি থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় রেল পরিষেবার ট্রেনের ও কিছু রুটের বাসের টিকিট বিক্রয় করত৷ অল্প সময়ের মধ্যেই এটি ই-টিকিটিং এর জন্য বহুল জনপ্রিয় ও উপযোগী একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।[৫][৬][৭]

১২গো এশিয়া ২০১৪ সালে ডিজিটাল ইনোভেশন এশিয়া এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সর্বাধিক প্রভাববিস্তারকারী আধুনিক পদ্ধতি শ্রেণিতে পুরস্কার লাভ করে।[৮][৯]

২০১৭ সালের শেষের দিকে বুকিং এজেন্সিটি ৩৮০টি অপারেটর এবং ৩০০০টি স্টেশনে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয়। এছাড়াও বুকিং এজেন্সিটি তেত্রিশ হাজারেরও বেশি গ্রাহক পর্যালোচনা লাভ করে। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি অতি দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে। বর্তমানে দশটি দেশের এর কার্যক্রম চালু রয়েছে।[১০]

২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে বুকিং এজেন্সিটি তাদের এক মিলিয়ন গ্রাহক এই মাইলফলক অতিক্রম করে।[১১] বর্তমানে তাদের বিস্তৃতি ৪৮০টি পরিবহন সংস্থার গন্ডী অতিক্রম করেছে। তারা এখন প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৫০হাজারটি গন্তব্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।[১২]

পরিষেবা[সম্পাদনা]

১২গো এশিয়া দুটি মূল ধরনের ব্যবসায়ের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। যথা:

  1. বি টু বি (বিজনেস টু বিজনেস)
  2. বি টু সি (বিজনেস টু কাস্টমেয়ার)

সংস্থাটি ফ্লাইট, ট্রেন, বাস, ফেরি এবং ট্যাক্সির জন্য অনলাইন টিকিট, এমনি পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে আন্তঃসীমান্তের সম্মিলিত রুটে যাত্রার সুবিধাও দেয়।[৬][১৩][১৪]

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

তারা ১০টি দেশে পরিষেবা প্রদান করে। এগুলো হল-

থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামে ১২গো এশিয়া বহুল জনপ্রিয় ও এই দেশগুলি এদের পরিষেবার মান অন্যসব দেশের থেকে ব্যপক বিস্তৃত।[১৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Alexa Internet: 12go.asia"আলেক্সা ইন্টারনেট। ২৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. "12Go.asia รวมทุกการเดินทางสู่ประเทศใน ASEAN บนแพลทฟอร์มเดียว"Thumbsup.in.th। ৮ অক্টোবর ২০১৪। ১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  3. "Singaporean E-Ticketing Startup 12GO Makes Your Travel in Southeast Asia Easier"TechNode (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৭-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩১ 
  4. "สัมภาษณ์ 12Go Asia สตาร์ตอัพอาเซียน ผู้ทำระบบจองตั๋วรถทัวร์-เรือเฟอรี่ในไทย"Blognone.com। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। 
  5. "This startup lets you buy bus tickets from your laptop and smartphone"e27 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩১ 
  6. Buii, AuthorMinz (২০১৪-০৭-২৯)। "12GO Asia Thailand – brings the buses, ferries, trains online in Southeast Asia"Southeast Asia eCommerce Insider! (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩১ 
  7. "Train travel in Thailand | Train times & online tickets Bangkok to Chiang Mai, Ko Samui, Phuket, Nong Kai etc."www.seat61.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩১ 
  8. "Digital Innovation Asia announces winners for the 2nd DIA Awards"DIGITAL INNOVATION ASIA। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ১১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  9. "Digital innovation Asia awards"AIRTH - Alliance for Innovators and Researchers in Tourism and Hospitality। ১৫ জানুয়ারি ২০১৮। ১১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  10. "12Go Asia — зарабатываем на транспорте и экскурсиях в Юго-Восточной Азии"SEOnews.ru। ১৭ জানুয়ারি ২০১৮। 
  11. Asia, 12Go। "12Go Welcomes Their Millionth Customer News"12go.asia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩১ 
  12. According information from main page of 12Go.asia website
  13. "5 New Asian Travel Startups Incubated by Amadeus"Skift (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩১ 
  14. "Путешествуем по Юго-Восточной Азии с 12GO Asia"Lifehacker.ru। ২৯ এপ্রিল ২০১৪। 
  15. Asia, 12Go। "Coverage"12go.asia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-৩১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Travel ticket search engines