ভারতের প্রবাল প্রাচীর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রবাল প্রাচীর
লাক্ষাদ্বীপের প্রবাল প্রাচীর

ভারতের প্রবাল প্রাচীর দেশটির অন্যতম একটি প্রাচীন ও গতিশীল বাস্তুতন্ত্রপ্রবাল প্রাচীর শুধুমাত্র সামুদ্রিক জীবনকে সংরক্ষণ করে তা নয়, তার সাথে সমুদ্র উপকূলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। ভারতের ৭৫১৭ কিমি উপকূলরেখার মধ্যে দ্বীপপুঞ্জও রয়েছে, মূল ভূখণ্ডের উপকূলরেখা ৬১০০ কিমি।

ভারতের বেশিরভাগ প্রবালপ্রাচীর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মান্নার উপসাগর, কচ্ছ উপসাগর, পক‌ প্রণালীলাক্ষাদ্বীপে রয়েছে। লাক্ষাদ্বীপের উচ্চ প্রবালপ্রাচীর ব্যতীত সমস্ত প্রাচীর ঝালর খাড়া। মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে সামঞ্জস্যহীন প্রাচীর ও কেরালার কোল্লামতামিলনাড়ুর এনায়াম পুথেনথুরাইয়ে চুননির্মিত প্রাচীর রয়েছে।[১]

গবেষণা ও শিক্ষাকেন্দ্র[সম্পাদনা]

প্রবালপ্রাচীরের ব্যবস্থাপনা, নজরদারি ও গবেষণার কাজে লিপ্ত বৃহৎ সংস্থাগুলি হল বিশ্ব বিজ্ঞান মন্ত্রক, ভারতের প্রাণীবিদ্যা বিভাগ, কেন্দ্রীয় সামুদ্রিক মৎস্যচাষ গবেষণা কেন্দ্র, মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়, আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ব বিজ্ঞান জাতীয় শিক্ষাকেন্দ্র, সামুদ্রিক প্রযুক্তি জাতীয় শিক্ষাকেন্দ্র, সমুদ্রবিজ্ঞান জাতীয় শিক্ষাকেন্দ্র ইত্যাদি।[১]

আহমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার মহাকাশ রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবালপ্রাচীরের অঞ্চলগুলির তথ্য সংগ্রহের কাজ করে।[১]

আইন ও নিয়ন্ত্রণ[সম্পাদনা]

ভারতের পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু মন্ত্রক প্রবালপ্রাচীরের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কাজ করে। যদি প্রবালপ্রাচীর অঞ্চলটি একটি সংরক্ষিত এলাকা হয় তবে সেটি রাজ্যের বনবিভাগের মধ্যে পড়ে।[১]

উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল বা কোস্টাল রেগুলেশন জোনের (CRZ) ১৯৯১ এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত সামুদ্রিক সম্পদকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। CRZ1 ক্যাটেগরি অনুযায়ী সমস্ত ধরনের প্রবালপ্রাচীরকে সংরক্ষণ করা হয়। এর ২ নং বিভাগ প্রবালপ্রাচীরের উপর হোটেল ও রিজর্ট বানানো নিষিদ্ধ করে। কিছু রাজ্যে, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ব্যতীত প্রবাল সংগ্রহ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।[১]

প্রবাল প্রাচীরের তালিকা[সম্পাদনা]

বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ৫৭২ টি দ্বীপপুঞ্জ দ্বারা গঠিত সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য।[২]
ওড়িশার কোনার্ক অঞ্চলের চন্দ্রভাগা সমুদ্রসৈকত ও রামচণ্ডী মন্দিরের মধ্যেকার সমুদ্রে প্রবালপ্রাচীরের দেখা মেলে।
উত্তরে রামেশ্বরম থেকে দক্ষিণে তুতিকোরিনে পর্যন্ত ২১ টি দ্বীপপুঞ্জ দ্বারা গঠিত। উপসাগরের এই অংশটি মান্নার সামুদ্রিক জাতীয় উদ্যানের অংশ।[৩]
এই প্রাচীরগুলির উষ্ণতা ও লবণাক্ততা বেশি থাকায় জীববৈচিত্র্য কম। সমগ্র উপসাগরটি সামুদ্রিক জাতীয় উদ্যান নামেও পরিচিত।[৪]
৩৬টি দ্বীপপুঞ্জ দ্বারা গঠিত যার মধ্যে ১০টিতে মানুষের বসবাস রয়েছে।[৫]
খাম্বাত উপসাগরের পশ্চিমের ছোট খাঁড়িগুলিতে প্রবালপ্রাচীর দেখতে পাওয়া যায়। মহারাষ্ট্রের বিজয়দুর্গমালওয়ানে এবং কর্ণাটকের নেত্রাণী দ্বীপে প্রবালপ্রাচীর রয়েছে।

চিত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Vineeta Hoon। "Coral Reefs of India: Review of Their Extent, Condition, Research and Management Status by Vineeta Hoon"। Food and Agriculture Organization। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০২০ 
  2. Planning Commission of India (২০০৮)। Andaman and Nicobar Islands Development Report। State Development Report series (illustrated সংস্করণ)। Academic Foundation। আইএসবিএন 978-81-7188-652-4। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৪ 
  3. UNDP (১৯৯৪)। "Conservation and Sustainable-use of the Gulf of Mannar Biosphere Reserve's Coastal Biodiversity" (পিডিএফ)। UNDP, Project Brief, New York। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৪ 
  4. Apte, Deepak। "Marine National Park, Gulf of Kutchh: A conservation challenge" (পিডিএফ)। Bombay Natural History Society: 26–27। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৪ 
  5. "Location, Area and Population"। lakshadweep.nic.in। ১২ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৪ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]