মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা
জন্ম(১৯০৬-১২-১৬)১৬ ডিসেম্বর ১৯০৬
পাবনা, পূর্ব বাংলা ও অসম, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২ মে ১৯৭৭(1977-05-02) (বয়স ৭০)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
অন্যান্য নামরাকুইবুন্নেসা মাহমুদা খাতুন, বাতাশী

মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা (ডিসেম্বর ১৬, ১৯০৬ - মে ২, ১৯৭৭) বাঙালি কবি।[১] তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি, মহিলা কবিদের মধ্যে প্রথম সনেটকার ও গদ্য ছন্দের কবি।

তিনি পিতার তৎকালীন কর্মস্থল পাবনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার নিয়ামতবাড়ি গ্রামে। তারপিতা খান বাহাদুর সোলাইমান রাজশাহী বিভাগের ডেপুটি কালেকটর ছিলেন। তার পূর্বপুরুষ শেখ সাইফুল্লাহ জমিদারি নিয়ে এ অঞ্চলে আসেন। তিনি পার্শ্ববর্তী জমিদার কন্যা হওয়ায় কবিরগুরু স্নেহধন্য ছিলেন, তার কবিতায় মানুষের সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনার আন্তরিক প্রকাশ ঘটেছে। প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্য তার কবিতায় প্রানের স্পর্শ লাভ করেছে। অত্যন্ত অল্প বয়সে তার কবি প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। পশারিণী, মন ও মৃত্তিকা এবং অরণ্যের সুর তার কাব্যগ্রন্থ।[২] ষাটের দশক পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও খ্যাতিমান মহিলা কবি।

১৯৩০-এর দশকের শুরুতে কবি হিসেবে মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার আত্মপ্রকাশ। তার প্রথম কবিতার বই ‘পসারিনী’ প্রকাশিত হয় ১৯৩২-এ। এই বই সম্পর্কে সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিনের মন্তব্য : ‘বাংলা ভাষায় মুসলিম (মহিলা) কবির ইহাই প্রথম প্রকাশিত আধুনিক কবিতার বই। এতে তিনি প্রকৃতি, প্রেম ও বিরহ নিয়ে কতকগুলো কবিতা লিখেছেন।’ স্বাধীনতার পরে তিনি আড়ালে চলে যান। সমাদর ছিল না বলে জীবনের শেষ আট-দশ বছর তিনি সভা-সমাবেশে আসতেন না। তিনি নীরবে নিভৃতে ৭১ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৭৭ সালের ২ মে কবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মাহমুদ শাহ কোরেশী (২০১২)। "সিদ্দিকা, মাহমুদা খাতুন"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. "উপেক্ষিত প্রথম মুসলিম মহিলাকবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২০