ভারতের যুক্তরাষ্ট্রবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভারতের সংবিধান ভারতের প্রশাসনিক গঠনকে প্রতিষ্ঠা করে, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্ক অন্তর্গত। সংবিধানের একাদশ ভাগে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বিধানিক, প্রশাসনিক ও নির্বাহী ক্ষমতার বণ্টনের কথা আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিধনিক ক্ষমতা সংঘসূচী, রাজ্যসূচীসমবর্তী সূচীতে শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে, যা যথাক্রমে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রদান করা ক্ষমতা, রাজ্য সরকারকে প্রদান করা ক্ষমতা এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যৌথ ক্ষমতাকে প্রতিনিধিত্ব করে।

ভারতের এই যুক্তরাষ্ট্রবাদ প্রতিসম, যেখানে রাজ্যস্তরে প্রদান করা ক্ষমতা সমান। ঐতিহাসিকভাবে, সংবিধানের এক সাময়িক বিধান অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর জন্য জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য অন্যান্য রাজ্যের থেকে এক পৃথক মর্যাদা লাভ করেছিল, সংসদ যে বিধানটি ২০১৯ সালে খারিজ করে দিয়েছিল। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এককেন্দ্রিক ধাঁচের এবং এটি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১ (১)-এ দ্বিস্তরীয় প্রশাসন এবং অতিরিক্ত স্থানীয় সরকারের কথা উল্লেখ আছে। দিল্লিপুদুচেরিকে যথাক্রমে অনুচ্ছেদ ২৩৯কক ও অনুচ্ছেদ ২৩৯ক-এর মাধ্যমে বিধানসভা প্রদান করা হয়েছে।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

বিধানিক ক্ষমতা[সম্পাদনা]

সংঘসূচী[সম্পাদনা]

সংঘসূচী বা সূচী ১ হল ৯৭টি বিষয় সমৃদ্ধ একটি সূচি বা তালিকা (২০১৬ সালে একশত একতম সংবিধান সংশোধনী আইনের পরে, ৯২ ও ৯২গ বিষয় দুটিকে সরানো হয়েছে)। ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলে উল্লিখিত বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা বিষয়ক তালিকা তিনটির মধ্যে সংঘসূচীর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত আইন প্রণয়নের একচেটিয়া ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকার বা ভারতের সংসদের রয়েছে। অপর তালিকা দুটি হলো, রাজ্যসূচী এবং সমবর্তী সূচী। কানাডার যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের মতো ভারতেও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাড়তি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, যা ভারত সরকারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের থেকে অনেকটা আলাদা করে দিয়েছে।[১]

রাজ্যসূচী[সম্পাদনা]

সমবর্তী সূচী[সম্পাদনা]

অন্যান্য[সম্পাদনা]

নির্বাহী ক্ষমতা[সম্পাদনা]

আর্থিক ক্ষমতা[সম্পাদনা]

বিরোধ নিষ্পত্তি[সম্পাদনা]

অ্যাকাডেমিক গবেষণা ও তত্ত্ব[সম্পাদনা]

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল[সম্পাদনা]

বিচ্যুতি[সম্পাদনা]

এককেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Robert L. Hardgrave and Stanley A. Koachanek (২০০৮)। India: Modi Government and politics in a developing nation (Seventh সংস্করণ)। Thomson Wadsworth। পৃষ্ঠা 146আইএসবিএন 978-0-495-00749-4