সেলিনা বাহার জামান
অধ্যাপিকা সেলিনা বাহার জামান | |
---|---|
জন্ম | সেলিনা বাহার চৌধুরী ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ |
মৃত্যু | ১ ডিসেম্বর ২০০৪ ঢাকা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | গণিত, নারী আন্দোলনকর্মী |
আত্মীয় | হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী (পিতা), ইকবাল বাহার চৌধুরী (ভ্রাতা) |
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি | |
মাতৃ-শিক্ষায়তন | প্র্যাট মেমোরিয়াল স্কুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
অভিসন্দর্ভ | (১৯৬০) |
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম | |
বিষয় | বিশুদ্ধ গণিত |
প্রতিষ্ঠান | জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ |
সেলিনা বাহার জামান (জন্ম: ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ - মৃত্যু: ১ ডিসেম্বর ২০০৪) ছিলেন গণিতবিদ ও নারী আন্দোলনকর্মী।[১]
জন্ম ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]জন্ম কলকাতায়। তাঁর পৈতৃক ভিটা ফেনী জেলায়। পিতা ছিলেন বিশিষ্ট বাঙালি রাজনীতিবিদ হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী এবং মাতা ছিলেন বাংলাদেশের একজন সমাজকর্মী এবং লেখিকা আনোয়ারা বাহার চৌধুরী। বাবা-মার জ্যেষ্ঠ সন্তান সেলিনা বাহারের এক ভাই ইকবাল বাহার চৌধুরী ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা সার্ভিসের প্রধান; তিন বোন শাহীন চৌধুরী-দেশের প্রথম মহিলা স্থপতিদের অন্যতম, অন্য দুই বোন নাসরীন শামস্ ও তাজিন চৌধুরী যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি জগন্নাথ কলেজের অধ্যাপিকা। সেলিনা বাহার কলকাতায় প্র্যাট মেমোরিয়াল স্কুলে[২] এবং ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার কামরুন্নেসা স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ইডেন মহিলা কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন এবং ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশুদ্ধ গণিতে এমএসসিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।[২][৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সেলিনা বাহার ১৯৬১ সালে ইডেন কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসেবে, ১৯৬৫ সালে বদরুন্নেসা কলেজে গণিতের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে, ১৯৭৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে গণিতের সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক এবং পরবর্তীকালে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।[৩]
সাহিত্য ও শিল্প চর্চা
[সম্পাদনা]সেলিনা বাহার শিশুশিল্পী হিসেবে রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে প্রায় পঞ্চাশ বছর রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাট্যশিল্পী ও পরিচালক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি শৈশব ও কৈশোরে বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী এবং পরবর্তীকালে একজন আবৃত্তিকার ছিলেন। ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমি হতে নজরুল পাণ্ডুলিপি এবং ২০০১ সালে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত অর্ধ সাপ্তাহিক নজরুলের ধূমকেতু সম্পাদনা করেন।[৪]
গ্রন্থরাজি
[সম্পাদনা]- সংখ্যা। ঢাকা: সূচীপত্র, ২০০৭, ২০১২।[৫]
- নজরুল পাণ্ডুলিপি। ঢাকা: বাংলা একাডেমি, ১৯৯৪।[৫]
- নজরুলের ধূমকেতু।[২]
- আব্বাসউদ্দীন আহমদ। ঢাকা: সূচীপত্র, ২০০৭।[৫]
- হাবিবুল্লাহ বাহার স্মারকগ্রন্থ(১৯৯৫)
- জহুর হোসেন চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ (১৯৯৬)
- আনোয়ারা বাহার চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ (১৯৯৭)
- শামসুদ্দিন আবুল কালাম স্মারকগ্রন্থ (১৯৯৮)
- আব্দুল ওয়াহাব স্মারকগ্রন্থ (১৯৯৯)
- শামসুন্নাহার মাহমুদ স্মারকগ্রন্থ (২০০০)
- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্মারকগ্রন্থ (২০০২)
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর তার সাম্পাদিত স্মারকগ্রন্থ "আমায় তুমি অশেষ করেছ" (২০০৪)
- কয়েক ছাত্র প্রাণের পত্র (২০০৪)
তার মৃত্যুর পরে তাঁর স্বামী বদিউজ্জামানের উদ্যোগে সেলিনার দুইটি পাণ্ডলিপি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়:
মৃত্যু
[সম্পাদনা]১ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে সেলিনা বাহার জামান শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Tribute to Selina Bahar Zaman : an eminent literary personality"। ভয়েস অফ আমেরিকা।
- ↑ ক খ গ জামান, সেলিনা বাহার (২০০৭)। সংখ্যা। ঢাকা: সূচীপত্র।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2011-12-01&ni=78658[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] daily janakantha
- ↑ ক খ গ ঘ "Selina Bahar Jaman Books - সেলিনা বাহার জামান এর বই | Rokomari.com"। www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২২।
- ↑ "পথে চলে যেতে যেতে"। Shahitya Prakash (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২২।