বিশ্ববিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৩৫০ সালের একটি বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণীকক্ষ
কার্জন হল, বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করা সহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজকর্ম করা হয়ে থাকে এবং সাধারণত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উভয় সম্মান প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানের চর্চার পাশাপাশি জ্ঞানের উৎপত্তিও ঘটে থাকে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মূল ল্যাটিন শব্দ universitas বলতে সাধারণভাবে বোঝায় "একটি দেহ, একটি সমাজ, কোম্পানি, সম্প্রদায়, গিল্ড, কর্পোরেশন, ইত্যাদির সাথে যুক্ত অনেক ব্যক্তি"।শহুরে জীবন এবং মধ্যযুগীয় গিল্ডের উত্থানের সময়, বিশেষায়িত "ছাত্র এবং শিক্ষকদের সম্মিলিত আইনী অধিকারের সমিতিগুলি সাধারণত রাজকুমার অথবা ধর্ম বিশেষজ্ঞ দ্বারা দ্বারা জারি করা চার্টার দ্বারা নিশ্চিত করা হয় অথবা যে শহরে তারা অবস্থান করতো " এই সাধারণ শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করা হতো।অন্যান্য গিল্ডগুলির মতো, তারা স্ব-নিয়ন্ত্রিত ছিল এবং তাদের সদস্যদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা ছিল।

আধুনিক যুগে এই শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয়ে এসেছে "একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা প্রধানত অ-বৃত্তিমূলক বিষয়ে শিক্ষাদান করে এবং সাধারণত ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা রাখে,"এর কর্পোরেট সংস্থার উপর পূর্বের জোর দিয়ে মধ্যযুগীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ঐতিহাসিকভাবে প্রয়োগ হিসাবে বিবেচিত।

মূল ল্যাটিন শব্দটি পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপে শিক্ষার ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করে, যেখানে এই ধরনের আইনি সংগঠন প্রচলিত ছিল এবং যেখান থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল।

সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়[সম্পাদনা]

আল-কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর বুকে গড়ে ওঠা সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। মরক্কোর ফেজে গড়ে ওঠা এটি প্রাচীন সময়ের উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র। ইউনেস্কো এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, মরক্কোর ফেজে অবস্থিত আল-কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ৮৫৭-৮৫৯ সালে ফাতিমা আল ফিহরি দ্বারা একটি মসজিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে ঐতিহাসিক মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ও শিক্ষাকেন্দ্র হয়ে ওঠে।

মধ্যযুগের ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়[সম্পাদনা]

মধ্যযুগে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল অনেকটা ধর্ম ও ধর্মতত্ত্ব পড়ানোর কেন্দ্র।যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছিল চার্চের মত।

আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনিয়তা[সম্পাদনা]

আধুনিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা এক কথায় অপরীসীম ও বিস্তৃত এবং ব্যাপক।আধুনিক জ্ঞান -বিজ্ঞান, শিল্প -সাহিত্য, আর্ট,কলা,সামাজিক -বিজ্ঞানের বিস্তৃত বিষয়াদি সহ এক কথায় সবকিছুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি। একাডেমিক ডিসকোর্সে জ্ঞান জগতের বিস্তৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি। গবেষণার কাজে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। নতুন নতুন জ্ঞান উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহার লাল নেহেরু বলেন "একটি দেশ ভালো হয় যদি সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো হয়।"

পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়[সম্পাদনা]

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ কর্মকান্ডসমূহ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%87%E0%A6%A8_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC