রাণী দিনমনি চৌধুরাণী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাণী দিনমনি রায় চৌধুরাণী
জন্ম
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয় (বর্তমান বাংলাদেশ),
পরিচিতির কারণশিক্ষা অনুরাগী



টাংগাইল মহকুমা বিখ্যাত সন্তোষ ছয়আনী জমিদার জাহ্নবী চৌধুরানী এর পোষ্যপুত্র বৈকুণ্ঠনাথ রায় চৌধুরীর স্ত্রী ছিলেন রাণী দিনমনি রায় চৌধুরাণী।তাঁর উল্লেখযোগ্য জনহিতকর কাজ হচ্ছে : দার্জিলিং শৈলবাসে স্বামীর নামে বৈকুণ্ঠনাথ থাইসিস ওয়ার্ড স্থাপন,ঢাকায় বৈকুণ্ঠনাথ আশ্রম নির্মাণ,ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে মহিলাদের জন্য ওয়ার্ড নির্মাণ,কাগমারীতে রানী দিনমনি মহাশ্মশান ঘাট প্রতিষ্ঠা ও মৃতদেহ সৎকারের জন্য নদীতীরে দাতব্য কাষ্ঠ ভান্ডার স্থাপন। এছাড়াও তিনি ঢাকার জগান্নাথ কলেজকে পাঁচ হাজার ও ১৯০৮ইং সালে আনন্দ মোহন কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য রাণী দিনমনি চৌধুরাণী বিশ হাজার টাকা দান করেন।নিজের নামে সরিষাবাড়ী রাণী দিনমনি পাইলট হাই স্কুল জামালপুরে এবংনিজ জন্মভূমিতে ঈশ্বর নারায়ণ ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় যা বর্তমানে দেহেরগতি ঈশ্বর নারায়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাণীর স্কূল নামে পরিচিত ,বাবু গঞ্জ,বরিশাল এ প্রতিষ্ঠা করেন।

ব্রিটিশ সম্রাটের রাজ্যাভিষেক সময়ে গভর্ণমেণ্ট তাহাকে “রাণী” উপাধিতে ভূষিত হন।

বৈকুণ্ঠনাথ অকালে পরলোক গমন করিলে, তাহীর স্ত্রী রাণী দিনমণি চৌধুরাণী কুমার হেমেন্দ্র নাথকে পোষ্য পুত্র গ্রহণ করেন। সন্তোষে রানী দিনমনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। সীতাকুন্ডে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির এ তীর্থ যাত্রীদের সুবিধার জন্য চিলছত্র নির্মাণ করে।সৎকার্যে রাণী মহোদয়া সর্বদা মুক্তাহস্তা ছিলেন।[১]

শিক্ষা বিস্তারে ব্রিটিশ ভারতে রাণী দিনমনি যথেষ্ট অনূরাগী ছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

রানী দিনমনির ছবি-সন্তোষ জাহৃবী উচ্চ বিদ্যালয় হতে সেলিম আল মামুন দ্বারা সংগ্রহিত।