দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বিতর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যাটানিক ভার্সেস বিতর্ক
Salman Rushdie, partially bald, bearded, and wearing glasses
সালমান রুশদি, "দ্য স্যাটানিক ভার্সেস" উপন্যাসের লেখক
Ayatollah Khomeini, bearded and wearing religious headgear
আয়াতুল্লাহ খোমেইনী; তৎকালীন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, যিনি ফতোয়া জারি করেছিলেন

স্যাটানিক ভার্সেস বিতর্ক হল ১৯৯৮ সালে যুক্তরাজ্যে সালমান রুশদির মুহাম্মাদের জীবন থেকে কিছুটা অনুপ্রাণিত উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশের জন্য কিছু মুসলমানের উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ঘটনাটি রুশদি অ্যাফেয়ার নামেও পরিচিত। অনেক মুসলমান সালমান রুশদির বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনেছিলেন এবং ইরানের আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেইনী ১৯৮৯ সালে একটি ফতোয়া জারি করেছিলেন, যাতে মুসলমানদের রুশদিকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অসংখ্য হত্যা, হত্যার চেষ্টা, বোমা হামলার ফলে উপন্যাসটির সাড়া পড়ে যায়।[১]

ইরান সরকার ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সালমান রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়াকে সমর্থন করেছিল, যখন ইরানের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ খাতামির উত্তরসূরি সরকার বলেছিল যে তারা আর সালমান রুশদির হত্যাকে সমর্থন করে না।[২] তবে ফতোয়া বহাল রয়েছে।[৩]

বিষয়টি "সংস্কৃতির চুত্যি রেখা বরাবর পশ্চিমাদের থেকে মুসলমানদের" বিভক্ত করেছে,[৪][৫] এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি মূল পশ্চিমা মূল্যকে চিহ্নিত করেছে বলে বলা হয়েছিল—তারা যা বলে বা লেখে তার জন্য কাউকে "হত্যা করা উচিত নয় বা হত্যার গুরুতর হুমকির সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়"[৬]—অনেক মুসলমানের দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে ছিল, যারা মনে করে যে কোন ব্যক্তির কাছে "নবীর সম্মান" অবমাননা করে "মুসলমানদের অপমান ও কুৎসা" করার স্বাধীনতা থাকা উচিত নয়।[৭] ইংরেজ লেখক হানিফ কুরেশি এই ফতোয়াটিকে "যুদ্ধোত্তর সাহিত্য ইতিহাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলির মধ্যে একটি" বলে অভিহিত করেছেন।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Jessica Jacobson. Islam in transition: religion and identity among British Pakistani youth. 1998, page 34
  2. Crossette, Barbara (২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮)। "Iran Drops Rushdie Death Threat, And Britain Renews Teheran Ties"The New York Times। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; fatwacont নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. Pipes, 1990, p.133
  5. From Fatwa to Jihad: The Rushdie Affair and Its Aftermath By Kenan Malik ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ মে ২০১৬ তারিখে, introduction, no page numbers
  6. Timothy Garton Ash (২২ জুন ২০০৭)। "No ifs and no buts"The Guardian। London। ১৯ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২২ 
  7. "Pakistan blasts Rushdie honour"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২২ 
  8. "Looking back at Salman Rushdie's The Satanic Verses"The Guardian। London। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২। ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২২